খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাসের চাপায় হাদিউল ইসলাম নামের এক ছাত্র নিহত হয়েছেন। তিনি ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেলা দেড়টার দিকে শহীদ মিনারের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসটি শিক্ষার্থীদের নিয়ে রওনা হয়। বাসটি শহীদ মিনার থেকে ক্যাফেটেরিয়ার দিকে যাওয়ার সময় সেখানে অপেক্ষারত হাদিউল ইসলাম বাসে উঠতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। এ সময় ওই বাসের চাপায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে চালক পালিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বাসটিতে ভাঙচুর ও পরে আগুন ধরিয়ে দেন। ছাত্ররা পদার্থ ও রসায়ন বিভাগের ল্যাব, কর্মচারীদের আবাসিক ভবন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়িতেও ভাঙচুর চালান। এ ছাড়া তাঁরা একে একে ক্যাম্পাসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি বাস ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় আরও একটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেন ছাত্ররা। বেলা দুইটা থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে অবস্থান নিলে ওই মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার তানভীর হায়দার চৌধুরী প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বাসটি পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচ-ছয়টি বাস ভাঙচুর করেছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে উত্তেজনাকর অবস্থা বিরাজ করলেও বাইরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
এ ব্যাপারে উপাচার্য মো. সাইফুদ্দিন শাহ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল পাঁচটার দিকে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়েছে।
সূত্রঃ