পেলে না গারিঞ্চা? কে বেশি ভালো? ব্রাজিলিয়ানরাই বা কাকে সেরা মনে করে? চলুন আজকে কিছু সত্য ঘটনা আর পরিসংখ্যান জানাই আপনাদের। নিজেরাই ঠিক করে নিবেন আপনি পেলে নাকি গারিঞ্চা কাকে ভালো মনে করেন।
প্রথমেই বলে নেই, বহু বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, ফুটবলার এবং কোচদের কাছে সান্তোসে, নিউইয়র্ক কসমস, ব্রাজিলের পেলে ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু সত্যিকারের সত্যি কি তাই? প্রায় ৭০ ভাগের বেশি ব্রাজিলিয়ান যারা পেলে এবং গারিঞ্চা উভয়ের খেলাই দেখেছেন তারা গারিঞ্চাকে বেশি পছন্দ করতেন এবং তারা মনে করেন গারিঞ্চা ব্রাজিলের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। তাহলে প্রশ্ন এসেই যায়, একজন খেলোয়াড়ি যিনি নিজের স্বদেশীদের মতেই সেই দেশের সেরা নন তিনি ইতিহাসের সেরা কি করে হলেন!!
পেলের পেশাদারি ক্যারিয়ারে স্বীকৃত ম্যাচ এবং গোলের হিসাবে দেখা যায় তিনি ৮১২ ম্যাচে ৭৫৭ গোল করেছেন, এক্ষেত্রে গারিঞ্চা ৬৪৮ ম্যাচে করেছেন ২৪৪ গোল। দেখাই যাচ্ছে গোল করার দক্ষতায় পেলের ধারেকাছে ছিলেন না গারিঞ্চা। কিন্তু আপনাকে এটাও মনে রাখতে হবে পেলে ছিলেন একজন পজিশনালি রেস্ট্রিকটেড নাম্বার নাইন। অর্থাৎ একমাত্র নাম্বার নাইন পজিশন ছাড়া পেলে অন্য কোনো পজিশনে খাপ খাওয়াতে পারতেন না। আপনি জানেন গারিঞ্চা ক্যারিয়ারে কয়টি পজিশনে খেলেছিলেন? গারিঞ্চা পুরো ক্যারিয়ারে রাইট উইং, লেফট উইং, সেন্টার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, সেন্টার ফরোয়ার্ড, নাম্বার নাইন এরকম পাঁচটি পজিশনে নিয়মিত খেলতে হতো গারিঞ্চা কে।
ক্রিয়েটিভিটির দিক দিয়ে গারিঞ্চার থেকে হাজার আলোকবর্ষ দূরে ছিলেন পেলে। রাইট উইং থেকে গারিঞ্চা সব কিছু করতে পারতেন। গারিঞ্চার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাঁকে ঝামেলায় না ফেলে উল্টো বাড়তি সুবিধা দিয়েছিল। তাঁর ছিল দুর্দান্ত গতি, অসাধারণ ডামি, বিশ্বের যেকোনো লেফট ব্যাকই গারিঞ্চাকে সামলাতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছেন। গতি, ব্যালান্স আর স্কিলের মিশেলে গারিঞ্চার বাড়ানো ক্রসগুলো ছিল স্ট্রাইকারদের জন্য পাতে তুলে দেয়া রসগোল্লা।
গারিঞ্চা পেলের মতো সহজাত গোলশিকারি ছিলেন না, কিন্তু ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন এই গারিঞ্চা। পেলে কখনো বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জিততে পারেন নি। পেলে একবার গোল্ডেন বল জিতেছেন বটে, কিন্তু গারিঞ্চাও জিতেছেন গোল্ডেন বল।
পেলে এবং গারিঞ্চা দুজনই পুরো ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে খেলেছেন ব্রাজিলে। পেলে সান্তোসে, গারিঞ্চা বোটাফোগোতে। কিন্তু পেলে কখনোই নিজের প্রতিভার সেরা টা দেখাতে পারেন নি যেখানে সেটা বেশি দেখানোর কথা ছিল, অর্থাৎ বিশ্বকাপে। তিনি সান্তোসে যেই কারিকুরি, স্কিল দেখাতেন এর ছিঁটেফোঁটাও দেখাতে পারেন নি বিশ্বকাপে। ডিয়েগো ম্যারাডোনার পেলেকে নিয়ে করা সমালোচনার বেশিরভাগই পেলের বিশ্বকাপে জ্বলে না উঠতে পারা নিয়ে।
ব্রাজিলিয়ান সমর্থকরা আমার সাথে লেগে যাবেন যে পেলে বিশ্বকাপে ১২ গোল
করেছেন, ৩টি বিশ্বকাপ জিতেছেন, তাও নাকি পেলে বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন নি! জি, আপনার প্র্রশ্নের উত্তর আমি দিব। তা এই লেখার পরের দিকে আসবে।
এবার আসি গারিঞ্চার কথায়। গারিঞ্চার বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স ফুটবলীয় রূপকথার অংশ। বোটাফোগোতে তিনি আর কি করতেন! বিশ্বকাপ বের করে এনেছিল সত্যিকারের গারিঞ্চাকে। তাঁর কয়েকটা গোলকে আখ্যায়িত করা হয় Screamer বলে। বুলগেরিয়ার বিপক্ষে অবিশ্বাস্য ফ্রি কিক থেকে করা গোল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫ গজ দূর থেকে ২৭০ ডিগ্রি বাঁকানো গোল যাকে আমরা ব্যানানা গোল বলি, চিলির বিপক্ষে তাঁর দুর্বল বাম পায়ে করা ড্রাইভেন শটের গোল কোনোটাকেই আপনি মন থেকে মুছতে পারবেন না।
গারিঞ্চা পেলের মতো অতটা ভালো গোলস্কোরার না হলেও তাঁর খেলা তৈরি করার ক্ষমতা ছিল ঈশ্বরপ্রদত্ত। গারিঞ্চার মতো পেলে কখনোই বিশ্বকাপে জাদুকরি কিছু করে দেখাতে পারেন নি।
পেলের এমন অনেক কিছু ছিল না যা গারিঞ্চার ছিল। গতি, ব্যালান্স, স্কিল এবং শট পাওয়ার এসব কিছুর রাজা ছিলেন একজনই, সেই ছোট্ট রাইট উইংগার গারিঞ্চা। পেলের এসবের কোনটাই অত ভালো পর্যায়ের ছিল না। ম্যারাডোনা বলেছিলেন পেলে যদি সিরি আ কিংবা লা লিগায় খেলতেন তাহলে তিনি নিজের আসল রং (সামর্থ্য) দেখতে পেতেন। এবং এটাই সত্যি।
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে গারিঞ্চার খেলা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ছিল ফুটবল খেলার সর্বোচ্চ লেভেলের। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স দেখলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যায়। গারিঞ্চা এমন বহু জাদুকরি মূহুর্তের জন্ম দিয়েছেন যখন তাঁর দলের তাঁকে দরকার। যখনই বোটাফোগো কিংবা ব্রাজিল ঝামেলায় পড়ত তখন তাঁদের একটাই ট্যাকটিকস ছিল, বলটা গারিঞ্চার কাছে দাও এরপর আরাম করো।
এবার আসি ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের জিজ্ঞাসায়। আপনাদের প্রশ্ন জেগেছে পেলের বিশ্বকাপে জ্বলে উঠা নিয়ে। আমরা জানি পেলে ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৭০ এই তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছেন। ১৯৫৮ দিয়ে শুরু করি। ১৯৫৮ এর বিশ্বকাপে পেলে করেছিলেন ৬ গোল। তাঁর গোলগুলো্ এসেছিল কিভাবে? ইউটিউবে দেখে আসুন।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে গারিঞ্চা কি করেছিলেন তা জানতে চান? তাহলে পড়ে নিন।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রথম ২ ম্যাচে গারিঞ্চাকে মাঠে নামানো হলো না। যদিও ম্যাচ ২ টি ব্রাজিল জিতে। এরপর ৩য় ম্যাচে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে গারিঞ্চা নামলেন। একই ম্যাচে অভিষেক হলো পেলের! সোভিয়েতরা ছিলো ফুটবল পরাশক্তি। তাদেরকে সেই বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার মনে করা হয়েছিলো। ব্রাজিল কোচ ভিসেন্তে ফিওলা প্রতিপক্ষকে ভড়কে দিতে ফন্দি আঁটলেন। বুদ্ধিটি ছিলো কিক অফের সাথে সাথে সোভিয়েত কে আক্রমণ করা। কিক অফ করার সাথে সাথে বল পেলেন গারিঞ্চা। তিন জনকে কাটিয়ে শট নিলেন, তাঁর শট ফিরে এলো পোস্টে লেগে। এরপর ম্যাচের ১ মিনিটও যখন পার হয় নি, গারিঞ্চা বল সাজিয়ে দিলেন পেলেকে। পেলের শটও ফিরে এলো ক্রসবারে লেগে! সেই সময়টাকে বলা হয় ফুটবলের সেরা তিন মিনিট। ব্রাজিল ম্যাচটি জেতে ২-০ গোলে। কোয়ার্টারে সামনে পড়ে ওয়েলস। ব্রাজিল ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় পায়।
সেই ম্যাচের পরে ওয়েলস ডিফেন্ডার মেল হপকিন্স গারিঞ্চাকে নিয়ে বলেন-' গারিঞ্চা পেলের থেকেও ভয়ংকর। সে একজন ফেনোমেনন এবং তাঁর অদ্ভূত ক্ষমতা আছে, তাঁর পায়ের অসামঞ্জস্যের কারণে বুঝা যায় না সে কোনদিকে যাবে, সে ডান দিকেও যেতে পারে আবার বাম পাকে ডান পা হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। আর তাঁর জোরালো শট তো আছেই'।
ফাইনালে মুখোমুখি ব্রাজিল-সুইডেন। ব্রাজিল ১-০ তে পিছিয়ে পড়ল। কিন্তু একটু পরেই গারিঞ্চার গতির তোড়ে তাঁর মার্কার ছিটকে গেল, গারিঞ্চা ভাভার উদ্দেশ্যে ক্রস বাড়ালেন, ভাভা সমতা ফেরালেন। প্রথমার্ধ শেষ হবার কিছুক্ষণ আগে ঠিক একইভাবে গারিঞ্চা ভাভাকে বল বাড়ালেন, ভাভাও ঠিক একইভাবে গোল করে ব্রাজিলকে ২-১ এ এগিয়ে দিলেন। ব্রাজিল প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতলো, দুঃখে প্রলেপ পড়ল মারাকানা ট্র্যাজেডির এবং গারিঞ্চা বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা পেলেন।
এবার আসি ১৯৬২ বিশ্বকাপে। ১৯৬২ বিশ্বকাপে পেলে পুরো ম্যাচ খেলেছিলেন মাত্র ১টি। ইনজুরিতে পড়ে তাঁর বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায়। ১৯৬২ বিশ্বকাপ কিন্তু ব্রাজিলই জিতেছিল। কে জিতিয়েছিলেন জানেন? গারিঞ্চা। সেই বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট এবং গোল্ডেন বল জিতেছিলেন গারিঞ্চাই। তাই পেলে ১৯৬২ এর বিশ্বকাপ জিতেছেন তা নামে থাকলেও আসলে এতে তাঁর কোনো অবদানই ছিল না। ১৯৭০ এর বিশ্বকাপের ব্রাজিল দলকে বলা হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা দল। সেখানে পেলে ছিলেন অন্যান্যদের মতোই। প্রতিভায় তাঁর থেকেও এগিয়ে থাকা খেলোয়াড়ও ছিল সেই দলে। দলীয় প্রচেষ্টায় জেতা সেই বিশ্বকাপেও নিজের আলাদা কোনো বৈশিষ্ট্য জাহির করতে পারেন নি পেলে।
যে বিশ্বকাপগুলো পেলে খেলেছিলেন সেই বিশ্বকাপে পেলে এবং অন্যান্য খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের তুলনা দেয়া যাক।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে পেলে করেছিলেন ৬ গোল, সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া ফ্রান্সের জ্যা ফন্তেইন করেছিলেন ১৩ গোল, যা আবার এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড। ১৯৬২ বিশ্বকাপে যেহেতু ইনজুরিতে ছিলেন তাই আমি সেখানে যাচ্ছি না। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে পেলে করেছিলেন ১ গোল, সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া পর্তুগালে ইউসেবিও করেছিলেন ৯ গোল। ১৯৭০ বিশ্বকাপে পেলে করেছিলেন ৪ গোল, সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া জার্মানির জার্ড মুলার করেছিলেন ১০ গোল। আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
এবার আমি পেলের সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য দিবো যা পেলে কখনো বিশ্বকে জানাতে চান নি। পেলের ভাষ্যমতে তিনি ক্যারিয়ারে ১ হাজার ২ শ ৮৩ টি গোল করেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এই গোলগুলোর মধ্যে ৫২৬ টি গোলই ছিল আনঅফিসিয়ার ফ্রেন্ডলি এবং ট্যুর ম্যাচের? জানতেন না, এখন জেনেছেন।
পেলে সেইসব ম্যাচ এবং গোল পর্যন্ত নিজের ক্যারিয়ারে হিসেব করেছেন যে ম্যাচ কিনা তিনি খেলেছিলেন মিলিটারি কম্পিটিশনের সিক্সথ গ্রেড দলের বিপক্ষে! শুধুমাত্র গোলই যদি একজন খেলোয়াড়কে বিচার করার মাপকাঠি হয় তাহলে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হবেন ইয়োসেপ বাইকান। বাইকান তাঁর ক্যারিয়ারে ১ হাজার ৪ শ ৬৮টি গোল করেছিলেন। এখন আপনিই বলুন বাইকান কি পেলের থেকেও ভালো নন? সে তর্কে আমি যাবো না।
এবার চলুন দেখি পেলে যে ম্যাচগুলোতে সবচেয়ে বেশি গোল করেছিলেন সে ম্যাচগুলো কোন প্রতিযোগিতায়, কার বিপক্ষে, কোথায় ছিল।
পেলে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮টি গোলও করেছেন। একটি ম্যাচে সান্তোস ১১-০ গোলে বোটাফোগোকে হারিয়েছিল। পেলে করেছিলেন ৮ গোল। না বন্ধুরা, উৎফুল্ল হবার কোনো কারণ নেই। এই বোটাফোগো গারিঞ্চা কিংবা ব্রাজিলের বোটাফোগো নয়। এই বোটাফোগো দলটি মূলত ক্রিস্চিয়ান চার্চের যাজক এবং কর্মচারীদের নিয়ে গঠিত একটি শৌখিন ফুটবল দল।
আরেকটি ম্যাচে সান্তোস জুভেন্টাস কে হারায় ১০-১ গোলে, যে ম্যাচে পেলের গোল ছিল ৫টি। আবার নিশ্চয়ই পেলেএএএ ইজ দ্যা বেস্ট বলে লাফিয়ে উঠেছেন। দুঃখিত, এবারো আপনাকে হতাশ করতে হচ্ছে। এই জুভেন্টাস ইতালিয়ান জুভেন্টাস না। এই জুভেন্টাস ব্রাজিলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাম না জানা খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত জুভেন্টাস। এরা কখনো ব্রাজিলের ফুটবলীয় কাঠামোর ৫ম স্তরের উপরে উঠতে পারেনি। সেই দলের বিপক্ষে করা গোলও পেলে হিসেব করেছেন। আমার সন্দেহ হয় বাড়ির উঠোনে নিজের পাড়ার পিচ্চিদের সাথে খেলায় করা গোলও তিনি হিসেব করেছেন কিনা।
পেলে যখন নিজের করা সর্বকালের সেরা ১২৫ খেলোয়াড়ের তালিকা করেছিলেন তিনি নিজের অনেক সতীর্থ কে রাখেন নি। সর্বকালের অন্যতম সেরা লেফট ব্যাক দালমা সান্তোস এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা ফ্রি কিক টেকার কার্লোস আলবার্তো কে তিনি সেখানে রাখেন নি। তিনি সেই তালিকায় রেখেছেন সাবেক বসনিয়ান কোচ সাফেত সুসিচ কে। এবার আপনিই বলুন তাঁর ফুটবলীয় জ্ঞান কতদূর?
অনেকে মেসি না পেলে নিয়ে যুদ্ধ লেগে যায়। মেসিকে যদি তাঁর থেকে ভালো বলতে হয় তাহলে কি করতে হবে তা পেলের মুখ থেকেই শোনা যাক-
People always ask me: "When is the new Pele going to be born?" Never. My father and mother have closed the factory. When Messi's scored 1,283 goals like me, when he's won three World Cups, we'll talk about it".
পাঠক, ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গিয়েছেন পেলে ৩টি নয় ২টি বিশ্বকাপ জিতেছেন এবং তাঁর ক্যারিয়ার গোল ১২৮৩ টি নয় বরং ৭৫৭ টি। তাই পেলের কথার পরিপ্রেক্ষিতেই বলতে চাই মেসিকে পেলের থেকে ভালো বলেতে গেলে মেসির দুটি বিশ্বকাপ জিতলেই হবে এবং ১২৮৪টি নয় বরং ৭৫৮টি গোল করলেই চলবে। এখন আপনারা বলবেন আচ্ছা ঠিক আছে, মেসি তো আগে দুটো বিশ্বকাপ জিতুক। জি, আমিও সেই কথাই বলছি। এখানে মেসি-পেলে তর্ক হচ্ছে না, হচ্ছে পেলে-গারিঞ্চা তর্ক। মেসিকে এখানে টেনে আনা হয়েছে শুধুমাত্র পেলের মিথ্যাচার এবং দাম্ভিকতার স্তর টা দেখানোর জন্য।
জানি এই লেখাটা পড়ার পর অনেকের জ্বলে উঠবে, আমার ফাঁসিও চাওয়া হবে। কিন্তু আমি জানি আমি যা লিখেছি তাতে বিন্দুমাত্রও ভুল নেই। আমার কাছে সেরা ব্রাজিলিয়ান ছিলেন গারিঞ্চা দ্যা লিটল বার্ড, তিনি তা সারাজীবনই থাকবেন। আপনাদের বিচার আপনাদেরই কাছে।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩১