টায়রা ব্যাংক: আফ্রো-আমেরিকান এই শক্তিমাণ মডেলের জন্ম ১৯৭৩ সালের ৪ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়াতে। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ সুপার মডেল যিনি একাধারে "জি কিউ ষ্পোটস ইলাসট্রেটেড ও প্রচ্ছদ কন্যা হবার গৌরব অর্জন করেন।
টেলিভিষণ দুনিয়াতেও টায়রা ব্যাংক সমান ভাবে সফল। তার উপস্থাপনায় নির্মিত টায়রা ব্যাংক শো' টি সমস্ত দুনিয়া জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০১১-তে তার লেখা "মডেল ল্যান্ড" উপন্যাস টি নিউইয়র্কে বেস্ট সেলারের পুরষ্কারে ভুষিত হয়। ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার এই সুন্দরী মডেলের বাজারে একটি মিউসিক এ্যালবাম-ও রয়েছে। বিশ্বকাপানো এই ব্যাত্বিত্ব ব্যাক্তিগত বিশ্বাস করেন "প্রত্যেক মানুষ তার আশার সমান বড়"।
ইমান আব্দুল মাজিদ ::---
এমন একটি দেশ থেকে এই সুপার মডেল উঠে এসেছেন যে দেশে প্রতিবণ্ধকতার কোন শেষ নেই। ১৯৫৫ সালের ২৫-শে জুলাই সোমালিয়ার রাজধানীতে এক মুসলিম পরবিারে জন্ম গ্রহণ করেন ইমান আব্দুল মাজিদ।
তিনি জার্মান বিশ্ব খ্যাত 'ভোগ' ম্যগাজিনের প্রচ্ছদে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসাবে নিজের নাম লেখান। তার সময়ে তিনি ছিলেন দুনিয়ার সর্বাধিক পারিশ্রমিক প্রাপ্ত সুপার মডেল । এই মডেলের আরেকটি বড় পরিচয় তিনি একজন বিশ্বখ্যাত "বিজনেস এক্সিকিউটিভ"। শূধু তাই নয়, তার বিক্রয় দর্শন ও নীতির কাছে সকলের কিছু না কিছু শেখার আছে। ১৯৯৪ সালে ইমান তার নিজস্ব ব্যাবসা ইমান কসমেটিকস শুরু করেন । উল্লেখ্য যে ২০১০ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি ২৫ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে যা যে কোন ব্যবসায়িকের কাছেই ইর্ষণীয় । বিশ্বের অনেক ক্ষমতাধর পুরুষের ড্রিম কুইন , ধুসর রহস্যময়ী চোখের এই মডেল মনে করেন "শুধু সুন্দর কথা মানুষকে বহুদুর নিয়ে যেতে পারে "।
নাওমি ক্যাম্পবেল : ; --
নাওমি ক্যাম্পবেল সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই। ব্রিটিশ এ মেজাজি কণ্যার জন্ম ১৯৭০ সালের ২২ মে। নাওমি-ই হচ্ছে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী পারিশ্রমিক প্রাপ্ত কৃষ্নাঙ্গ সুপার মডেল সেই সঙ্গে জনপ্রিয়-ও। কৃষ্নাঙ্গ হিসাবে তিনি প্রথম ফ্রেঞ্চ 'ভোগ' ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ হন। নাওমি সবসময় নানা রকম কান্ড ঘটিয়ে খবরের শীরোনাম হতে অভ্যস্ত।
সমস্ত জীবন জুড়ে তিনি যেন ঝামেলায় জড়াতেই বেশী পছন্দ করেছেন। বিশ্বখ্যাত বক্সার মাইক টাইসন সহ বহু খ্যাতিমান তারকার সাথে নানা রকম স্ক্যান্ডালে জড়িয়েছেন জীবনের বিভিন্ন পর্য়ায়ে। শৈশবে নাওমি তার মায়ের কাছে রোমে বেড়ে উঠেছেন। নাওমির মা রোমে ড্যান্সার হিসাবে কাজ করতেন। তাই নাওমি প্রথম জীবনে নিজেকে একজন ড্যান্সার হিসাবেই কল্পনা করতেন। ২০০৮-এ হিথ্রো বিমানবন্দরে লাগেজ হারানোর অভিযোগ হেনে পুলিশের উপর চড়াও হন নাওমি। পরে ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং মোটা অংকের জরিমানা-ও গুনতে হয় নাওমি কে। এক কিছুর পরেও বেশ কিছু ভাল কাজের সাথেও জড়িত রেখেছেন ব্রিটিশ এই সুপার মডেল। নেলসন ম্যান্ডেলা চিলড্রেন ফান্ডের হয়ে কাজ করছেন তিনি। এছাড়া ভুমিকম্প সহ প্রাকৃতিক বিধ্বস্ত দেশের পাশে এসে দাড়াতে নাওমির জুড়ি নেই। বাদামী নয়না লাস্যময়ী এই সুন্দরীর মন থেকে বিশ্বাস করেন "বিপদে মানুষের পাশে দাড়ালে স্বর্গীয় সুখ লাভ করা যায়"।
শেষ কথা : ---যুগে যুগে পৃথিবীতে যারা কোন না কোন ক্ষেত্রে সেরা হয়েছেন প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু প্রতিবন্ধকতা ছিল। তবে তারা বসে থাকেননি , নিজের শক্তিমত্তাকে পুজি করে কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং সফল হয়েছেন। উপরে তিনজন সুপার মডেল বর্ণবাদের মত শক্ত বাধাকেও ভেঙ্গে তছনছ করে স্ব-মহিমায় বিজয়ী হয়েছেন। এক কথায়, পথে বাধা আসবেই তবু মনে সাফল্যের স্বপ্ন একে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৩