সৃষ্টির শুরু হতেই মানব সভ্যতা তার নিত্য নতুন উপায় আবিস্কারের মধ্য দিয়ে একটা সময় সকল সার্ভিসকেই তার হাতের মুঠোয় সহজলভ্য হিসেবে পেতে চেয়েছে। আর এই সহজলভ্যতার জন্য মানুষকে করতে হয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ আর প্রতীক্ষা। বেশ বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল সার্ভিসগুলোকে একটা কেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত করা। আর সেই কেন্দ্রটাই একসময় হয়ে ওঠে নগর আর নগরকে ঘিরে আবর্তিত হতে থাকা মানুষেরা পরিচিত হতে থাকে নাগরিক হিসেবে। মানবসভ্যতার শুরু হতে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পুরো বিশ্বের মাত্র তিন শতাংশ নগরায়ন করতে প্রায় ১০,০০০ বছর সময় লেগেছিল এই গ্রহের বাসিন্দাদের। বিভিন্ন সভ্যতার বিকাশের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে নগরায়ণ প্রক্রিয়া শুরু তো হয়েছিল কিন্তু সেটা পরিগণিত হয়েছিল খুব ধীরগতির একটা প্রক্রিয়া হিসেবে। তবে ১৯৫০ এর পর থেকে সারা বিশ্ব খুব দ্রুত নগরায়িত হতে শুরু করে। যার ফলাফলটা হল, বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রায় ৫০% মানুষ শহরে বসবাস করছে। অবস্থাটা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে যেখানে ১৯৯০ সালে সারাবিশ্বে মোট ১০ টি মেগাসিটিতে প্রায় ১৫৩ মিলিয়ন মানুষ বাস করত কিন্তু ২০১৪ সালে এসে সেখানে মোট মেগাসিটির পরিমান দাঁড়িয়েছে ২৮ টি এবং এই ২৮ টি মহানগরে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা হল ৪৫৩ মিলিয়ন। যার মধ্যে ১৬ টি মেগাসিটির অবস্থান-ই হল এশিয়াতে। পরিসংখ্যান বলছে, সারাবিশ্বে নগরায়নের মোট ৫৩ ভাগ এশিয়াতে, ১৪ ভাগ ইউরোপে, ১৩ ভাগ ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয় অঞ্চলে ঘটেছে। অর্থ্যাত সারা বিশ্বের নগরায়ন প্রক্রিয়ার অর্ধেকের বেশি-ই ঘটছে এশিয়াতে।
এশিয়া তথা সারা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ন দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হল বাংলাদেশ। এখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৯৬৪ জন লোকের বাস। ঘনবসতিপূর্ন এই দেশটিতে দক্ষিন এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় খুব দ্রুত নগরায়ন ঘটছে। বর্তমানে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতে প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকাতে ৪৩,৫০০ লোকের বাস যেটি বেশ ভীতিকর এবং এলার্মিং একটা তথ্য। স্বাধীন বাংলাদেশের শুরুর দিকটায় শহরাঞ্চলে এত লোকের বসবাস ছিলনা। ১৯৭৪ সালে মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮.৮% মানুষ শহরে বসবাস করত কিন্তু বর্তমানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪% মানুষ দেশের মাত্র ৫৭০ টা নগর কেন্দ্রে বসবাস করছে। বিশ্বব্যাংক ধারনা করছে, এভাবে চলতে থাকলে ২০২০ সাল নাগাদ দেশের প্রতিটি পুরুষ, নারী এবং শিশু কোন না কোন শহরে বসবাস করবে। এবং সব থেকে হতাশার কথাটা হল এই ৫৭০ টি আরবান সেন্টারে বসবাসরত মানুষের প্রায় অর্ধেকই বসবাস করছে চারটা বড় সেন্টারেঃ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রাজশাহী। এটা সত্যিই উদ্বেগজনক যে দেশে পুরো একটা অপরিকল্পিত উপায়ে যাচ্ছেতাই ভাবে দ্রুত নগরায়ন ঘটছে যার ফলে নগর এবং শহর গুলো ক্রমশঃ তাদের বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে।
দেশের এই ক্রমবর্ধমান নগরায়নের কারনটিকে আমরা খুব সহজে পুশ-পুল ফ্যাক্টর দিয়ে আলোচনা করতে পারি। একদিকে গ্রামগুলো মানুষকে নগরের দিকে ঠেলছে যার কারন হতে পারে গ্রামে সুযোগ-সুবিধা কম, চাকুরির কিংবা কাজের অভাব, জমি-জায়গার অভাব ইত্যাদি ইত্যাদি আবার অন্যদিকে শহর গুলোও তার নানান সুযোগ সুবিধা, কাজ কিংবা চাকুরী এবং অন্যান্য চাকচিক্য দেখিয়ে গ্রামের মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করছে। বাংলাদেশে আচমকা দ্রুত এবং এমন বৃহৎ একটা নগরায়ন ঘটনা সংঘটনের অন্যতম কারন হতে পারে আমাদের গ্রামীন কৃষি সেক্টরটা কৃষক সমাজকে পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক সুরক্ষা দিতে ব্যার্থ হয়েছে যার দরুন ক্ষুদ্র কিংবা প্রান্তিক কৃষক কৃষি থেকে উঠে এসে শহরে গিয়ে সিজনাল কিংবা স্থায়ী অভিবাসী হতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়াও গ্রামের মানুষের শহরমুখী হবার পেছনে প্রাকৃতিক দূর্যোগ, সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক সমস্যা-সুযোগ এবং সুবিধা ইত্যাদির মত আরো অনেক কারন থাকতে পারে। নগরায়ন সংক্রান্ত আলোচনায় এখানে আমাদের কাছে নগরায়নের কারন গুলো গুরুত্বপূর্ন কিন্তু তার থেকে বেশি বিবেচ্য হল একটা অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং নাগরিক জীবনে তার প্রভাব আলোচনা করে করে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করা।
প্রতিদিন হাজারো মানুষ শহরগুলোতে অভিবাসী হয়ে আসছে। শুধু ঢাকাতেই প্রতিদিন গড়ে ১১০০ জন মানুষ স্থায়ী ভাবে থাকবার জন্য গ্রাম কিংবা ছোট শহরগুলো হতে আসছে। আর যারা আসছে তাদের বেশির ভাগই দরিদ্র শ্রেনীর, এসেই তারা ঠাঁই নিচ্ছে শহরের বস্তি এলাকা গুলোতে যেটা শহর গুলোর জন্য চরম একটা প্রেসারও বটে। তবে এখানে আশার কথাটা হল, এই দ্রুত নগরায়ন দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের একটা হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে কারন দেশের মোট জিডিপি-তে প্রায় ৬০ ভাগ অবদান হল এই নগর অর্থনীতির। সামাজিক উন্নয়ন, উন্নত শিক্ষা, উন্নত স্বাস্থ্য সুবিধা, শিক্ষার উচ্চ হার, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক বিকাশ ইত্যাদি বিষয়গুলো যদিও শহরের ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচ্য তথাপি অপরিকল্পিত এবং অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ন প্রক্রিয়া শুধু সমস্যা তৈরি-ই করছে না বরং শহর এবং দেশের প্রতি ভিষন একটা প্রেসার ও তৈরি করছে। যেগুলো হতে পারেঃ
১। জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব এবং নগর দারিদ্র তৈরি
২। অস্বাস্থ্যকর বসবাস
৩। বিপদজনক অবস্থার সৃষ্টি
৪। সড়ক, অবকাঠামো এবং পরিবহন সমস্যা
৫। অপর্যাপ্ত পরিবেশ সচেতনতা
৬ নাগরিকদের হয়রানী এবং সুরক্ষাহীনতা
৭। অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়া
৮। নগর সেবার অপ্রতুলতা
৯। নদী-নালা ভরাট এবং গাছপালার অপ্রতুলতা
১০। বস্তি এলাকার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া
১১। তীব্র যানযটের মাধ্যমে জীবনযাত্রা থেমে যাওয়া
১২। দূষন চরম একটা হুমকী হিসেবে আবির্ভূত হওয়া এবং অন্যান্য
“মধ্য আয়ের দেশ স্ট্যাটাস অর্জনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হল নগর দারিদ্রতা, যেখানে শহরের প্রায় ৩৪ ভাগ মানুষ-ই হল দরিদ্র’’- হোসেন জিল্লুর রহমান
অপরিকল্পিত নগরায়নের প্রধান প্রতিফলন হল নগর দারিদ্রতা। নগর দারিদ্রতা বিশেষতঃ শহরের বস্তি এলাকাগুলোতে বসবাসরত দরিদ্র মানুষের বহুমাত্রিক দারিদ্র অবস্থা যেটি কিনা এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রের কাছে চরম উপেক্ষিত একটি বিষয়। বস্তিবাসীর এই বহুমাত্রিক দারিদ্রতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অপর্যাপ্ত রোজগার, ঘরবাড়ির খুব বাজে অবস্থা, উচ্চ ঘর ভাড়া, দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, মাস্তান, মাদক, চাঁদা, অপরাধ, শোষন-নির্যাতন, উচ্ছেদ, অসমতা, গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের অসহজলভ্যতা, স্যানিটেশন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার নাজুক অবস্থা, অপরিকল্পিত নির্মান, ঝুকি ইত্যাদি। সারা বিশ্বে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ তথা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে এই নগর দারিদ্রতা বাংলাদেশের জন্য এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবর্ভূত হয়েছে। একটা মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিতি পেতে বাংলাদেশের জিডিপি প্রতি বছর ৭.৫%-৮% মধ্যে রাখতে হবে যেটি কিনা এখন শুধুমাত্র নগরায়ন প্রক্রিয়ার কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই সম্ভব যেহেতু দেশের জিডিপি তে প্রায় ৬০ ভাগ অবদান রাখছে এই নগর অর্থনীতি। অন্যদিকে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭ টি লক্ষ্যের একটি লক্ষ্য ‘টেকসই নগর ও সম্প্রদায় তথা নগর ও মানব বসতিগুলোকে অন্তর্ভূক্তিমূলক, নিরাপদ, দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই করে তোলবার’ প্রতি গুরুত্বারোপ করছে। আর নগরে সমস্যা এবং নগর দারিদ্রতাকে উপেক্ষা করে এই লক্ষ্য অর্জন করা আদৌ সম্ভব নয়। বিগত দিনগুলোতে উন্নয়ন এজেন্সি, এনজিও কিংবা সরকারী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে একটা প্রবনতা কাজ করত, তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো পরিকল্পিত এবং পরিচালিত হত দেশের গ্রামগুলোকে টার্গেট করে। শহরে কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হলেও সেগুলোর বেশির ভাগ-ই শহরে চাপিয়ে দেয়া গ্রামীন উন্নয়ন মডেল। শহুরে উন্নয়ন মডেল ছিল হাতে গোনা কয়েকটা।
প্রথম বাংলাদেশ আরবান ফোরাম ২০১১ সালে নগরের তিনটি বড় সমস্যাকে সামনে নিয়ে এসে তাদের কৌশলগত পদ্ধতির প্রস্তাবনা করে। সমস্যাগুলো হলঃ
১। নগর শাসন ব্যবস্থা
২। নগর দারিদ্রতা
৩। নগরায়ন এবং বিকাশ
তারা জাতীয় আরবান সেক্টর পলিসি প্রনয়নে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার প্রদানের প্রস্তাব করেনঃ
১। নগরায়নের প্যাটার্ন এবং প্রক্রিয়া
২। স্থানীয় নগর পরিকল্পনা
৩। স্থানীয় অর্হনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান
৪। স্থানীয় নগর অর্থায়ন এবং সম্পদের সংহতি
৫। নগরের ভূমি ব্যবস্থাপনা
৬। নগর আবাসন
৭। নগর দারিদ্রতা এবং বস্তি উন্নয়ন
৮। নগরের পরিবেশ ব্যবস্থাপনা
৯। অবকাঠামো এবং সেবা
১০। নগর পরিবহন
১১। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা
১২। সামাজিক অবকাঠামো
১৩। লিঙ্গিয় ভাবনা চিন্তা
১৪। নগর শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী এবং মেথর
১৫। নগর বিনোদন, খেলাধুলার মাঠ, পার্ক, খোলা জায়গা এবং কবরস্থান
১৬। শিল্প এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়ন
১৭। শহর- গ্রাম সংযোগ
১৮। আইন-কানুন
১৯। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি
২০। নগর শাসন ব্যবস্থা
২১। নগর গবেষনা, ট্রেনিং এবং তথ্য
বাংলাদেশ আরবান ফোরামের উপরোক্ত প্রস্তাবনা দাখিল করবার পর প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। এর মাঝে নগর কিংবা নগরায়ন নিয়ে সরকারী কিংবা অ-সরকারী/বেসরকারী পর্যায়ে বিস্তর বিস্তর আলোচনা হয়েছে এবং আরো হবে কিন্তু নগরায়নের চিত্র তো পরিবর্তন হয় নাই উলটো আরো মারাত্মক রুপ ধারন করেছে। নগর উন্নয়নের প্রচুর পলিসি তো রয়েছে কিন্তু তার কোন বাস্তবায়ন নেই। ফলে নগর সমস্যাগুলো এখন বিপদসীমার উপরে চলে গিয়েছে। এখন আর চুপ করে থাকবার সময় আর নেই, সময় এসেছে নিম্নোক্ত বিষয় মাথায় রেখে নগরায়ন নিয়ে পুনঃ চিন্তা করাঃ
১। সুষ্ঠু এবং পরিকল্পনা মাফিক নগরায়ন প্রক্রিয়া
২। কেন্দ্রের বিকেন্দ্রীকরন
৩। নগর দারিদ্রতা দূর করবার পাশাপাশি বস্তি গুলোকে বাস উপযোগী করে তোলা
৪। হকার এবং ভাসমান মানুষ নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা
৫। কার্যকর নগর শাসন ব্যবস্থাপনা
৬। সহজ এবং জ্যাম মুক্ত পরিবহন ব্যাবস্থা
৭। দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রন
৮। নগর ভূমি ব্যবস্থাপনা
৯। নগর পরিবেশ এবং প্রতিবেশ
১০। আরবান ইস্যুতে এনজিও, ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি এবং সরকারের সম্পৃক্ততা ইত্যাদি
দেশের ক্রমবর্ধমান নগরায়ন প্রক্রিয়া শুধু যে সমস্যা বিষয়টা সেটা নয় এটা একটা সম্ভাবনাও বটে যেখানে দেশের জিডিপির একটা বিরাট অংশ আসছে এই নগর অর্থনীতির মধ্য দিয়ে। তবে একটা পরিকল্পিত নগরায়ন প্রক্রিয়া খুব বেশি জরুরী এবং একই সাথে সরকারে সঠিক পলিসি এবং তার বাস্তবায়নটাও জরুরী অন্যথায় অপরিকল্পিত নগরায়নের খেসারত পুরো জাতিকে দেবার পাশাপাশি এর খেসারত দিতে হবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকেও।
তথ্যসূত্রঃ
1. 'Messy Urbanization' challenge to achieving SDGs B- The Asian Age
2. Urbanization in Bangladesh: Present Status and Policy Implications- ASA University Review, Vol. 4 No. 2
3. Urban Dialogue 1- Organized by Habitat for Humanity Bangladesh Overview of Urbanization in Bangladesh
4. making cities and towns work for all, Report of the 1st Bangladesh Urban Forum
5. Urbanization in Bangladesh: Challenges and priorities- Hossain Zillur Rahman
6. Urbanization and Urban Governance- Nazrul Islam
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩