রোববার সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “জামায়াতে ইসলাম যুদ্ধাপরাধী দল। কারণ তারা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাদের নিষিদ্ধ করা ছাড়া গত্যান্তর নাই।
“তাদের নিষিদ্ধের বিষয়ে আমাদের একটি প্রচেষ্টা ছিলে। আইনমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছিলেন- এই সেশনেই জামায়াত নিষিদ্ধ করার জন্য আইন আসবে। আমি আশা করি, দ্রুতই সেই আইন সংসদে উত্থাপিত হবে।”
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠন করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরু হলে ‘যুদ্ধাপরাধী দল’ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের দাবিও জোরাল হয়।
এরই মধ্যে শর্ত পূরণ না করায় হাই কোর্টের আদেশে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। ফলে বাংলাদেশে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ে দলটি। ওই আদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী আপিল বিভাগে গেলেও সেই শুনানি শুরু হয়নি।
একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াতের শীর্ষ নেতারা কখনও ক্ষমা চাননি, বরং তারা বলে এসেছেন, তাদের সেই অবস্থান ‘সঠিক’ ছিল। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন মামলার বিচারেও মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার তথ্য উঠে এসেছে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াতের আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ে জামায়াতকে একটি ‘ক্রিমিনাল সংগঠন’ বলা হয়। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে দল হিসেবে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি জোরাল হয়ে উঠলে প্রসিকিউশন তদন্তও শুরু করে। কিন্তু ব্যক্তির পাশাপাশি দল বা সংগঠনের বিচারে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো না থাকায় বিষয়টি আটকে আছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত মাসে সাংবাদিকদের জানান, আইন সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত হয়ে গেছে; শিগগিরই তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। আর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, সব আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ বছরই মধ্যেই বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮