#StopEthnicCleansing
#StopKillingRohingya
#StopInnocentKilling
#StopExtraditionRohingya
#SaveHumanity
.
আমার ফেসবুক বন্ধু তালিকায় কানাডা প্রবাসী ১৭-১৮ বছর বয়সী একজন রোহিঙ্গা তরুণী আছে। ফ্যামিলির সাথে কয়েক বছর আগে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। বেশ ক'বছর কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ছিলো। স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনাও করে কিছুটা।
.
জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান UN-HCR এর প্রচেষ্টায় প্রায় পাঁচ বছর হলো তারা কানাডাতে আশ্রয় পেয়ে বসবাস করছে।
.
মেয়েটি খুবই অমায়িক, মিশুক, দৃঢ়চেতা এবং ধার্মিক। আজ সকালে তার সাথে অনেকক্ষণ চ্যাট করলাম। রাখাইন প্রদেশে থাকা তাদের আত্মীয়-স্বজন সম্পর্কে খোঁজখবর নিলাম। যেরূপ সহিংসতা এবং ভয়ংকর নৃশংসতার খবর গণমাধ্যমে আসতেছে, বাস্তবতা আরো অনেক ভয়ংকর।
.
বার্মিজ সেনাবাহিনী শুধুমাত্র গতকালই ১৭ জন কিশোরী-মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। প্রতিদিনই শত শত নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হচ্ছে, পুরুষকে খুন করা হচ্ছে, রেহাই পাচ্ছেনা নিষ্পাপ শিশুরাও। সেখানে রোহিঙ্গাদের উপর যে জাতিগোষ্ঠী নির্মূল (Ethnic Cleansing) প্রক্রিয়া চলমান তা মানবজাতির আরেক কলঙ্কময় অধ্যায় হিসাবে ইতিহাসে স্থান পাবে।
.
বার্মার রাখাইন প্রদেশে এই চরম পর্যায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষের উপর উৎপীড়ন, নাগরিক অধিকার বঞ্চিতকরণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কি কোন করণীয় নেই?
.
বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে এখনই সচেতন হতে হবে। রোহিঙ্গাদের মুসলমান হিসাবে বিবেচনার আগে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়া, বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানবতার পক্ষে দাঁড়াতে হবে। বার্মিজ কর্তৃপক্ষের উপর যথাযথ এবং কার্যকর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। বার্মার বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনটি বাতিলের দাবী জানাতে হবে, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের প্রাপ্য নাগরিক অধিকার পেতে পারে।
.
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভাবতে হবে, সামরিক শাসনের জন্য বার্মার উপর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপ করা গেলে, এথনিক ক্লিনজিং (Ethnic Cleansing) এর মতো গুরুতর অপরাধ রাষ্ট্রীয় মদদে সংঘটিত হলে কেন বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপ করা যাবেনা।
.
রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার প্রধান ভুক্তভোগী হিসাবে বিশ্ব মঞ্চে এ ব্যাপারে কথা বলার অধিকার এবং নৈতিক ভিত্তি বাংলাদেশের রয়েছে। মুসলিম প্রধান তথা আরব দেশ সমূহ, ওআইসি, ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন সমূহ, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দেশ সমূহকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ।
.
অং সাং সুচি'র মতো অথর্ব নেত্রীর দিকে বিশ্ব বিবেককে তাকিয়ে থাকলে চলবেনা।
.
মানবতার জয় হোক বিশ্বের সর্বত্র, সবখানে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১