এখন আমি নীরব রাতের সাক্ষী হয়ে
নীল আকাশের তারা গুনে গুনে খুজে ফিরি
নতুন কোন গ্রহের অস্তিত্ব। খুজে ফিরি,
হারানো ক্ষনের মধুর প্রহরগুলো।।
এখন আমি তোমার কাছে
ফেলে দেয়া শ্যাম্পুর বোতল,
আর পুরোনো খবরের কাগজের মত
অযত্ন আর অবহেলার। ফুরিয়ে যাওয়া
দেশলাই বাক্সের মতই নিষ্প্রয়োজন।
এখন আমি তোমার ওয়াস্ট পেপার বাস্কেটের
কালীশুন্য কলমের মতই মূল্যহীন।
ক্ষয়ে যাওয়া পেন্সিলের অবশিষ্টাংশের মত
পড়ে আছি, হয়ে চলৎ-শক্তিহীন।
এখন আমি তোমার সেলফোনে রিচার্জ করা-
কার্ডের মত; ওয়ানটাইম ইউজ্ড হয়ে
নির্জীব-নিষ্পলকে বেচে আছি আবর্জনার তলে।
এখন, আমি তোমার কাছে পচা-বাসী
গন্ধে ভরা, এক গুচ্ছ রজনীগন্ধার ষ্টীক।
ফুলদানীতে তোমার নতুন ফুলেদের ভীড়ে
ছিটকে পড়েছি, রাস্তার পাশে পুরোনো নর্দমায়।।
এখন আমি স্বপ্ন দেখতে গিয়ে দুস্বপ্নের
ভয়ে জেগে উঠি, প্রচন্ড পিপাসা নিয়ে।
সত্যি বলতে কি..? এখন আমি ঘুমোতেও
ভয় পাই, পাছে দুঃস্বপ্ন তাড়া করে।
তন্দ্রা-ঘোরে যখন দেখতে পাই,
প্রকান্ড এক গডজিলার বেশে
শিয়রে দাঁড়িয়ে তুমি........!
মনে হয় খাবলে দেই তোমার থেবড়ানো গালে।
থমকে দাড়াই। পাছে ঘুম ভাঙে......প্র..চ..ন্ড পিপাসায়।।
যখন আধারের মাঝেও স্পষ্ট দেখতে পাই,
তোমার রক্তলাল ঠোটে ক্লিউপেট্টার অট্টহাসি..
প্রচন্ড আঘাতের পর তোমার ঝলসানো মুখে,
দেখতে ইচ্ছে হয়। সৌন্দর্যের আড়ালে,
কতখানি বিভীৎসতা লুকিয়ে রেখেছ তুমি।।
কিন্তু জানি, কখনই আমি তা পারবনা।
কারন প্রাণের সমস্ত সরলতার সৌন্দর্যে
হৃদয়ের গভীর থেকে সত্যিই,
তোমাকে একদিন ভালবেসেছিলাম।।
তাই, এখন আমি দিনের আকাশেও
তারা খুজি। সহস্র উপমার বাইরে গিয়ে
নিজেকে মনে হয়, বারের কোণে পড়ে থাকা
এক্সপায়ার ডেটেড্ এক বোতল শ্যাম্পেন।।
(বেশ কয়েক বছর আগে, খুব কাছ থেকে দেখা এক বড় ভাই এর “ছেলেটি বাদাম ছিলিত, মেয়েটি বাদাম গিলিত। বাদাম হইল শেষ, মেয়েটি নিরুদ্দেশ” টাইপের বাস্তব গল্প দেখার পর তাকে সমবেদনা জানিয়ে লিখেছিলাম)