সদা হাস্যময়ী
বিষণ্যতা করেনি
তাকে স্পর্শ
চোখ ভরা স্বপ্ন
নির্মল চেহারা
শুনতে পায়না কানে
বলতে পারেনা কথা
ভরসা এক জোড়া
টানা টানা চোখ ।
স্কুলে পাঠ নেয়া কালে
শুধুই চেয়ে থাকে
ফ্যাল ফ্যাল করে,
মেলে ধরে কাগজের
টুকরা সহপাঠি পরে
টোকে নিত পাঠের বিষয়
এবং হোম ওয়ার্ক সকলের।
ঘরে এসে খুলে বইখাতা
নিবিষ্ট মনে নিত তুলে
যা কিছু আছে লেখা
কাগজের পাতা জুরে ।
বছর শেষে অবাক করা
ফল করে টেলেন্ট পুলে
বৃত্তি নিয়ে ফিরত ঘরে
স্নেহময়ী মায়ের কোলে ।
নাম তার সুমাইয়া রহমান
ওরফে রিয়া, এবছর
বগুরার পুলিশ স্কুল হতে
এস এস সিতে অবতীর্ণ হয়ে
বিজ্ঞানে সকল বিষয়ে
জিপিএ -৫ পেয়ে
গড়েছে কির্তিময়তা ।
দুবছর বয়সকাল হতে শ্রবণ
ও বাক প্রতিবন্ধী হয়েও
গড়েছ কির্তি তুমি
লহ মোদের প্রাণ ঢালা
প্রিতি ও অভিনন্দন ।
শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী
মেয়েটি স্বপ্ন কি তার
জানাল প্রতিবেদকেরে
বলতে পারিনা কথা
শুনতে পাইনা কানে
তাই ঈশারায় জানাই ।
এতদিন হৃদয়ে আমার
ছিল যা গোপনে
তা সহসা এসে আজ
প্রাণে আনল জোয়ার
সেকথা বলব কি ভাবে,
কত যে স্বপ্ন ছিল
ভাষায় পারিনা বলে
কাগজের টুকরায়
লিখে তা জানায় ।
মেলানো কাগজের পাতায়
লিখে দিল অবলিলায়
স্বপ্ন দেখি সেই ছোটবেলায়
স্কুল কলেজ ভার্সিটির গন্ডী
পেরিয়ে হব বড় ব্যাংকার
যদিও শুনেছি বোবা কালাদের তরে
চারুকলাই নাকি আদর্শ কর্মসম্ভার ।
স্বপ্নের কথা সব শুনে
প্রাণ খুলে আশীর্বাদ
পাঠালাম সুমাইয়া তোমার পরে
কামনা করি স্বপ্ন তোমার
পৌঁছে যাক আকাশ চুড়ায়
দেশের ব্যাংক ছাড়িয়ে
বিশ্ব ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়
আসুক তব হাতের মুঠায় ।
মিনতি রইল সকলের তরে
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী
এ সদা হাস্যময়ী বালিকাটি
অকালেই যেন উড়ে না যায়
কোন কাল বোশেখীর ঝড়ে ।
সুন্দর হোক মসৃন হোক
তোমার মত আর সকল
শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীর
কষ্টকর দু:সাহসিক জীবন ।
তারাও যেন প্রেরণা পায়
আর জীবন চলার পথে
তোমার মত অসাধারণ
মেধা ও প্রয়োগ কৌশল
করতে পারে অনুসরন ।
তথ্য সুত্র ও ছবি : দৈনিক প্রথম আলো ২০/৫/২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৫০