দেশে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন নিয়ে বর্তমানে একটি নীরব প্রতিবাদ চলছে . রোহিঙ্গারা অধিকাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠী হওয়াতে কিছু বাংলাদেশিদের মনে তাদের জন্য একটি সেন্টিমেন্ট কাজ করে , যদিও তিক্ত কথা কিন্তু অনেকটাই সত্য ! বাস্তবতা কিন্তু তাদের বিপক্ষেই কথা বলে , তাই আসুন বাস্তবতা গুলো কি জানার চেষ্টা করি।
১০ টি কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে জায়গা দেয়া উচিত নয় : -
১. রোহিঙ্গারা কোনো নিয়ম নীতির ধার ধরে না। তাদের কাছে যে কোনো অপরাধ মামুলি বেপার .
২. রোহিঙ্গারা বেশিরভাগ অস্ত্র চালনায় পটু . তাদের দিয়ে অতীতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায়। ( খবরের রেফারেন্স : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১) কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ও শরণার্থী মিলে ১০ হাজার ভয়ংকর অপরাধী।)
৩. রোহিঙ্গারা বনভূমি উজাড় করে গাছ - পালা কেটে চুরি করে নিয়ে গিয়ে তা বিক্রি করে বিভিন্ন ইট ভাটায়।
৪. রোহিঙ্গারা মাদক পাচারের সাথে জড়িত। ( খবর : বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বিজিবির হাতে জানিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে টেকনাফ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডে বিজিবি জওয়ানরা অভিযান চালিয়ে এক হাজার ১০টি ইয়াবাসহ সেতারা বেগম ও তার স্বামী মো. খানকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা উভয়ই রোহিঙ্গা। এর আগে ১৫ আগস্ট টেকনাফ সদরের জওয়ানরা ট্রানজিট নিয়ে আসা মিয়ানমারের মংডু শহরের মোহাম্মদ শহীদকে ৯৮৯টি ইয়াবাসহ আটক করেছে। এ ধরনের হাজারো উদাহরণ দেওয়া যাবে যুব সমাজকে ধব্বংসের মুল অস্ত্র ইয়াবা ব্যবসায়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা জড়িত । )
৫. যৌন ব্যবসার সাথে জড়িত তারা এ ছাড়াও রোহিঙ্গারা বিভিন্ন জায়গায় কম বেতনে কাজ করে , যার ফলে বাংলাদেশী শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়ছে . ( খবর : যৌন ব্যবসায় রোহিঙ্গা যুবতিদের ব্যবহার করা হচ্ছে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা বস্তি থেকে নিরবে পাচার হচ্ছে যুবতী মেয়েরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন হোটেল বাসা বাড়ীতে তাদের অবস্থান। )
৬. দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। ( খবর : প্রথম আলো পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে সৌদি আরব, কাতার, আরব-আমিরাত, ইরাক, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী পরিচয়ে শ্রম বাজার দখল করে নিচ্ছে। আর এতে বাংলাদেশী শ্রমিকেরা পড়েছে সমস্যায়। মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বিভিন্ন পন্থায় বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতে গিয়ে চুরি, ডাকাতি,ছিনতাই,ধর্ষণ,খুনসহ নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। আর তাদের সকল অপরাধের দায়ভার বহন করতে হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের। রোহিঙ্গাদের অপরাধের দায়ভার বহন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ক্রমেই মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল শ্রমবাজার হারাতে বসেছে। )
৭. নিজের দেশের জনসংখ্যা সমস্যার অন্ত নেই , রোহিঙ্গ্যা এনে এদেশে ডাঙায় কুমির আনার দশা হয়েছে বাংলাদেশের। যেখানে জাতিসংঘ মাত্র ২৮ হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে , সেখানে বাংলাদেশ কে ৫ লাখের উপর সামাল দিতে হচ্ছে।
৮. এ ছাড়াও বিভিন্ন পর্যটন স্থানে বার্মিজ পণ্যে সয়লাব হয়ে গেছে , রোহিঙ্গা দের বদৌলতে , যার থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে .
৯. রোহিঙ্গারা BANGLADESHI PASSPORT নিয়ে বিদেশ চলে যাচ্ছে এবং সেখানে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকান্ড গুলো মূলত তাদের দ্বারাই সংঘটিত হচ্ছে আর এর দায় পড়ছে বাংলদেশের ঘাড়ে।
১০. উখিয়া ও টেকনাফসহ পুরো কক্সবাজার জেলা , বান্দরবান জেলা এবং বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় এদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের উচিত জোর গলায় মায়ানমারের সমালোচনা করা এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্য দেশগুলোকে চাপ প্রয়োগ করা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৯