আসুন প্রথমে দেখি আব্দুল এই লেখার মাধ্যমে কি অপরাধ করেছে । তার পর বিবেচনা করব তাকে ক্ষমা করা যায় কিনা ?
কালিদাস থেকে শুরু করে অনেক কবি সাহিত্যিকই নারী দেহের অনুপম সৌন্দরয্যের বর্ণনা দিয়েছেন ।আবার চটি লেখকেরা নারী দেহের রগরগে বর্ণনা দেয় । আব্দুল কে কোন শ্রেণীতে ফেলবেন ?
অতীত চরিত্র নিয়ে সে উপন্যাস লিখলেও চলমান বর্তমান গণজাগরণ মঞ্চ এবং তার একটি চরিত্র নিয়ে যে ঘটনার স্বাক্ষী লক্ষ লক্ষ জনগণ সেটা নিয়ে এমন কুরুচি পূর্ণ গল্প লেখার কারণ কি ?
সে এই গল্পের মাধ্যমে মফস্বলের মেধাবী গরিব ছাত্র ছাত্রীদের অনুৎসাহিত করেছে শহরে এসে পড়াশুনা করতে।
আমাদের বর্তমান প্রজন্মের সেন্টিমেন্ট জাতীয় পতাকার রঙ্গে কাপড় পড়াকে সে কটাক্ষ করেছে ।
আমাদের গৌরবময় ছাত্র আন্দোলনের অতীত ও বর্তমান ইতিহাসকে সে নোংরা কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছে ।
প্রথম দিন থেকেই শ্লোগান কন্যার সাবলীল , উচ্চকিত, উদ্দীপনা মূলক শ্লোগানের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে শাহবাগের লাখো ছাত্র জনতাকে । প্রথম দিনই যখন টিভি তে তার কণ্ঠ শুনি তখনি কানে লাগে । তারপর থেকে টিভি তে তার কণ্ঠ শোনার জন্য কান খাড়া করে রাখতাম । অনেক বিদেশী পত্রিকায় তার ছবি এবং তাকে নিয়ে নিউজ করা হয়েছে । আব্দুল সবচাইতে বেশী অপরাধ করেছে গন জাগরণ মঞ্চ এবং তার একটি চরিত্র কে নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করে ।
এবার আসুন গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে আর এক কৃত পুরুষ মাহমুদুর রহমান তার আমার দেশ পত্রিকায় স্ব নামে কি লিখেছেন । সে লিখেছে " একবিংশ শতাব্দীর মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকা শহরে পুলিশি প্রহরায় নাচানাচি করছেন, গান গাইছেন, হাতে হাতে বিরিয়ানির প্যাকেট ঘুরছে, রাত নামলে আলো-আঁধারিতে একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব বিনিময় হচ্ছে।"
আব্দুল কি এই কৃত পুরুষ থেকে তার গল্পের আইডিয়া ধার করেনি বা এই আব্দুল কি মাহমুদুর রহমানের মত জামাতের বিশ্বব্যাপী মিলিয়ন ডলার বাজেটের উচ্ছিষ্ট ভোগী নয় ?
এবার আসুন তার ক্ষমা প্রাথনার নিউজটি দেখে নেই । তারপর বিবেচনা করব তাকে ক্ষমা করা উচিত কিনা ।
পয়লা বৈশাখ ১৪২০-এর ‘প্রথম আলো’র বিশেষ পৃষ্ঠায় ‘টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি’ নামে আমার একটি ছোটগল্প ছাপা হয়। কারও কিংবা কোনো গোষ্ঠীর মনে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্যে গল্পটি লেখা হয়নি। দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু পাঠক গল্পটি পড়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁদের ক্ষুব্ধ করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। গল্পটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে কোনো গল্পগ্রন্থে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
হাসনাত আবদুল হাই
ধানমন্ডি, ঢাকা
আব্দুল যাই বলুক না কেন তার উদ্দেশ্য ছিল মাহমুদের মত গন জাগরণ মঞ্চকে প্রশ্ন বিদ্ব করা , এটা ছিল তার ইচ্ছাকৃত এবং সুপরিকল্পিত। তার মত একজন লেখক এই অগ্নিগর্ভ মুহূর্তে এই ধরনের ইচ্ছাকৃত ভুল করে ক্ষমা চাইলেই ক্ষমা পেয়ে যাবেন ?
সে ভেবেছিল এই সময়ে হেফাজতি আর জামাতিরা তার এই গল্পকে লুফে নেবে , সে হবে মাহমুদ ,ফরহাদ মজহারের মত তাদের মুকুটে নব সংযোজিত আর একটি রঙ্গিন পালক ।
আসুন শুধু ব্লগে লেখা লেখি নয় জনমত গড়ে তুলি এবং সরকারের কাছে দাবী জানাই তার সতীর্থ মাহমুদের মত তাকেও গ্রেফতারের জন্য ।