ক্যাকটাস জাতীয় রসাল পাতাগাছের ফুলেও রয়েছে একরাশ চোখ ঝলসানো রঙের উচ্ছ্বাস । কোন কোন ফুল যেন আকাশ থেকে এ ধরায় ছিটকে পড়া এক গুচ্ছ তারা । কোন কোন ফুলের মাঝখানে রয়েছে বড়সড় বৃত্ত কোনটা গম্বুজের মত কৌণিক আবার কোনটায় সুকুমার বৃত্তির উপর আলোক উজ্জল পাপরি । কোনটাতে রয়েছে সবুজ পাতার পটভুমিতে সুন্দর ফুল তথা তারকারাজির ঝিলিক। চিকন চিকন ঝিকিয়ে উঠা রঙ্গীন পাপড়ি । সামুর ভাই বোনদের সাথে শেয়ার মানসে ক্যাকটাস পুস্প রাশির কিছু ছবি ব্লগে নীচে দেখানো হল । ফুলের পাশে নাম ও বংশ পরিচয় লিখা আছে সংক্ষেপে ।
১) এভোনিয়া কুইনারিয়া
বৈজ্ঞানিক নাম : Avonia quinaria, এটা Portulacaceae পরিবার ভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : দক্ষিন আফ্রিকা ও নামিবিয়া ।
২) হাটিওরা সালিকর্নাইডস- ডেনসিং বোনস
বৈজ্ঞানিক নাম : Hatiora salicornioides,এটা Cactaceae পরিবার ভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : ব্রাজিল ।
৩) ইউফরবিয়া –বেসবল প্লান্ট
বৈজ্ঞানিক নাম : Euphorbia obese,এটা Euphorbiaceae পরিবার ভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : দক্ষিন আফ্রিকা ।
৪) গ্রাটোপিটালাম বিলাম ( চিহুহু ফুল নামে সমধিক পরিচিত)
বৈজ্ঞানিক নাম: Graptopetalum bellum,এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত
উত্পত্তিস্থল: মেক্সিকো ।
৫) গ্রাসোলা পেনগোলীন
বৈজ্ঞানিক নাম Crassula ‘Pangolin Crassula ,এটা : Crassulaceae পরিবারভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : মার্কিন যুক্তরাস্ট ।
৬) ফ্রিতা পুলচা – ফেইরী এলিফ্যান্ট ফিট
বৈজ্ঞানিক নাম : Frithia pulchra ,এটা Aizoaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : দক্ষিন আফ্রিকা ।
৭) সেমপারভিভাম টেকটোরাম
বৈজ্ঞানিক নাম Sempervivum tectorum, এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : ইউরোপের পশ্চিম , মধ্য ও দক্ষিনেঅআল্পস পর্বতমালা এলাকা ।
৮) ক্রাসুলা ক্যপিটেলা কেমপায়ার
বৈজ্ঞানিক নাম Crassula capitella ‘Campfire’, এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : গার্ডেন অরিজিন ।
৯) হিউরিনা জেবরীনা
বৈজ্ঞানিক নাম: Huernia zebrina , এটা Apocynaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : মোজাম্বিক, সোয়াজীল্যন্ড, জিম্বাবুই ও দক্ষিন আফ্রিকা ।
১০) ক্রাসুলা কেপিটেলা –রেড পাগোডা
বৈজ্ঞানিক নাম: Crassula capitella ,এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : নামিবিয়া ও সাউথ আফ্রিকা ।
১১) কালাঞ্চো টমেনটোসা –পানডা বিয়ার প্লান্ট
বৈজ্ঞানিক নাম: Kalanchoe tomentosa ,এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : মাদাগাস্কার ।
১২) নপালিয়ো, জার্মান এমপ্রেস
বৈজ্ঞানিক নাম : Disocactus phyllanthoides,এটা Cactaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : মেক্সিকো ।
১৩) ক্রাসুলা মরগান বিউটি
বৈজ্ঞানিক নাম : Crassula ‘Morgan’s Beauty’ এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত ।
১৪) ইপোমিয়া ব্লজিয়ানা
বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea bolusiana,এটা Convolvulaceae পরিবারভুক্ত ।
মূল জম্মস্থান : মাদাগাস্কার ও সাউথ আফ্রিকা ।
১৫) এডেনিয়াম অবিসাম- ডেজার্ট রোজ , ইমপালা লিলি
বৈজ্ঞানিক নাম : denium obesum ,এটা Apocynaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : দক্ষিন সাহাড়া, সেনেগাল , সুদান ।
১৬) ইচাভিয়েরা এগাভাইডস ‘লিপস্টিক’
বৈজ্ঞানিক নাম : Echeveria agavoides ‘Lipstick’,এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : বাগানজাত ।
১৭) এগাভা এটানটা – ফক্স টেইল
বৈজ্ঞানিক নাম : Agave attenuata ,এটা Asparagaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : মধ্য মেক্সিকো প্লেচু এলাকা ।
১৮) এওনিয়াম এলোভারিয়াম
বৈজ্ঞানিক নাম : Aeonium arboretum, এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত ।
১৯) রিবোটিয়া হিলিউসা
বৈজ্ঞানিক নাম : Rebutia heliosa Rausch, এটা Rebutia heliosa Rausch পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : বলিভিয়া ।
২০) এওনিয়াম মারডি গ্রাস
বৈজ্ঞানিক নাম : Aeonium ‘Mardi Gras’,এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : এটি Aeonium ‘Velour’ এবং একটি নাম না জানা হাই ব্রিড এর শঙ্কর , Renee O’ Connell এর সৃজনকারী ।
২১) সিডাম মাছভমেরিয়াম
বৈজ্ঞানিক নাম : Sedum nussbaumerianum ,এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : মেক্সিকো
২২) লফোফরা উলিয়ামসী ( ডেভিলস রুট হিসাবে পরিচিত)
বৈজ্ঞানিক নাম : Lophophora williamsii ,এটা Cactaceae পরিবারভুক্ত ।
উত্পত্তিস্থল : মার্কিন যুক্তরাষ্টের টেক্সাস ও মেক্সিকো ।
২৩) ফায়ার বেরেল কেকটাস
বৈজ্ঞানিক নাম : Ferocactus gracilis,এটা Cactaceae পরিবারভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : মেক্সিকো ।
২৪) টিটানপসিয়া কেলকেরিয়া( ভেড়ার চিহ্বা নামেও অভিহিত)
বৈজ্ঞানিক নাম : Titanopsis calcarea,এটা Aizoaceae পরিবারভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : সাউথ আফ্রিকা ।
২৫) অরবিয়া ডুমেরী
বৈজ্ঞানিক নাম : Orbea dummeri,এটা Apocynaceae পরিবারভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : কেনিয়া, তানজানিয়া, উগান্ডা এবং বুরুন্ডি ।
২৬) হলুদ কেরিয়ন ফ্লাওয়ার
বৈজ্ঞানিক নাম : Orbea lutea ,এটা Apocynaceae পরিবারভুক্ত
মূল জম্মস্থান : দক্ষিন জিম্বাবুই আফ্রিকা, বতসোয়ানা , এঙ্গোলা, মোজাম্বিক , ।
২৭) এচাভেরিয়া সেট অলিভার
বৈজ্ঞানিক নাম : Echeveria set-oliver,এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : জানা যায়নি , তবে এটা একটি হাইড্রিড শঙ্কর ।
২৮) স্টেপালিয়া জায়গানটিয়া ( ষ্টার ফিস ফ্লাওয়ার নামেও পরিচিত)
বৈজ্ঞানিক নাম : Stapelia gigantean, এটা Apocynaceae পরিবারভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : দক্ষিন জিম্বাবুই আফ্রিকা, বতসোয়ানা , এঙ্গোলা, মোজাম্বিক
২৯) রেট টেইল কেকটাস
বৈজ্ঞানিক নাম : Disocactus flagelliformis,এটা Cactaceae পরিবারভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : মেক্সিকো ।
৩০) ফ্লেমিং কেটি ( ক্রিস্টমাস কালঞ্চ নামেও পরিচিত)
বৈজ্ঞানিক নাম : Kalanchoe blossfeldiana, এটা Crassulaceae পরিবারভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : মাদাগাস্কার ।
৩১) লয়ার্স টং ( উকিলের জিহ্বা বা ঘৃত কাঞ্চন নামেও পরিচিত)
বৈজ্ঞানিক নাম : Gasteria bicolour,এটা Xanthorrhoeaceae পরিবারভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : দক্ষিন আফ্রিকা ।
৩২)ডেভিলস ট্রামপেন্ট
বৈজ্ঞানিক নাম : Tavaresia barklyi ,এটা : Apocynaceae পরিবারভুক্ত
মূল জম্মস্থান : দক্ষীন জিম্বাবুই আফ্রিকা, বতসোয়ানা , এঙ্গোলা, মোজাম্বিক
৩৩) ফ্লেমিং কেটি ( ক্রিস্টমাস কালঞ্চ নামেও পরিচিত)
বৈজ্ঞানিক নাম : Kalanchoe blossfeldiana, এটা : Crassulaceae পরিবারভুক্ত
মূল জম্মস্থান : মাদাগাস্কার ।
বাংলাদেশে এটা পাথরকুচী নামে সমধিক পরিচিত এবং এটা বাংলাদেশে অনেকেই টবে লাগিয়ে থাকেন ।
৩৪) এলো ভিয়েরা ( মিরাকল প্লান্ট হিসাবেও পরিচিত )
বৈজ্ঞানিক নাম : Aloe vera, এটা Xanthorrhoeaceae পরিবারভুক্ত
উত্পত্তিস্থল : আফ্রিকার মরুভুমি অঞ্চল ও মাদাগাস্কার ।
এলো ভিয়েরা সহজ উপায়ে বংশ বিস্তার করে , টবে লাগানো হলে এক বছরের মধ্যেই শিকর থেকে এর চারপাশে অনেক চারা গজায় ।
এটি একটি ঔষধি উদ্ভিদ এবং এর রয়েছে প্রায় ৪০ প্রকার পরিক্ষিত ঔষধি গুণ । এর নির্যাস হতে পুড়া ক্ষতের জলুনি নিরসম , সানবার্ন নিরসন , মাথায় নতুন চুল গজানো, খুশকী দুর করা , দাত বেথার উপসম দাতের মারী ক্ষয়রোধ , মুখের কাল দাগ দুর করা , মুখের চামড়ায় মশৃনতা বৃদ্ধি করা, চামড়া সতেজতা ধরে রেখে বয়স কম দেখানো, ডায়াবেটিক , কোলস্টরেল, বদহজম ও গেসট্রিক এর উপসম, স্টমাক আলসার ও মুত্রাশয়ের ইনফেকশন দুরীকরন প্রভৃতি ঔষধি কাজে এই গাছের নির্যাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে । তাই এই গাছটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি রয়েছে এর বহুমুখী গুণ । এর পরিচর্যাও খুব সহজ , একবার লাগালে সপ্তাহে একটি টবে এক গ্লাস পরিমাণ পানি দিলেই যথেস্ট । এর পাতা পানিকে ধরে রাখে দীর্ঘ দিন ।
ছবি ও তথ্য সুত্র : গুগল নেট
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩০