একটা সময় অনেক চেয়েছি একটুখানি কষ্ট নিতে
সুখের মাঝে আষ্টেপৃষ্ঠে ঠিক যখনই ছিলাম বাঁধা।
যেচে যেচে একলা একা কষ্ট নিতাম,
একা একাই তোমায় ভেবে কষ্ট পেতাম।
কতো সুখে যে কতো দুঃখ করেছি চুরি
ফেলে আসা সেই নিতান্ত অবুঝ কৈশোরে।
সুখের প্রতি এ অবহেলা সহ্য হলো না সুখের –
পালিয়ে গেলো সমস্ত সুখ সদলবলে
রেখে আমায় একা অযত্নে আর অবহেলায়।
তারপর একটা সময় সুখী হতে খুব চেয়েছি,
খুব চেয়েছি একমুঠো সুখ রাখতে ধরে,
খুব ছুটেছি একটু সুখের মিথ্যে লোভে।
কিন্তু তার জন্য দুঃখেরা তো নেয়নি কোনো প্রতিশোধ,
ছুঁড়ে ফেলেনি নষ্ট সুখের আঁস্তাকুড়ে।
বরং যত্ন করে লালন করেছে নিপুণ নিষ্ঠায়,
মা যেমন তার শিশুকে আগলে রাখে ঠিক তেমনি।
এ জীবনে কতো সুখ এলো গেলো
কিন্তু কোনো সুখই পাশে রইলো না চিরদিন,
দুঃখেরা যেমন পাশে থাকে সবসময়ই।
পাশে থেকে এগিয়ে যেতে সাহস যোগায়,
প্রেরণা যোগায় ক্ষণে ক্ষণে।
দুঃখেরা তো সুখের মতো আবেগহীন নয় যে
ফেলে রেখে চলে যাবে অবলীলায়।
দুঃখেরা তো সুখের মতো স্বার্থপর নয় যে
দগ্ধ করবে, দুঃখ দেবে।
সুখেরা তো ক্ষণস্থায়ী; যাওয়ার জন্যে আসে,
এসেই চলে যায়। তা চলে যাক – যেতেই পারে।
তেমন ভ্রষ্ট সুখের দরকার নেই কোনো।
হে সুখ – “তোমাকে জানাই বিদায়।”
আমি দুঃখের পূজারী, মিথ্যে সুখের নয়;
দুঃখই আমার সবচেয়ে বড় অহংকার।
দুঃখ আপন করে নিতে পারো যদি এসো,
যদি সাধ হয় ভালবেসো।
নয়তো নির্দ্বিধায় চলে যাও সমস্ত সুখ নিয়ে
আর যতো দুঃখ সব এ বুকে দিয়ে।
দুঃখ দিয়েই করবো তৈরি অমর ভালোবাসার,
দুঃখ দিয়েই গড়বো একা তোমার-আমার সংসার।
© অদ্রি অপূর্ব
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৯