খারাপ মৃত্যু
স্বর্গের দরজায় অনেক ভিড়। সেইন্ট পিটার বললেন, আজকে আর বেশি লোকের জায়গা হবে না। যারা আজকে করুণ মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছো তারাই শুধুমাত্র আজকে যেতে পারবে। তা-ও মাত্র তিনজন।
১ম ব্যক্তি এগিয়ে এলো। বললো, আমার অনেকদিন ধরেই সন্দেহ আমার বউ আমার অগোচরে অন্য কারো সাথে মেলামেশা করে। তাকে হাতে নাতে ধরার জন্য আজকে আগে আগেই অফিস থেকে চলে এলাম। দ্রুত উঠে এলাম ২৫তলায় আমার ফ্ল্যাটে। মনে হলো আমার স্ত্রীর সাথে কেউ ছিলো কিন্তু পুরো ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কাউকে পেলাম না। তারপর ব্যালকনিতে গিয়ে দেখলাম ব্যাটা রেলিং ধরে ঝুলে আছে। রাগের মাথায় তাকে ফেলে দেয়ার জন্য মারা শুরু করলাম কিন্তু ব্যাটা তো হাত আর ছাড়ে না। পরে একটা হাতুড়ি নিয়ে হাতে আঙুলে দিলাম কয়েক ঘা। এবার আর টিকতে না পেরে সে ছেড়ে দিয়ে নিচে পড়ে গেলো। কিন্তু ব্যাটার ভাগ্য ভালো যে একটা ঝোপে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। আমার জিদ তারপরও না কমায় আমি ঘরের ফ্রিজটা তুলে ব্যাটাকে ছুঁড়ে মারলাম। এবার ব্যাটার মরণ হলো। এতো টেনশন আমার সহ্য হলো না, হার্ট এ্যাটাকে মারা গেলাম।
২য় ব্যক্তি এগিয়ে এলো। ১ম ব্যক্তিকে দেখিয়ে বললো, আমি উনার উপরের ফ্ল্যাটে ২৬ তলায় থাকি। বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিচে দেখতে দেখতে হঠাৎ পড়ে যাই। ভাগ্য ভালো যে ২৫ তলার বারান্দার রেলিং ধরে বেঁচে যাই। হঠাৎ উনাকে দেখি। ভাবলাম আমাকে বাঁচাবেন। তা না করে উল্টো আমাকে মারা শুরু করলেন। আমি নিচে পড়ে গেলাম। তারপর একটা ভারি ফ্রিজ আমার উপর ফেললেন উনি। তারপর আমি এখানে।
৩য় জন এগিয়ে এলো। সেইন্ট পিটার জানতে চাইলেন, তোমার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে?
সে উত্তর দিলো: আমি ফ্রিজে ছিলাম।
নানের চুমু
ট্যাক্সিতে উঠে নান খেয়াল করলো ট্যাক্সি ড্রাইভার তাকে আয়নায় দেখছে।
- তুমি কিছু বলবে? নান জানতে চাইলো।
- আমার অনেক দিনের শখ আমি একজন নানের চুমু খাবো।
- খেতে পারো এক শর্তে, যদি তুমি অবিবাহিত ক্যাথলিক হও। বললো নান।
- আমি অবিবাহিত আর আমি ক্যাথলিক।
নান এবার তাকে সুন্দর একটি কিস করার সুযোগ দিলো।
কিস শেষে লজ্জিত ভঙ্গিতে ড্রাইভার বললো, আমি আপনাকে মিথ্যা কথা বলেছি। আমি বিবাহিত আর আমি ক্যাথলিক নই। আমাকে মাফ করে দিন।
নান বললো, চিন্তা কোরো না। আমার নাম গ্যারি। একটা যেমন খুশি তেমন সাজো পার্টিতে যাচ্ছি।
বই
নাতি দাদাকে বই পড়তে দেখে জানতে চাইলো, দাদু তুমি কি পড়ছো?
- ইতিহাসের বই।
- মিথ্যা কথা, তুমি সেক্সের বই পড়ছো।
- ওটা তো আমার জন্য ইতিহাসই।
ফটোগ্রাফি
এক পত্রিকার পক্ষ থেকে এক ফটোগ্রাফারকে হায়ার করা হলো বনে সম্প্রতি লাগা দাবানলের ছবি তোলার জন্য। ফটোগ্রাফার সেখানে পৌঁছে দেখলো ধোঁয়া এতো বেশি যে ছবি তোলা সম্ভব না।
সে সম্পাদককে ফোন দিয়ে সমস্যার কথা জানালো। সে বললো, যদি একটা প্লেনের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে উপর থেকে ছবি তুলতে সহজ হবে।
সম্পাদক একটু পর তাকে ফোন দিয়ে জানালো দাবানলের কাছেই একটা এয়ারফিল্ডে তার জন্য একটা প্লেন অপেক্ষা করছে।
যথারীতি এয়ারফিল্ডে গিয়ে ফটোগ্রাফার একটা প্লেন দেখতে পেলো। পাইলট সিটে বসাই ছিলো। সে দ্রুত উঠে পাইলটকে তাড়া লাগানো প্লেন ওড়ানোর জন্য।
প্লেন উড়লো। ফটোগ্রাফার তাড়া লাগালো, জলদি করে বনের উত্তর-পশ্চিম কোণে যাও। ওখানে গিয়ে ছবি তুলবো।
তার কথা শুনে পাইলট হাঁ করে তাকিয়ে রইলো, কি বললেন স্যার!
ফটোগ্রাফার একটু বিরক্ত হয়ে বললো, কি বলছি বোঝো না? আমার হাতে এটা ক্যামেরা, এটা দিয়ে ছবি তোলে। যেহেতু এটা আমার হাতে তাই আমি ছবি তুলবো। পরিষ্কার?
দীর্ঘ এক বিরতির পর পাইলটের উত্তর, তার মানে কি আপনি আমার নতুন ইনস্ট্রাক্টর নন? আমাকে আজকে ল্যান্ডিং শেখানোর কথা ছিলো।