এক
আমি প্রত্যেক ফ্রাইডেতে
কনকনে শীতের সাথে গল্প করে হাসপাতালের দিকে যাই
শীতার্ত হাত দুটি রোদ পোহায় উইন্টার জ্যাকেটের পকেটে।
যে রোদের একদিন একটা ফড়িং জীবন ছিল
অবিরাম ঘুরে বেড়াত শহরের ব্যস্ত চত্বর থেকে
গ্রামের সবুজ নীরবতায়
অতঃপর দীঘির জলে স্নান করত ।
সে রোদ এখন উইন্টার জ্যাকেটের পকেটে এবং
মাঝেমাঝে হ্যান্ড গ্লাভসের ভিতর বন্দী জীবন কাটায়।
দুই
হাসপাতালের পথে প্রায়ই এক বৃদ্ধাকে দেখি
ট্রলিতে করে ফিরছে ডেমোক্রেসি,কমিউন্যালিজম্,
পুঁজিবাদ সমাজ ব্যবস্থা । আমি তার কাছাকাছি
গেলে সে আমাকে হাসি মুখে হ্যাপি ফ্রাইডে বলে,
তারপর কর্কশ কণ্ঠে হাসপাতালে যেতে মানা করে,
সে বলে -যেসব মানুষ হাসপাতালের ভিতরে গেছে
তারা নাকি সবাই গিনিপিগ হয়ে ফিরেছে। দেখছ না
আমাদের চারপাশে কত গিনিপিগ ঘুরে বেড়াচ্ছে !
তিন
আমি বৃদ্ধার কথা উপেক্ষা করে প্রত্যেক ফ্রাইডেতে
গিনিপিগ জীবনের দিকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ছুটে যাই।
________________________________________
২০১১ সালের বইমেলায় আমরা ৫ জন ব্লগার মিলে একটা কবিতার বই বের করেছিলাম। সবার সম্মতিক্রমে সে বইয়ের নামকরন করা হয়েছিল আমার এই কবিতা'র শিরোনাম দিয়ে।