শিক্ষা প্রতিটি মানুষের নাগরিক ও মৌলিক অধিকার। শিক্ষিত হওয়ার অধিকার এটি একটি মানববিকতারও অংশ। কাউকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা কিংবা শিক্ষার সুযোগ না করে দেওয়াটাও অমানবিকতার পর্যায়ে পরে। শিক্ষা ব্যতিত কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। শুধু জাতি নয়, শিক্ষা ব্যতিত কোন একটি রাষ্ট্রের সমাজ ও সংস্কৃতিরও অপরিপক্কতা লক্ষ্য করা যায়। তাই সব মিলিয়ে শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড বলা হয়। প্রতিটি মানুষের মানুষত্বের ও মানবিক মানদন্ডকেও এই শিক্ষা দিয়ে বিচার করা হয়। পৃথিবীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মনিষিরা এই শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানা মতামত ও ভাবনা প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ভাবনা একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কারন বঙ্গবন্ধু শুধু শিক্ষার প্রযোজনীয়তাতাকেই অনুভব করেননি, তিনি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন সম্পদ রূপে। সে সম্পদ মানুষের আত্মিক ও মানবিক বিষগুলোর উন্নতি করবে।
বাংলাদেশের সর্ব সাধারনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৬শে জুলাই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী ড. কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। তাছাড়া ১৯৭২ সালের রচিত বাংলাদেশের সংবিধানেও বঙ্গবন্ধু এই প্রগতিশীল সার্বজনীন শিক্ষা ভাবনার প্রতিফলন দেখতে পাই। তারও পূর্বে পাকিস্তানের সময় পাকিস্তান ভিত্তিক শিক্ষা কাঠামো থেকে বাঙালিদেরকে বের করে আনার জন্য ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময় বঙ্গবন্ধু রেডিও, টেলিভিশনের এক ভাষনে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে আমাদের শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থার এমন পরিস্থিতির উপর লক্ষ্য রেখে এই সময় শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগ সবচাইতে উৎকৃষ্ট কাজ হবে। বঙ্গবন্ধুর তৎকালীন উক্তিটি অবশ্যই বাঙালিদের জন্য পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থার কথাকেই ইঙ্গিঁত করেছিল। ১৯৭২ সালে রচিত বাংলাদেশের সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল এই ভাবে-
অনুচ্ছেদ - ১৭ :
রাষ্ট্র-
(ক) এই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজননীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের
দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামুলক শিক্ষাদানের জন্য ;
(খ) সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সংগতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং এই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ও সদিচ্ছা প্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য;
(গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করিবে।
সার্বজনিন অবৈতনিক বাধ্যতামুলক শিক্ষা সে প্রতিটি নাগরিদের মৌলিক অধিকার সেটাই বঙ্গবন্ধু প্রমান করতে চেষ্টা করেছিলেন বিষয়টি সংবিধানে সংযুক্ত করে। এই অবৈতনিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করাকে ভিত্তি করে ১৯৭২-৭৩ সালে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে রাষ্ট্রীয়করন সহ হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে সরকারী বেতন ভাতার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বৃত্তিমূলক শিক্ষার শিক্ষিত জনগোষ্টি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো মজবুদ করবে, এই ভেবে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে বৃত্তিমূলক শিক্ষা তথা কারিগরি শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। উচ্চ শিক্ষা প্রসারের জন্য ১৯৭৩ সালে ঘোষনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিনেন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মুক্তবুদ্ধির ও মুক্তিচিন্তাচর্চার ক্ষেত্র হিসাবে সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন।
১৯৭২ সালের ২৬শে জুলাই বঙ্গবন্ধু সরকার ড. কুদরত-এ-খুদাকে সভাপতি করে সে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। এই কমিশন ১৯৭৩ সালের ৮ই জুন একটি অন্তর্বতী রিপোর্ট প্রধান মন্ত্রীর (বঙ্গবন্ধু) কাছে পেশ করেন। কুদরদ-এ-খুদা শিক্ষা মিশনে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষানীতির ভাবনা বা শিক্ষাদর্শনই প্রতিফলিত হয়েছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সুষ্পষ্ট বোধ শিক্ষার্থীদের চিত্তে জাগ্রত করে তাদেরকে সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলাই ছিল বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা তথা কুদরতে-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনের মুল রূপকল্প।
কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনের যে সব বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল তাহলো ঃ-
১. প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করা।
২. মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে সুসমন্নিত কল্যান ধর্মী ব্যক্তিজীবন ও সমাজ জীবনের জন্য সচেতন কর্তব্যবোধ উদ্বূত্ব সৎও প্রগতিশীল জীবন সৃষ্টি সম্পন্ন ব্যাক্তিত্বের বিকাশ সাধন করা।
৩. দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রয়াসে প্রয়োজনীয় মধ্যম স্তরের কর্মকুশল দক্ষ ও কর্তব্যনিষ্ঠ কর্মী সরবরাহ করা।
৪. মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চ শিক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলা।
৫. প্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষার স্তরকে প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে উন্নিত করা।
আর বৃত্তিমুলক অর্থাৎ কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলা হয় যে- বৃত্তিমুলক শিক্ষার ভিত্তি রচিত হবে মাধ্যমিক স্তরে। দশম শ্রেণীর পর বৃত্তিমুলক শিক্ষাক্রমের শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন মতো উচ্চ পর্যায়ে বৃত্তিমুলক শিক্ষায় পারদর্শিতা লাভ করে দক্ষ কর্মী হিসাবে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করবে। বিজ্ঞান্, কৃষি, চিকিৎসা, বাণিজ্য, আইন, ললিতকলা/চারুকলা প্রভৃতি শিক্ষার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে বিস্তৃত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন ড. কুদরত-এ খুদা শিক্ষা কমিশন। সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও বিশ্বের সাথে সমন্নয় সাধন করে বাঙালি জাতির শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য যাতে অগ্রসর হতে পারে সে বিষয়েও কমিশন বিশেষভাবে সচেতন ছিলেন। তাছাড়া এই কমিশনের অন্যতম বৈশিষ্ট ছিল গণমূখী শিক্ষা কিংবা সার্বজনিন শিক্ষা। ড. কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনের গণমূখী শিক্ষাকে অর্থাৎ সার্বজনিন শিক্ষাকেই বর্তমান সময়ে এসে আমরা একমুখী শিক্ষা বলছি। এই একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন সময় আমাদের দেশে যে কার্যক্রমগুলো হয়েছে সেগুলোর একটু সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিতে চাই।
ক. ১৯৮০ এর দশকে প্রথম বারের মত মাধ্যমিক স্তরে পরীক্ষামুলক ভাবে একমুখী
শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। কিন্ত তা সফলতার মুখ দেখেনি।
খ. আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (১৯৯৬-২০০১) এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহযোগীতায় দ্বিতীয় বারের মত একমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় কিন্তু বিভিন্ন অযুহাতে বাজেটের সম্পূর্ণ অর্থ ব্যয় দেখিয়ে সেই বারের মতও একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার কার্যক্রদম বন্ধ হয়ে যায়।
গ. ২০০৫ সালের দিকে বি.এন.পি সরকারের সময়ে নবম ও দশম শ্রেণীতে একমুখী শিক্ষা প্রবর্তনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় । কিন্তু হঠ্যাৎ করে শিক্ষা বর্ষের শুরুর দিকে এই প্রজ্ঞাপন জারীর কারনে এবং তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের ও শিক্ষক সমাজের তুমুল বিরোধীতার মুখে প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে বাধ্য হন।
ঘ. ২০১০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষনা করেন জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ (অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ও ড. খলীকুজ্জামানের নেতৃত্বে এই শিক্ষানীতিটি মুলত বঙ্গবন্ধুর শিক্ষানীতির কাছাকাছি অর্থাৎ ড. কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনের আদলে গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্য বসত আজও পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন সম্ভব হয় নাই।
বঙ্গবন্ধুর একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দাবীতে এখনও পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চলছে। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, আহবায়ক অজয় রায়ের নেতৃত্বে প্রায় ৪০ হাজার লোকের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি প্রধান মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ১০.০৩.২০১৬ ইং তারিখে (তথ্যঃbdnews24.com).
“সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট “ গোলাম কুদ্দস এর নেতৃত্বে মানব বন্ধনসহ নানান কর্মসূচী পালন করে ফেব্রয়ারী ১১, ২০১৭ তারিখে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে।
আবুল কালাম আজাদ , অ্যাড.সমীর ভৌমিক ও শামসুন নাহার আজিজ লীনার নেতৃত্বে
“বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র “মানববন্ধন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গঁনে ২৮ই এপ্রিল,২০১৭ সালে।
তাছাড়াও বিভিন্ন সভা, সেমিনারে জোরালো দাবী জানানো হচ্ছে এই একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দাবীতে। নানান আন্দোলন সংগ্রামের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার ও বসে নেই। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এরই মধ্যে শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তাবায়নের লক্ষ্যে নানান রকম কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। উদহারন সরূপ ২০১৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে আহবায়ক করে জাতীয় শিক্ষানীতি -২০১০ বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কেন্দ্রিয় কমিটি গঠন সহ- উপবৃত্তি সম্প্রসারন, শিক্ষা সহায়তা ভাতা প্রদান, বিভিন্ন এলাকায় স্কূলে দুপুরের খাবার সরবরাহ কার্যক্রম গ্রহন; প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামুল্যে পুস্তক বিতরন কার্যক্রম গ্রহন, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রাক-পাথমিক শ্রেণী চালু, আই, সিটি মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচচ মাধ্যমিক বিভিন্ন স্তরে শিক্ষা প্রকল্প গ্রহন ইত্যাদি। যদিও সাম্প্রতিক কালে হেফজতে ইসলাম সহ বিভিন্ন ধর্মভিক্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের মুখে শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছুটা ধর্মভিত্তিক শিক্ষা বিস্তারের প্রবনতা দেখা যাচ্ছে।কিন্তু প্রগতিশীল শিক্ষা ও সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আন্তরিকতা এই ধর্মভিত্তিক শিক্ষা বিস্তারের প্রবনতা বেশীদূর অগ্রসর হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ সম্পূর্ণ রূপে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে ধর্মভিত্তিক শিক্ষা বিস্তার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আর বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনার অনেকটা কাছাকাছি আমরা পৌঁছে যাব।
আশার কথা যে ২০১৬ সালে এসে শিক্ষা আইন -২০১৬ এর একটি খসড়া প্রনয়ন করা হয় যাতে ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির অনেক বিষয়কে আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা চলছে। এখানে নিরক্ষরতা দূরীকরন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা এবং একই পদ্ধতির বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইন প্রনয়নের প্রয়োজনীয়তাকে বর্মতান সরকারের ইতিবাচক সিধান্ত বলা চলে। বুঝা যাচ্ছে আমরা ক্রমশ বঙ্গবন্ধুর একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার দিকেই অগ্রসর হচ্ছি। যদি না কোন রকম প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদীর কালো ছায়া এই চেতনার উপর ভর না করে বসে। আমাদের বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতা-বঙ্গবন্ধুর সার্বজনীন শিক্ষা তথা একমুখী শিক্ষাকে বাস্তবায়নে আরো উদ্দেগী হবেন এবং স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবেন। কারণ শিক্ষা সংস্কার ব্যতিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া কখনই সম্ভব নয়।
---০---
সহায়তা ও রেফারেন্স সমূহ ঃ
১. গনমুখী শিক্ষা ও বঙ্গবন্ধু- ড. এ কে আজাদ চৌধুরী
বই-বাঙালি, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু।
-মোনাযেম সরকার, পৃষ্ঠা-২৩৩ পৃষ্ঠা ।
২. বাংলাদেশের গনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষানীতি -
লেখকঃ মোনায়েম সরকার
বইঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও রাজনীতি (২য় খন্ড)।
৩. বাংলাদেশের সংবিধান- অনুচ্ছেদ-১৭।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১