রক্তৰয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। 26 মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস।
একাত্তরের 25 মার্চ ছিল এ জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কালো অধ্যায়। ওই রাত ছিল সবচেয়ে কালোরাত্রি, সবচেয়ে তমসাচ্ছন্ন রাত্রি। 25 মার্চের মধ্যরাতের পর এই জনপদ এবং জনপদের মানুষ দিক-নির্দেশনাহীন এক ভয়াবহ বিপন্ন অবস্থায় পড়েছিল। জাতীয় ইতিহাসের এই দুর্যোগময় মুহূর্তে জাতীয় নেতৃবৃন্দ কোনো দিক-নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়ে ব্যসত্দ ছিলেন আত্মসমর্পনে কিংবা আত্মগোপনে। জনগণকে ঘাতকদের সামনে ফেলে রেখে জাতীয় নেতারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটে চললেন বুড়িগঙ্গা পার হয়ে কেউ কেউ পশ্চিম সীমানত্দের দিকে, কেউবা উত্তর-পূর্বে। সেই ঘোর অমানিশার মধ্যে, অত্যনত্দ আকস্মিকভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশের নৰত্রের মতো উদয় হলেন জিয়াউর রহমান। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ইথারে ভেসে এলো তার কণ্ঠ_'আমি মেজর জিয়া বলছি'। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করলেন তিনি। সেই অসহায়, বিশৃংখল এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্তে মেজর জিয়ার প্রত্যয়দীপ্ত, সাহসিকতাপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘোষণা সমগ্র জাতিকে ঘুরে দাঁড়াবার সাহস যোগায়। সবার মধ্যে এই আস্থা সৃষ্টি করে যে, অসহযোগ আন্দোলনের পরে সশস্ত্র সংগ্রামের অধ্যায় শুরম্ন হয়েছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী অগ্রবর্তী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
সেই দিনটির স্মৃতিচারণ করে 'একটি জাতির জন্ম' শীর্ষক নিবন্ধে জিয়া নিজেই লিখেছেন_''আমরা বন্দরের পথে বেরোলাম। আগ্রাবাদে আমাদের থামতে হলো। পথে ছিল ব্যারিকেড। সেই সময়ে সেখানে এলো মেজর খালেকুজ্জামান চৌধুরী। ক্যাপ্টেন অলি আহমদের কাছ থেকে একটি বার্তা নিয়ে এসেছে। আমি রাসত্দায় হাঁটছিলাম। খালেক আমাকে একটু দূরে নিয়ে গেল। কানে কানে বললো, তারা (পাক আর্মি) ক্যান্টনমেন্ট ও শহরে সামরিক তৎপরতা শুরম্ন করেছে। বহু বাঙালিকে ওরা হত্যা করেছে। এটা ছিল একটা সিদ্ধানত্দ গ্রহণের চূড়ানত্দ সময়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমি বললাম_ আমরা বিদ্রোহ করলাম। তুমি ষোলশহর বাজারে যাও। পাকিসত্দানি অফিসারদের গ্রেফতার করো। অলি আহমদেক বলো ব্যাটালিয়ন তৈরী রাখতে; আমি আসছি।"
25 মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে পাক কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্নেল জানজুয়া মেজর জিয়াউর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন নৌবাহিনীর ট্রাকে করে চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে জেনারেল আনসারীর কাছে রিপোর্ট করতে। জিয়া বুঝতে পেরেছিলেন তাকে হত্যার জন্যেই এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ পালন করা তার পৰে সম্ভব ছিল না। তাই সব সিদ্ধানত্দ নিয়েই তিনি বন্দরের পথে বের হন। পথে খালেকুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপের পর তৎৰণাতই বিদ্রোহ ঘোষণার ঐতিহাসিক সিদ্ধানত্দটি নেন জিয়া। এরপর জিয়া ট্রাকটি ঘুরিয়ে ষোলশহর বাজারে পেঁৗছে প্রথমে ট্রাকে পাকিসত্দানীদের গ্রেফতার করেন এবং কমান্ডিং অফিসারের জীপ নিয়ে তার বাসায় গিয়ে লেঃ কর্নেল জানজুয়াকে গ্রেফতার করে ব্যাটালিয়নে নিয়ে আসেন। অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ব্যাটালিয়নে পেঁৗছে মেজর জিয়া মেজর শওকত আলীকে ডেকে জানালেন বিদ্রোহ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মেজর জিয়ার নির্দেশে পাকিসত্দানী অফিসারদের বন্দী করে ব্যাটালিয়নে একটি ঘরে বন্দী রাখা হয়।
এরপর জিয়া বেসামরিক বিভাগের টেলিফোন অপারেটরদের মাধ্যমে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাকিসত্দান সেনাবাহিনী ও সরকারের বিরম্নদ্ধে বিদ্রোহ করার কথা ডিসি, এসপি, কমিশনার, ডিআইজিসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের জানাতে চেষ্টা করেন কিন্তু কাউকে তখন পাওয়া যায়নি। জিয়া ক্যাপ্টেন শমসের মোবিনের মাধ্যমে ব্যাটালিয়ন অফিসার, জেসিও এবং জওয়ানদের ডাকেন এবং তাদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরম্নদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেন। তারা উৎফুলস্ন হয়ে মেজর জিয়ার আহবানে সাড়া দেন। তখন রাত 2টা। 25 মার্চের শেষ এবং 26 মার্চের শুরম্ন। পাক আর্মির বিরম্নদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার ঐতিহাসিক সিদ্ধানত্দটির মাধ্যমে মেজর জিয়াই চট্টগ্রাম থেকে প্রথম সূচনা করলেন মুক্তিযুদ্ধের। 'আমরা বিদ্রোহ করলাম'-এই ঘোষণা সমগ্র চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম কেন দেশের সব ক্যান্টনমেন্টে বাঙালী সামরিক অফিসারদের মুহূর্তের মধ্যে প্রস্তুত করে তোলে মুক্তিযুদ্ধের জন্য।
চট্টগ্রামে অস্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণার পর মেজর জিয়া বললেন, আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরম্ন করলাম। এখন আমরা কালুরঘাটের দিকে যাব। জিয়ার নেতৃত্বে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের সৈনিকরা 26 মার্চ ভোরে কালুরঘাটের একটু দূরে গিয়ে পেঁৗছল। সেখানে তারা পুনঃসংগঠিত হয়। ওইদিনই সন্ধ্যায় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়া স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাটি দেন_''প্রিয় দেশবাসী, আমি মেজর জিয়া বলছি। আমি বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের সুপ্রীম কমান্ডার ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আপনারা দুশমনদের প্রতিহত করম্নন। দলে দলে যোগ দিন স্বাধীনতা যুদ্ধে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর প্রতি আমাদের আহবান, আমাদের এই ন্যায় যুদ্ধে সমর্থন ও সাহায্য দিন---ইনশাআলস্নাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।'' মেজর জিয়ার এই ঘোষণার পর সেখানে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। ফলে তাদের অনুরোধে 27 মার্চ সন্ধ্যায় মেজর জিয়া স্বাধীনতার দ্বিতীয় ঘোষণাটি দেন। কালুরঘাট বেতার থেকে ইথারে ভেসে আসে সেই তেজোদীপ্ত ঘোষণা_ "প্রিয় দেশবাসী, আমি মেজর জিয়া বলছি। আমি মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৰে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আপনারা দুশমনদের প্রতিহত করম্নন। দলে দলে এসে যোগ দিন স্বাধীনতা যুদ্ধে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশসমূহ বিশেষ করে বৃহৎ শক্তিবর্গ ও পাশর্্ববর্তী দেশসমূহের প্রতি আমাদের আহবান, আমাদের এই ন্যায় যুদ্ধে সমর্থন দিন ও স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিন এবং দখলদার পাকিসত্দানী সৈন্যদের গণহত্যা বন্ধ করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করম্নন। আলস্নাহ আমাদের সহায় হোন।" জিয়ার এই স্বাধীনতার ঘোষণাটি পরদিন 28 মার্চ সারাদিন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে নিউজ আকারে পড়ে শোনান ক্যাপ্টেন শমসের মোবিন চৌধুরী। 29 মার্চ চট্টগ্রামের আসকারদীঘি অপারেশন হয়। এখানে পাকিসত্দান সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রায় 12 ঘন্টা যুদ্ধ হয়। 30 মার্চ হয় বাকুলিয়া গ্রাম অপারেশন। এখানে পাকিসত্দান সেনাবাহিনীর দু'জন গেরিলা কমান্ডোকে হত্যা করা হয়। 30 মার্চ পাকিসত্দানীরা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রটি ধ্বংস করে দেয়। 11 এপ্রিল কালুরঘাট ব্রীজ অপারেশন চালানো হয়। এখানে ক্যাপ্টেন শমসের মোবিন গুরম্নতর আহত হয়ে পাকিসত্দানীদের হাতে ধরা পড়েন। 11 এপ্রিল পর্যনত্দ কালুরঘাট থেকে মেজর জিয়ার নেতৃত্বে বীর যোদ্ধারা চট্টগ্রামে যুদ্ধ চালিয়ে যান। তাদের এই যুদ্ধে নিশ্চিহ্ন হয়েছিল পাকিসত্দানের 20তম বালুচ রেজিমেন্ট, কুমিলস্না থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া 53 ব্রিগেড এবং অবাঙালীদের ঘরে ঘাঁটি গেড়েছিল যেসব পাকিসত্দানী কমান্ডো। কালুরঘাট থেকে অবস্থান সরিয়ে নেয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে বিসত্দীর্ণ এলাকায়। এ যুদ্ধ চলে রামগড়-রাঙ্গামাটি এলাকায়। যুদ্ধ চলে কক্সবাজারের পথে শুভপুরে। অর্থাৎ জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ তথা মুক্তিযুদ্ধও শুরম্ন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সৈনিকও। তার নেতৃত্বে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টই স্বাধীনতা যুদ্ধের পথিকৃৎ। 1971 সালের 26 মার্চ থেকে শুরম্ন করে 17 এপ্রিল পর্যনত্দ মেজর জিয়াই ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক। 17 এপ্রিল মুজিব নগরে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হলে কর্ণেল আতাউল গনি ওসমানীকে পূর্ণ জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। এরপর পরিকল্পিতভাবে শুরম্ন হয় মুক্তিযুদ্ধ। মেজর জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম ব্রিগেড 'জেড ফোর্স' গঠিত হয় 7 জুলাই। মেজর জিয়ার নামানুষারে জেড ফোর্স বা জিয়া ফোর্স রাখা হয়। মুক্তিযুদ্ধে 'জেড ফোর্স' বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এই ফোর্সে তিনটি নিয়মিত পদাতিক বাহিনী ছিল। প্রথম ইস্ট বেঙ্গল, তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল ও অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল। ব্যাটালিয়ন ব্রিগেড কমান্ড করেন জিয়া। ব্রিগেড মেজরের দায়িত্ব পালন করেন ক্যাপ্টেন অলি। মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্স কামালপুর, বাহাদুরাবাদ ঘাট, দেওয়ানগঞ্জ খাল, রৌমারী-চিলমারী, হাজপাড়া, ছোটখাল, সিলেটের গোয়াইনঘাট, টেংরাটিলা, গোবিন্দগঞ্জ, সালুটিকর বিমান বন্দর, ধলাই চা বাগান, ধামাই চা বাগান, জকিগঞ্জ, আলী ময়দান, ভানুগাছ, সিলেট এমসি কলেজ, কানাইঘাট, রামপুর, ফুলতলা চা বাগান, বড়লেখা সেতু, লাতু, সাগরনাথ চা বাগান ইত্যাদি এলাকায় বীরত্বের সঙ্গে পাক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে।
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ, সাধারণ সৈনিক এবং বিশ্ববাসীর কাছে জিয়াউর রহমান বরাবরই রয়ে গেছেন কিংবদনত্দীর মহানায়ক। বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ মেজর জিয়ার জেড ফোর্সের যুদ্ধকে তুলনা করেছেন স্ট্যালিনগ্রাডের যুদ্ধের সঙ্গে। 1971 সালের 11 এপ্রিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত ভাষণে তাজউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন_"চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের সমর পরিচালনার ভার পড়েছে মেজর জিয়াউর রহমানের উপর। নৌ, স্থল ও বিমান বাহিনীর আক্রমণের মুখে চট্টগ্রামে যে প্রতিরোধ বূ্যহ গড়ে উঠেছে তা স্বাধীনতার ইতিহাসে স্ট্যালিনগ্রাডের পাশে স্থান পাবে।" স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তাজউদ্দিন আহমদ বলেন, "এই প্রাথমিক বিজয়ের সাথে সাথে মেজর জিয়াউর রহমান একটি পরিচালনা কেন্দ্র গড়ে তোলেন এবং সেখান থেকে আপনারা শুনতে পান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম কণ্ঠস্বর" (স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র দ্বিতীয় খণ্ড)। 1977 সালের 27 ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান ভারতে গেলে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন_ "একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা দানকারী হিসেবে আপনার মর্যাদা এরই মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত।"
একাত্তরের 25 মার্চ পর্যনত্দ যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব কার্যকর ছিল, মধ্যরাতের পর তা সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত হয়ে পড়েছিল। চরম অসহায়ত্ববোধ থেকেই জাতি সেদিন কারো কাছ থেকে অভয়বাণী শোনার জন্য উন্মুখ হয়ে উঠেছিল। সেই বিপন্ন দিনে ইতিহাস নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করেছিলেন পাকিসত্দান সেনাবাহিনীর অসম সাহসী দেশপ্রেমিক এক দুর্জেয় বাঙালি মেজর। তার নাম জিয়াউর রহমান। 'আমি মেজর জিয়া বলছি'_ এই চারটি শব্দ সেদিন সমগ্র জাতিকে আশ্বসত্দ করেছিল। সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার সুস্পষ্ট চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। নেতৃত্বহীন অনিশ্চয়তার মাঝে আশা এবং আস্থার নিশ্চিত স্থান নির্মাণ করেছিল। কালুরঘাট বেতার থেকে মেজর জিয়ার সেই বরাভয় ঘোষিত না হলে আমাদের ইতিহাস কেমন হতো তা ভাবতেও শরীর শিউরে ওঠে। জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধ শুরম্ন করে দেয়া প্রকৃত অর্থেই স্বাধীনতা যুদ্ধকে আনুষ্ঠানিকতা দান করেছে।
বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ মুক্তিযুদ্ধে মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জেড ফোর্সের বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধকে তুলনা করলেন স্ট্যালিনগ্রাডের যুদ্ধের সঙ্গে। বললেন_'এই যুদ্ধ স্বাধীনতার ইতিহাসে স্ট্যালিনগ্রাডের পাশে স্থান পাবে'।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০