প্রিয় হৃদয়রাণী, কেমন আছ তুমি? মনে আছে তোমার তুমি আমাকে একদিন স্কুলে না দেখলে মন খারাপ করতে, জান পরের দিন তোমার এই হাসি -মাখা মুখের দিকে তাকালে পৃথিবীর একটি ভূখণ্ডের রাজা বনে যেতাম মুহূর্তে ই। তোমার অর্ধেক খাওয়া জামের কথা, বাদামের কথা, বিস্কুট আর চকলেট ত অবধারিত ই ছিল। তুমি যে সুখের বীজ বপন করে দিয়ে গিয়েছিলে সেই শস্য ই ঘরের চাউলের ভাতের মত আমি আহার করি -আমি সেই সুখের বীজকে শুধু মাত্র পরিচর্যা করি। এই বীজের প্রতি আমার দুর্বলতা আমৃত্যু। এ যুগের লালায়িত বীজতলা র প্রতি আগ্রহ কে নষ্ট করে দিয়েছি, তুমিই বল আমি কখনো আমার কথার বরখেলাপ করেছি? টাচস্ক্রীণ যুগে ও তুমি আমার একটি বারের জন্য ও একটু খোঁজ নিলে না! তোমার প্রতিকূলতার মাঝে ও একটি মিনিট আমাকে ফোন দিলে নিশ্চয়ই তোমার বেহেস্তে প্রবেশাধিকার অনিশ্চিত হয়ে যেত না! আমিও পারতাম সময় টাকে উল্টো -হাওয়ার তালে নাচাইতে -কিন্তু সেখানে ও তোমার ভালবাসার কসম -তোমার বাবার সম্মানে আঘাত হানবে! তোমার এই সত্য ভালবাসা ই আমাকে আর আমার মনকে সেদিন হত্যা করা হয়েছিল। তবুও আমি এই জনমে সুখী, তুমি সত্যি ভালবেসেছিলে। আজ আমার কোন ডাল -পালা নেই, পালাবার ভয় নেই, কাউকে হারানো র ইচ্ছে নেই। তবুও তোমায় লিখলাম -শস্যের সঙ্কট, এই সঙ্কট থেকে তুমি ছাড়া কেউ ই সমাধান করতে পারবে না। কেননা তুমি ই বলে ছিলে “আমি দূরে চলে গেলেও আসব ফিরে প্রভাতের আলো ও রাতের নিকষ -কালো আধার হয়ে! ”
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৩