বাহিরে পা না ফেলতেই ভোরের শীত শীত ভাবটা গায়ে লাগতে শুরু করলো তাই জেকেটটা হাতে নিয়ে আর বাবার রেখে যাওয়া মাফলারটা গলায় ঝুলিয়ে হাটতে লাগলাম নিরব পরে থাকা প্রসস্থ্য রাস্তায়। কোন মানুষের কোলাহল নেই। নেই কোন ব্যাস্ত যানজট। আশেপাশে পড়ে থাকা রিকশাগুলো কোন মালিক নেই কেউ কোন রিং রিং শব্দ করছে না। রাস্তার কুকুর গুলোর কোন চিৎকার নেই। ঘুমন্ত মনে নিবির সপ্ন দেখছে হয়তো এ কুকুর গুলো। কোয়াশায় ঘেরা পথটা একা হাটতে কি যে ভিষন ভালো লাগছে যা বলে শেষ করা যাবে না, পায়ে থাকা নতুন কেস গুলো বালি জমে গেছে তাই একটু পর পর বালি গুলো সরিয়ে দেই তারপরে ও বালি পরে। এক দুজন মানুষ দেখা যায় ধীর গতিতে হাটছে। দেখেই বুজা যাচ্ছে বয়স্ক লোক। হাটতে হাটতে আমি ও অনেক দূর এগিয়ে চলে এসেছি, আস্তে আস্তে আলো প্রসারিত হচ্ছে চারোদিক। গাছগাছালি আর উচু দালানকোঠা গুলো দেখা যায় দূর প্রান্তে। এখন মানুষগুলো জাগবে, ঘুম ভেঙ্গে আবার অনেকে হাঁটতে বাহির হবে। সেই পুরনো কালিন বড় পোলে একা বসে আছি, চারদিকে বিস্তৃত ধান ক্ষেতের সবুজ নিবিড় চিত্রটা অনিমেষ তাকিয়ে আছি। হালকা কোয়াশায় এতো সুন্দর প্রকৃতি জুড়িয়ে যাচ্ছে প্রাণ। সকাল হতে আর দেরি হলো না আলোর প্রতিবিম্ব দেখা যায়, চারপাশ আলোকিত হয়েছে। সূর্য উদয় হচ্ছে পূর্ব দিগন্তে। একটু পরেই শুরু হবে ব্যস্ততা। রাস্তাগুলো আর ফাঁকা থাকবে না। জনশূন্য রাস্তা আবার ব্যাস্ত হবে ট্রাফিক জেমে। হই হুল্লোড় শুরু হবে আকাশে বাতাসে। চারদিকে বিকট শব্দগুলো আবার হতাশা বাড়িয়ে দিবে। আবার শুরু হবে আমাদের অন্যরকম চিন্তা, অন্যরকম ভাবনা। এমন ভোর বেলা আসতে সময় লাগবে আরো ২৪ ঘন্টা। তবে সব ভোরবেলা কি একই রকম যাবে? হয়তো যাবে বা হয়তো যাবে না। আমার ভোরবেলাটা আজ মনের মতো কাটিয়েছি। শীতের চলে আসা ভোরে কেউ নামাজের জন্য ডেকে দিবে তা আগে ভাবিনি। নামাজ পড়েই বাহির হয়েছি। তাই হয়তো ভোরের মনটা আজ সজীব লাগছে। ভোর হলে রোজ একটু ডেকে দিয়েন। যার ভোর সকালটা এতো ভালো হয়েছে আশা রাখি সারাদিনটা ও আজ ভালো কাটবে। আপনাকে ধন্যবাদ।।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯