মানুষ যে আত্মহত্যা করে। কেন করে? মানুষ সাধারণত দুটি কারনে আত্মহত্যা করে।
১) পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে,
২) আবেগে পড়ে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ২য় কারনেই মানুষ বেশি আত্মহ্যা করে। হিসাবে প্রায় ৮৫%।
১) পরিস্থিতির স্বীকারঃ জীবনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ বাধ্য হয় আত্মহত্যা করতে।এই ধরেন হিটলারের কথা। শেষে এসে তার কাছে আত্মহত্যা ছাড়া আর কিবা বিকল্প ছিল? হিটলারের মত একজন খুবই মৃত্যু ভয়ে ভীতু প্রকৃতির মানুষ ও শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয় আত্মহত্যা করতে।ইতিহাসে এধরনে বহু উদাহরণ আছে।আবার ভারত বর্ষে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় সংগ্রামী বিপ্লবীরা ইংরেজদের হাতে ধরা পরার চেয়ে আত্মহত্যা করাই সম্মাজনক মনে করতেন।তারা এটাকে শহীদের মর্যাদা মনে করতেন।
২) আবেগে পড়েঃকিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আত্মহত্যা মানুষ করে আবেগের তাড়নায় পড়ে।প্রায়ই পত্রিকায় আসে বাড়িতে দাম্পত্ত্য কলহের জের ধরে স্ত্রী কিংবা স্বামীর আত্মহত্যা।অথবা পরীক্ষায় খারাপ করে আত্মহত্যা, পছন্দের নায়ক নায়িকা মারা যাবার কারনে আত্মহত্যা ইত্যাদি।যারা বিভিন্ন সময়ে এই সব কারনে আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করেছে, পরবর্তিতে তাদের কাছে হয়তো শুনলে যানা যাবে তারা আসলেই ভুল করেছে। আমার ধারনা ৮০-৯০% ই বলবে যে তারা ভুল করেছে। আর যারা বলবে যে না তারা সঠিক সিধান্ত নিয়ে ছিল। তাহলে তাদের কাউন্সিলিং –এর প্রয়োজন আছে।
মানুষের জীবনটা শুরুই হয় কষ্ট আর যণত্রনার মধ্যে দিয়ে। আর বেড়ে ওঠে, পাওয়া নাপাওয়ার ভিতর দিয়ে। জীবনে আপনি যে সব সময় সব কিছু পাবেন সেটা ভাবা ঠিক না। জীবনে সুখ দঃখ দু’টাই আছে।কোনটা আগে তো কোনটা পরে। শুধু একটু ধর্য্য ধরতে হবে।আপনার মধ্যে এই উপলব্ধি থাকতে হবে আমার থেকেও অনেক মানুষ অনেক খারাপ অবস্থায় আছে। আরেকটি জিনিস ভাবতে পারেন। সেটা হলো যে পরিস্থিতে আমি আছি সেটা আর কত বেশি খারাপ হতে পারে?যেকোন বিষয়ের শেষ খারাপটা ভেবে নিলে দেখবেন দু;খটা একটু কম লাগছে। এরপর আপনার কাজ হবে সেই খারাপ পরিস্থিতি থেকে কতটুকু মুক্ত হওয়া যায়।দেখবেন ভালর কাছাকাছি একটি সমাধান এসে গেছে।
আপনার ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে যাকিছু করবার।তবে সেই স্বাধীনতা আপনি তখনই প্রয়োগ করতে পারবেন যখন তা অন্যের কোন ক্ষতি করবে না।একবার ভেবে দেখুনতো যে স্ত্রী স্বামীর সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে, সে কি তার সন্তানদের কথা, তার সাজানো পরিবারে কথা, যার উপর অভিমান করেছে সেই স্বামীর কথা যেকিনা সাময়িক রাগের মাথায় কিছু বলে ফেলেছে পরে তার জন্য অনুতপ্, এই বিষয়গুলো ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখেছেন। তাই সবাইকে বলছি-THINK POSITIVE BE POSITIVE.