পাগলী তোরে না বলছি
আমারে আর জালাছনি
তুই কেনে বার বার
খোলা দরজার কাঠ ধরে
জানালার কাছে এসে
শিশ দিয়ে যাছ
জানছনা এখন আমি
পিরিতির কবিতা লিখি ।
তুই যদি আবার আসিছ
জানালার কাছে শিশ দিছ
বাঘের মত দিব হুঙ্কার
কাল চুলের বেণি ধরে
পরায় দিমু কালির মালা
রক্ত জবা যাবে খসি
ভাল মত টের পাবি
কারে কয় জালা।
বুঝে যায় পাগলি
ভয়ে সে তরপায়
ভিরু অনুরাগে ভাবে
পাগলটা গেছে রেগে
শুরু করবে চিতকার
পাড়া করবে গরম
মরব আমি শরমে ।
ভয়াতুর দুটি চোখে
পাগলের চেহারা দেখে
কাঁপে পাগলীর মন
ভিরু কম্পিত মুখখানি্
ছড়ানো আঞ্চলে লোকায় ।
হঠাৎ শুনে পাগলের ডাক
গোমটা করে খানিক ফাক
শান্ত মিনমিনে গলায় বলে
খোলা দরজার চৌকাঠ ধরে
দাঁড়িয়ে থাকব কত কাল,
পাগলীর কথা শুনে
পাগলের ভিতর তন্ত্রী
করে উঠে শিন শিন
চোখে আসে মৃদু জল
গলাটাও যায় যে ধরে,
কিছুক্ষন থেকে চুপচাপ
ইশারায় পাগলীকে ডাকে ।
অবাক নয়নে পাগলী দেখে
পাগলটা কেমন করে কাঁদে
পাগলির চোখেও আসে জল
যেতে চায় পাগলের সাথ
জড়িয়ে ধরে বলতে চায়
আমার পাগল টা রে
মিছেই আর জালাবনা তোরে
শুধু একটু ভালবাসিছ মোরে
তোর সাথে বাচতে চাই
এক সাথে মরতেও চাই
করিছনা রাগ আমার সাথে ।
আমার মিঠা জালা তোর
ভালা লাগেনা কেরে
কেন কথায় কথায়
রাগ করিছ আর
অকারণে গাল ফুলাছ
আমার যে ডর করে ।
শান্ত গলায় পাগল বলে
ও আমার ময়নারে
তুই আর কাঁদিছ নারে
জোরে জোরে দিয়া শিশ
কান মোর ফাটায় দিছ
কবিতার খেতা কিলাই
আমারে জলদি পাগল
বইল্যা একখান ডাকদে,
এই ফাকে দুর গগনে
উঠে বেজে লালনের গান
দই পাগলের রংগীন মেলা
হোক সারা বেলার খেলা
সপে দিয়া লালনের নামে
পাগল আর পাগলীর গলাগলি
ক্ষনিকেই মিশে যায় আনন্দধামে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:৪৬