২০১৪,২০১৫,২০১৬ টানা তিন মেজর কাপের ফাইনাল খেলা সহজ না।অবশ্য ১৯৯৩ সালের পর থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৬ টা ফাইনাল খেলে আর্জেন্টাইনরা।২৩ বছর ধরে শিরোপার গন্ধ পায় না।সময়টা যতো না বেশি তারচেয়ে দুঃখটা বেশি। কেনোযেনো ভাগ্যদেবতা বারবার পরিহাস করে।এই সব ছাপিয়ে সামনে এখন মেসি কি দেশের হয়ে কিছু অর্জন করতে পারবে??বিধাতা সব দিয়েছেন তাকে,ব্যক্তিগত+ক্লাব মিলিয়ে দেখতে গেলে ইতিহাস নতুন করে লেখা লাগে।কিন্তু দেশের হয়ে কিছু না জিতার সীমাবদ্ধতা নিন্দুকের মুখ বন্ধ রাখতে পারে না।বিশ্বককাপে সব কাছে গিয়েও হয় নি। গত কোপায় পেনাল্টি ভাগ্যও ছিলো না।কিন্তু দলটা বিশ্বসেরা।বর্তমান র্য্যাকিংও ১।তারপরও কিছু থেকে কিছু হচ্ছে না।বিধাতা যেন পণ করেই রেখেছেন আর্জেন্টিনার এক নির্দিষ্ট প্রজন্ম শিরোপা বঞ্চিত থাকবে।তবে বিধাতা এই নিখুঁত্টিকে বারবার খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত হবে না।মেসি কি পারবেন মেসি হওয়ার দায় নিতে?দেশের হয়ে শিরোপা খরা দূর করতে পারবেন?যদিও অনেকে মনে করে দেশের প্রতি তেমন কোনো টান নেই মেসির।১৩ বছর বয়সে দেশ ছেড়েছেন।টানটা কম থাকারই কথা।কিন্তু আজও মেসির উচ্চারনে রোসারিওর সেই আঞ্চলিক টান।জীবনপথটাও মনেপ্রানে একজন আর্জেন্টাইন হওয়ারই সাক্ষ্য দেয়।আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের আগে স্পেন জাতীয় দল প্রস্তাব দিয়েছিলো ২০০৫ সালের এপ্রিলে।কিন্তু আর্জেন্টিনার জন্য প্রহর গুনেন।জুনে প্রস্তাব আসে নিজ জন্মভুমি থেকে।ইচ্ছা করলেই স্পেনের হয়ে যেতে পারতেন।আজ স্পেনের হয়ে খেল্লে সর্বকালের সেরা বলতে কারও মুখে বাধঁতো না।কারণ ঝুলিতে থাকতো বিশ্বকাপ,২টা ইউরো।দেশের টানে সাড়া দেওয়ায় আজ মেসিকে এই কথা শুনতে হচ্ছে "তিনি যতো না আর্জেন্টাইন, তারচেয়ে বেশি বার্সার"।বার্সার হয়ে শিরোপা জিতেছেন ২৮ টা,যা পেলের সমান।সুযোগ আছে মাত্র ২৯ বছর বয়সে ২৯ শিরোপা জিতে পেলেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।পারবেন কি মেসি?পারবে আর্জেন্টিনা? আমাদের নতুন প্রজন্মের বেশির ভাগ আর্জেন্টিনা সর্মথক হলেও নিজ চোখে কখনও দলকে শিরোপা জিততে দেখেনি।এটা শুধুই ভালোবাসার টানে একটা দলকে সর্মথন করে যাওয়া।শিরোপার মূল্য যেখানে সামান্যই।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দল শুধু একদলা হতাশার নাম নয় একমুঠো স্বপ্নের নামও বটে।
লিও মেসি শুধু একটা ফুটবলারের নাম নয় যে জিতেও কিছু জিততে পারে না,লিও মেসি স্রেফ মায়াবী বিভ্রম।যে যখন তখন বিভ্রান্ত করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩