ভারতে মাওবাদী শীর্ষ নেতা চেরুকুরি রাজকুমার ওরফে আজাদের মৃতু্য ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই কড়া মতামত দিয়েছে সেদেশের সুপ্রিমকোর্ট। আজাদকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে বলে মাওবাদীদের পাশাপাশি অভিযোগ তুলেছে নানা মানবাধিকার গোষ্ঠী, বুদ্ধিজীবীরাসহ বেশকিছু মহল। এ ব্যাপারে শুক্রবার শীর্ষ আদালত কেন্দ্র ও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের 'জবাব' চেয়ে নোটিস দিয়েছে। বিচারপতি আফতাব আলম ও বিচারপতি আর এম লোধাকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের এক বেঞ্চ এদিন বলেছে, রাষ্ট্র যে নিজেই 'তার সন্তানদেরই' হত্যা করছে, এটা তারা অনুমোদন করতে পারে না। এটা কাম্য নয়। ছয় সপ্তাহের মধ্যে নোটিসের জবাব চেয়েছে বেঞ্চ। খবর বর্তমান পত্রিকার
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১-২ জুলাইয়ের মাঝের রাতে মহারাষ্ট্র লাগোয়া অন্রপ্রদেশের আদিলাবাদে পুলিশের গুলিতে মারা যান মাওবাদীদের পলিটবু্যরোর শীর্ষ নেতা আজাদ। তাঁর সঙ্গেই মারা যান সাংবাদিক হেমচন্দ্র পাণ্ডে। তাঁকেও পুলিশ মাওবাদী বলে দাবি করেছিল। আজাদের মাথার দাম ১২ লক্ষ টাকা ঘোষিত হয়েছিল। ঘটনাটি সম্পর্কে অন্ধ্র সরকার দাবি করে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেই ঐ দুই জন নিহত হয়েছে। কিন্তু তাঁদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দেশজুড়ে প্রতিবাদ-সমালোচনা শুরু করে দেয়। এ ব্যাপারে সমাজ আন্দোলন-কমর্ী স্বামী অগি্নবেশ ও পাণ্ডের স্ত্রী ববিতা সুপ্রিমকোর্টে একটি আবেদন পেশ করেন। তাঁরা ঐ দুই মৃতু্যর ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তোলেন। তাঁদের বক্তব্য, দুইজনের ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের চালানো তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া থেকে এটা স্পষ্ট যে, সেদিন প্রকৃত সংঘর্ষ হয়নি। গোটা ব্যাপারটাই সাজানো। অগি্নবেশ ও হেম পান্ডের পিটিশনের শুনানি চলাকালেই সুপ্রিমকোর্ট ঐ কড়া মন্তব্য করে। বেঞ্চের আশা, দুই সরকারই যথাযথ এবং সন্তোষজনক উত্তর দেবে। বেঞ্চ এও বলেছে, সরকারকে এ নিয়ে অনেক প্রশ্নেরই জবাব দিতে হবে।
আজাদকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এবং এ ব্যাপারে বিতর্ক দূর করতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে লালগড়ের জনসভায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যার ফলে তাঁর বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল সিপিএম।
বাংলাদেশের সরকার ও কী ব্যাপারটা ভেবে দেখবেন। নাকি ভারতের মত সর্ব্বোচ্চ আদালন বললে তখন দেখবেন।