রাস্তা ঘাটে চলতে গিয়ে চোখটি আমার কত কিছু দেখে,
সমাজের অসঙ্গতি বলতে গেলে বলবে আমায় তুই বেটা কে.. তুই বেটা কে... তুই বেটা কে.......?
৬ নাম্বার বাসে উঠলাম, যাব গুলিস্থান উঠেই দেখি বাসে উচ্চ বাক্যে কথা, প্রায় এক রকম ঝগড়াই।
একটি ছেলে সে বলতেছে ছাত্র। সুন্দর মায়াবি মূখ মুখে অল্প অল্প দাড়ি কিন্ত কথা বার্তা খুব গরম।
কন্টেকটার: ভাড়া চার টাকাই দিতে হবে?
ছাত্র: না দুই টাকা নিলে নে না হলে ভাড়াই দেবনা।
কন্টেকটার: রংবাজি চুদাও? রংবাজি ভিতর দিয়া হান্দাইয়া দিমু। ভাল মত চার টাকা দিয়ে দে না হলে গাড়ি থেকে নামতে পারবিনা।
ড্রাইভার: গাড়ি থামিয়ে এই বেটা গাড়ির ভিতরে আইসা রংবাজি করছ? তোরে তো দেইখাই সন্ত্রাসী শিবির লাগতাছে।
সে কি উচ্ছবাক্য, বিশ্রি বিশ্রি কথা। নিজেকে আর চুপ রাখতে পারলাম না। প্রথমেই ছাত্রের দিকে লক্ষ্য করে ভাই আপনি দুই টাকা নিয়ে খামামা প্যাছাল পারতাছেন কেন? নিজের মুখ ও খারাপ করলেন অন্যের মাধ্যমেও গাল মন্দ শুনলেন।
ড্রাইভার: আবার লাফ মেরে সন্ত্রাসি শিবির গুলির কাজই এমন? আগের দিন আছে নাকি? আর অনেক কথা।
ড্রাইভার কে লক্ষ্য করে দিলাম এক ঝাড়ি, মিয়া ও শিবির করে নাকি লীগ করে এটা ওর গায়ে লেখা আছে নাকি? খামাকা ফালতু কথা বলেন। ( উল্লেখ্য আমি কোন ধরনের রাজনীতিই করিনা, তবে যারাই যে ভাল কাজ করে তাদের সাপোর্ট করি)
আমার কথার সযোগে ছেলেটি ভাড়া না দিয়েই বাস থেকে নেমে গেল।
এখন কথা হল, ছাত্র নামধারী ছেলেটি কেন এমন আচরণ করে গোঠা ছাত্র সমাজকে হেয় পতিপন্ন করল?
আর ড্রাইভার ই কেন অচিনা একটি ছেলের দোষে একটি দলকে কটাক্ষ করল? যে গুলির কারনে দিনের পর দিন আমাদের মাঝে শুধু হিংসাই বাড়াবে।