এটি উস্তাদ নোমান আলী খান এর একটি লেকচার, হুবুহু তাঁর নিজের কথায়,
------
তিনমাস আগে আমি ফোর্টওয়ার্থ (টেক্সাস, আমেরিকা) এ খুতবা দিয়েছিলাম। সেই মাসজিদটাতে আমি গত ৪-৫ বছরে যাইনি। কোন এক কারনে তারা আমাকে সেখানে আমন্ত্রন করেছিল, তাই আমি গেলাম। আমার খুতবার বিষয় ছিল ” দু’আ ” খুতবার পরে একজন ইজিপ্সশিয়ান যুবক আমার কাছে এল। সে বলল- আল্লাহ্ আজকে আমার দু’আ পূরন করেছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম- আপনার দু’আ কি ছিল? সে উত্তর দিল- আমার দু’আ ছিল যে নোমান আলী খানের উচিত রবার্ট ডাভিলার সাথে দেখা করা!
আমি বেশ ভাল রকম চমকালাম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম- আপনি কি রবার্ট ডাভিলা? সে বলল- না, আমি রবার্ট ডাভিলা নই, আমি তার বন্ধু। কিন্তু আমার ধারনা আল্লাহ্ আমার দু’আ পূরন করা শুরু করেছেন।
আমি খুব আগ্রহী হলাম পুরো ব্যাপারে, তাই আমি তার কাছ থেকে পুরোটা শুনলাম। রবার্ট ডাভিলা একজন যুবক কৃষক যে ফোর্টওয়ার্থ থেকে ৪০ মিনিট দূরত্বের একটা শহরে থাকে। তার কোন একটা জেনেটিক সমস্যা ছিল, যার কারনে জীবনের একটা সময়ে এসে তার শরীরটা গলার নীচ থেকে পা পর্যন্ত প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছে। সে ওখানে একটা নার্সিং হোমে থাকে। বেশিরভাগ রোগীই সেখানে নব্বই একশ বছরের বৃদ্ধ, একমাত্র রবার্ট-ই সেখানে ৩০ বছরের একজন যুবক যে তার নিজের রুমে থাকত। সে গত ১০ বছর ধরে ঐ হোমেই আছে। তার পরিবার তার জন্য একটা বিশেষ ধরনের ভয়েস-কম্যান্ড কম্পিউটার এর ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, সেটা দিয়ে সে তার কন্ঠ দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পৃথিবীর খোঁজখবর রাখতে পারত।
রবার্ট খ্রিষ্টান পরিবারের সন্তান। তার সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিল তার পাশের খাটে। তার সাথে রবার্টের পরিচয় এই হোমে এসেই। সেও প্যারালাইজড ছিল, আর তার একটা লিভারের(যকৃত) প্রয়োজন ছিল, সে লিভার ট্র্যান্সপ্লান্ট এর জন্য ডোনারের অপেক্ষা করত। দুই বন্ধু নানারকম বিষয় নিয়ে কথা বলত- স্রষ্টা, জীবন, ইত্যাদি।
একদিন রবার্টের বন্ধু খবর পেল যে একজন লিভার ডোনার পাওয়া গিয়েছে। সে খুবই খুশি ও উত্তেজিত হয়ে উঠল। সে রবার্টকে বলল- রবার্ট আমি একজন ডোনার পেয়েছি। আমি তোমাকে অনেক মিস করব, কিন্তু আমাকে যেতে হবে।
রবার্টের বন্ধু চলে যায়। আসলেই চলে যায় সে। অপারেশন টেবিলে লিভার ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট করার সময় মারা যায় সে। এই বন্ধুটিও খ্রিষ্টান ছিল, তার গলায় একটা ক্রুশ ঝুলত সবসময়, তার বোন সেটা স্মৃতি হিসেবে রবার্টকে দিয়ে যায়। সেটা রবার্ট এর বিছানার পাশেই ঝুলত। রবার্ট একজন সাধারন সাধাসিধে মানুষ, নার্সরা তার দেখাশুনা করত, তার জীবন মোটামুটি চলছিল সেই হোমে। একদিন রবার্ট ঘুমের মধ্যে একটা স্বপ্ন দেখল। সে একজন মানুষকে দেখল, মানুষটি তার নাম বলল “মুহাম্মাদ” মুহাম্মদ নামক মানুষটি আঙ্গুল দিয়ে মাদুলিটি দেখিয়ে রবার্টকে বললেন- ” আল্লাহ্ এই জন্য তাঁর মেসেঞ্জারদের (নবী) পাঠান নি যেন মানুষ তাদের উপাসনা করে। বরং আল্লাহ্ নবীদের পাঠিয়েছেন যাতে মানুষ আল্লাহর উপাসনা করে। যীশু( ঈসা) হচ্ছেন কেবলমাত্র একজন মানুষ। তিনি বাজারেও যেতেন, খাবারও খেতেন। ” স্বপ্নটা এখানেই শেষ হয়ে যায়। রবার্ট চিন্তা করে ব্যাপারটা নিয়ে। সে যীশুর নাম জানত, এখন সে মুহাম্মদ এর নাম শুনল। কে ইনি? রবার্ট ইন্টারনেটে খোজা শুরু করে।
খুজতে খুজতে সে ইসলাম কে খুজে পেল। সে ইসলাম গ্রহন করল। যেহেতু সে এখন একজন মুসলিম, কাজেই সে কু’রান সম্পর্কে জানতে চাইল এরপর। সে খুজে খুজে কিছু চ্যাট রুমে গেল। “কেউ আমাকে কু’রান শেখাও”- অনুরোধ জানাল রবার্ট।
প্রায় সাথে সাথেই সে একজন মানুষকে পেয়ে যায়, যে তাকে স্কাইপ এ আরবি বর্নমালা শিখিয়ে দেয়। আরবি বর্নমালা শেখার পর সে কু’রান পড়া শিখল। সে তার নার্সিং হোমের বেডে শুয়ে শুয়ে ১০টি সূরা মুখস্থ করে ফেলল।
একদিন রবার্টের মনে হল- আমি কু’রান পড়তে শিখলাম, আমি নবী মুহাম্মদ(স) সম্পর্কে জানা শুরু করলাম, কিন্তু আমাকে জানতে হবে কু’রানের ভিতরে আসলে কি মেসেজ দেওয়া আছে। তাই সে আবারো ইন্টারনেট এ খোজা শুরু করে- “কিভাবে কু’রান বোঝা যায়- How to Understand the Qur’an”. কোন এক কারনে খুজে খুজে সে আমার ভিডিও গুলো পায়। সে আমার জিনিসগুলো( লেকচার, নোট, ভিডিও) দেখা শুরু করে। আমার প্রায় সবকিছুই সে দেখে ফেলে।
সেই হোমে একজন ইজীপ্সশিয়ান লোক ছিল যে টুকটাক মেরামতি সার্ভিসিং এর কাজ করত। তার নিজেরো একটা থ্রিলিং গল্প আছে। সে একজন মুসলিম, কিন্তু সে প্র্যাকটিসিং ছিল না, সে তার বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল। তার সবচে কাছের মাসজিদটা ছিল ৫০ মাইল বা ৮০ কিলোমিটার দূরে , তাই সে জুম্মাহর নামাজেও তেমন একটা যেত না। কিন্তু, ধর্ম নিয়ে মাঝে মাঝে চিন্তা হওয়াতে সে কাছের চার্চ এ যাওয়া শুরু করল, যাতে করে সে আল্লাহকে আরেকটু গভীরভাবে অনুভব করতে পারে। সে জন্মসুত্রে মুসলিম, কিন্তু আল্লাহর কাছে যাওয়ার জন্য সে নিয়মিত চার্চে যেত! একদিন সে রবার্টের রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, হঠাত সে শুনতে পেল তার রুম থেকে ” ওয়াল আসর, ইন্নাল ইনসানা লা ফী খুসর (সূরা আসর) ” এর শব্দ ভেসে আসছে।
সে অবাক হয়ে ঢুকে জিজ্ঞেস করল- “তুমি কি শুনছ রবার্ট!” রবার্ট বলল- কই কিছু নাতো। আমি নিজেই পড়ছিলাম। লোকটি আকাশ থেকে পড়ল । “তুমি কি মুসলিম হয়েছ?”- জিগেশ করল সে। “হ্যা, আমি মুসলিম হয়েছি”- রবার্ট বলল।
ইলেকট্রিক শক খাওয়ার মতন চমকে উঠল লোকটি। আমেরিকার টেক্সাস এ, চারিদিকে ভর্তি চার্চে, একটা নার্সিং হোমে, বিছানার পাশে ঝুলানো একটা ক্রুশ নিয়ে যেটা নাড়ানোর মতন ক্ষমতাও তার নাই, এত কিছু মধ্যেও একটা মানুষকে কিভাবে আল্লাহ্ পথ দেখাতে পারেন? আবেগে আপ্লুত হয়ে লোকটি নিজেই নিজেকে বলে- “আমি আল্লাহর কাছে আবার ফেরত আসতে চাই, আমি আবার ইসলামে ফেরত আসতে চাই।”
রবার্ট তার এই ইজীপ্সশিয়ান বন্ধুকে তার অনলাইন শিক্ষক নোমান আলী খানের কথা বলে। এবার ইজীপ্সশিয়ান বন্ধুটিও আমার ভিডিও গুলো দেখা শুরু করে। একদিন রবার্ট এই বন্ধুটিকে বলে- “আমার খুব ইচ্ছা নোমান আলী খানের সাথে একদিন আমার দেখা হত।” বন্ধুটি শুনে বলে- “ঠিক আছে, আমি তোমার জন্য দু’আ করব।”
ঠিক পাঁচ বছর পর এই বন্ধুটি ঠিক সেই মাসজিদে আমার খুতবা শুনতে আসে যেখানে আমি গত চারবছরে যাইনি !!! জুম্মাহর পরে সে আমাকে বলে- “আমার মনে হয় আল্লাহ্ আমার ও রবার্টের দু’আ পুরন করতে যাচ্ছেন।” আমি তাকে বললাম- হ্যা, আমারো তাই মনে হয়। চলুন যাওয়া যাক।
তাই আমরা কয়েকজন গেলাম। আমরা রবার্টের সাথে দেখা করলাম। অত্যন্ত সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছি আমরা তার সাথে। ইনশাআল্লাহ ঈদে আমরা আবার তার হোমে যাব। আমরা যখন সেখানে গেলাম দলবল নিয়ে, নার্সরা আমাদের দেখে হা করে জিজ্ঞেস করল- আপনারা সবাই রবার্টকে দেখতে এসেছেন?
আমরা বললাম- হ্যা । তারা জিগেস করল- কেন দেখা করতে চান? আমরা বলেছি- সে আমাদের অনুপ্রেরনা।
নার্সরা নানা জায়গায় ফোনকল করল, তারপর আমাদের যেতে দিল। রবার্ট আমাদের দেখে শক খাওয়ার মতন চমকে উঠল। আমি তাকে বললাম- রবার্ট আমি শুনেছি আপনি কয়েকটা সূরা মুখস্থ করেছেন।
সে বলল – হ্যা। “আমার জন্য একটা শুনাতে পারবেন?” আমি তাকে জিগেশ করলাম। “হ্যা অবশ্যই”।
সে আমাদেরকে সুরা আসর শুনাল। আমাদের এমন একজনও ছিল না যার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল না। আমাদের চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়তে লাগল।
যখন কেউ আল্লাহর পথে ফিরে আসে, কিভাবে সাহায্য আসবে সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন না।আল্লাহর সাহায্য আসবেই ।আমি রবার্টকে নিয়ে আরেকটু বলতে চাই, কারন এখানে তরুনরা আছ, বাসকেটবল খেল এমন অনেক টীন-এজার আছ এখানে, যারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, উদ্যমে ভরা।
আমি আপনাদের রবার্টের প্যারালাইসিস সম্পর্কে বলেছি। তার গলা থেকে নিচ পর্যন্ত পুরো শরীর অবশ। সে একটা বিশেষ হুইল চেয়ারে বসে যেটা তার পুরো শরীর কে আটকে রাখে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত, কারন তার হাতপায়ের উপর তার কোন নিয়ন্ত্রন নেই। তাকে তার হুইলচেয়ার সহ একটা বিশেষ ভ্যান এ চড়ে সবযায়গায় যাতায়াত করতে হয়, কারন সে রাস্তার ঝাকি সহ্য করতে পারেনা। একদিন সে অনুরোধ করে সে জুম্মাহর নামাজে যেতে যায়। কিন্তু কোন কারনে বিশেষ ভ্যানটি ছিল না, তাই তাকে একটা সাধারন ভ্যানে হুইলচেয়ার ছাড়া পাঠানো হয়। পথে তার পিঠে কিছু ঝাকুনি লাগে, সে কারনে তার মেরুদন্ডে আরো কিছু আঘাত সৃষ্টি হয়।
রবার্ট নামাজ থেকে ফেরত আসে অসহ্য ব্যথা নিয়ে। তাকে বলা হয়- রবার্ট আমরা দুঃখিত। কিন্তু তুমি আগামী ৬ মাস এই চেয়ারে আর বসতে পারবেনা। তোমাকে আগামী ৬ মাস পুরো বিছানায় থাকতে হবে। যদি এরপর তোমার উন্নতি হয়, আমরা দেখব তখন কি করা যায়।
আমার সাথে যখন রবার্টের দেখা হয় তখন সে ৩মাস ধরে বিছানায়। তার পিঠের ব্যাথার কারন ছিল জুম্মাহর নামাজ। তারপরো সে আমাকে বলে- “আমি আমার জীবনেও এত শান্তির কোন জায়গায় যাইনি ঐ মাসজিদের চেয়ে। নোমান ভাই, আপনি জানেন আমি কি করব ? আমার চেয়ারটা ফেরত পেলেই আমি আবার নামাজে যাব। আমি আবারো মাসজিদে যাব। কারন ঐরকম অনুভুতি আমি জীবনেও পাইনি”
সে এমন একজন যার দুটি চোখ আর মুখ ছাড়া আর কোনই শারীরিক ক্ষমতা নেই। তারপরো সে বলে- আমি একমাত্র মাসজিদেই শান্তি খুজে পাই।
আর আমরাও এখানে মাসজিদে বসে আছি ( নীরবতা) আমি আসলে কেয়ার করিনা কে কোন ইসলামী চিন্তাধারার, বা কে বা কারা বলল মাসজিদে অনেক ফিতনা ফ্যাসাদ হয়। সব কিছুর পরেও শেষ কথা হচ্ছে এটা আল্লাহর ঘর। সেখানে নামাজ পড়ার জন্য যান শুধুমাত্র। মানুষের সাথে কথা বলার জন্য মাসজিদে যেয়েন না, আল্লাহর সাথে কথা বলার জন্য যান। শুধু আপনি আর আল্লাহ্। আল্লাহ্ আর আপনি। ব্যস, এটুকুই। অন্যান্য জিনিশগুলো আসবে আস্তে আস্তে। আপনি শুধু যান। আপনি শুধুমাত্র শান্তির জন্য সেখানে যান। আপনি নিজেই টের পাবেন আপনি একজন অন্য মানুষে পরিনত হচ্ছেন।
আল্লাহ্ যদি রবার্টকে পথ দেখাতে পারেন, আল্লাহ্ যে কাউকে পথ দেখাতে পারেন। আপনারা জানেন সে আমাকে কি বলেছে? রবার্ট আমাকে বলেছে- ” আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আল্লাহ্ কেন আমাকে এমন এমন পরিস্থিতিতে ফেললেন? তারপর আমি নিজেই নিজের উপর হাসি । আল্লাহ্ আমাকে এত এত কিছু দিয়েছেন, আমি তার প্রতি এত কৃতজ্ঞ, যদি এটাই হয় আমাকে ইসলামে আনার জন্য আল্লাহর প্ল্যান, তাহলে এটাই ঠিক আছে। Its all worth it. ”
আপনারা অনেক মুসলিমকে দেখবেন, যাদের সামান্য একটু অসুখ হলেও তারা এটা বলা শুরু করে- আল্লাহ্ কেন আমার সাথেই এমন করলেন?
আমি আপনাদের বলতে চাই, যদি পৃথিবীতে একটি মাত্র মানুষের অবিশ্বাসী হওয়ার অধিকার ছিল, সে হোত এই রবার্ট। এই লোকটি বলতেই পারত- আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি না। যদি আল্লাহ্ থাকতেনই, তাহলে আজকে আমার এই অবস্থা কেন?
এবং তারপরো সে এই অবস্থায় আছে আজকে, আর আমি তার মুখের চেয়ে বেশি আলোকোজ্জ্বল মুখ জীবনেও দেখিনি। জীবনেও না। তার মুখে আমি যে সুখ ও শান্তি ও পরিতৃপ্তি দেখেছি, আমি আর কোথাও তা দেখিনি। সে আসলে একজন পরিতৃপ্ত সুখী মানুষ।
শেষ যে ৭-৮টি খুতবা আমি দিয়েছি তার প্রত্যেকটি ছিল রবার্টের বলা এক একটি লাইন। সে আমার শিক্ষক। আমি তাকে একজন শিক্ষক হিসেবে নিয়েছি। যখন কেউ আমাকে জিগেশ করে- আপনার শায়খ কে? আমি বলি- রবার্ট ডাভিলা।
Guidance আমাদের চারপাশেই আছে। আপনাকে চিন্তা করতে হবে না যে কি কি জিনিস নেই। বরং প্রচুর উদাহরন আমাদের পাশেই আছে।
আল্লাহ্ ঘুমের মধ্যেও আপনাকে সাহায্য করবেন, যদি আপনি আল্লাহর কাছে দু’আ করেন। আল্লাহর সাহায্য নিয়ে আমাদের সন্দিহান হবার কিছু নেই। কিভাবে সাহায্য আসবে, সেটা আল্লাহর কাজ। আপনার কাজ হচ্ছে তাঁর সাথে কথা বলা, তাঁর সাথে যোগাযোগ করা, তাঁর প্রতি সিনসিয়ার হওয়া। এই মেসেজটাই আমি আজকে আপনাদের দিতে চাই। আপনি আল্লাহর প্রতি সিনসিয়ার হওয়া মাত্র আল্লাহ্ আপনার জন্য বিভিন্ন দরজা খুলে দিবেন। আল্লাহ্ আপনাকে বন্ধু দিবেন, আপনাকে তথ্য দিবেন, আপনাকে সাহায্য করবেন যাতে করে আপনি আল্লাহর দিকে আরো বেশি করে এগিয়ে যেতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩