যখন রাজাকারদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হল খালেদা জিয়া সিলেটের জনসভায় প্রকাশ্যে নাম ধরে বললেন গুয়াজম , নিজামী যুদ্ব অপরাধী নয় তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ।
বিএনপি বলে তারাও যুদ্ব অপরাধীর বিচার চায় বলেই তার সাথে সাথে জুড়ে দেয় কত গুলি শর্ত যেমন সে বিচার হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ , আন্তর্জাতিক মানের , হেন তেন , ইত্যাদি ইত্যাদি ।
বিএনপি বা ১৮ দল নানা ইস্যুতে আন্দোলনের কর্মসূচি দেয় সেখানে দেখা যায় জামাতের জয় জয়কার । জোটের জনসভাগুলিতে সব কিছুকে ছাপিয়ে দেখা যায় রাজাকারদের মুক্তির দাবীই তাদের মুখ্য দাবী । অনলবর্ষী বক্তৃতায় চলে রাজাকারদের মুক্তির দাবী ,রাজাকারদের মুক্তির দাবী সম্বলিত ব্যানারে ফেস্টুনে সয়লাব থাকে জন সভাস্থল । কখনও কখনও গোলাম আজমের মুক্তি চেয়ে ঝোলতে থাকে ঢাউস বেলুন । আর জনসভার সন্মুখ ভাগে স্থান নেবার ব্যাপারেও শিবির main force আর ছাত্রদল auxilary force বা রাজাকার ।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ারদি উদ্যানে যেখানে ৯০ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পন করেছিল সেখানে খালেদা জিয়া যুদ্ব অপরাধীদের রাজবন্দী বলে উল্লেখ করেন শুধু তাই নয় বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তিনি তাদের মুক্ত করে দিবেন বলে ঘোষণা করেন ।
তারপর বিচারের রায় গুলি যখন আসতে লাগল আশ্চয্যজনক ভাবে বিএনপি নিশ্চুপ রইল , তারা কোন প্রতিক্রিয়া জানাল না । শেষ পর্যন্ত যখন কাদের মোল্লার ফাঁসি হল তখনও তারা নিশ্চুপ ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের নামে জামাত যুদ্বঅপরাধীদের বাঁচাবার নামে সারাদেশে তারা যে ধ্বংস যজ্ঞ চালাচ্ছে তা ৭১ সালের সাথেই তুলনীয় । আমরা অনেকেই ৭১ দেখিনি কিন্তু ১৩ এর তাণ্ডব দেখেই বুঝতে পারি ৭১ সালে কি হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছে তারা বাংলার বুকে ।
আর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ছিল main force আর জামাত ছিল auxilary force বা রাজাকার আর ২০১৩ তে main force হল জামাত আর auxilary force অর্থাৎ রাজাকার হল বিএনপি ।