দুঃখিত কাউকে ঈদ মোবারক জানাতে পারছি না, সামাজিকতার খাতিরেও না। ইতিমধ্যে যাদের ঈদ মোবারক জানিয়েই ফেলেছি সেই রক্ত মাখা ঈদ মোবারক আমাকে ফেরৎ দিয়ে দেন।
আসলে মূল কথা হচ্ছে, স্রষ্টা মানেই রক্তারক্তি, স্রষ্টা মানেই কোপাকুপি, স্রষ্টা মানেই তলোয়ারের ঝনঝনানি। যুগে যুগে এভাবেই স্রষ্টাকে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।
আচ্ছা সবগুলো ধর্মের স্রষ্টাই রক্ত এত পছন্দ করে ক্যারে?? রক্ত দিয়ে তুষ্ট করতে হয় না এমন কোন স্রষ্টাই পেলাম না।
নরবলী পশু বলি নাই এমন কোন ধর্ম পাওয়া যাবে না। (বৌদ্ধ ধর্ম ব্যাতিক্রম বটে, আর সেখানে কোন স্রষ্টাও নেই )
স্রষ্টাদের প্রিয় হল বলি।
কোন স্রষ্টার শিশুবলি,কোন স্রষ্টার নারি বলি।
আর কোন স্রষ্টার পশু বলি।
সব স্রষ্টা কমন হল বলি।
রক্ত স্রষ্টার খুউব পছন্দ।
ঈদ উপলক্ষে এবার আপনাদের কিছু বিনুদুন দেই, ভাল না লাগলে পয়সা ফেরৎ
এবার রক্ত মাখা ইদ-উল আযাহা নিয়ে কি বলে একটু শুনুন, এক সময়ের বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, সমস্ত নাস্তিকদের যম, তাসলিমা নাসরিন, অভিজিৎ রায়,আসিফ মহিউদ্দিন সহ অসংখ্য নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যিনি দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। জামায়াতে ইসলামির একনিষ্ঠ সমর্থক, গোলাম আজমের চ্যালা, আওয়ামী সরকারের ভয়ে যিনি বউ,ছেলে নিয়ে গোলাম আজমের বাসায় আত্নগোপন করেছিলেন। পরবর্তীতে যিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইসলামের খেদমত করেছেন, বহু খ্রীষ্ট্রান পাদ্রীদের সাথে যিনি ইসলাম ধর্মের পক্ষে ডিবেট করেছেন। বহু হুজুর ওলামায়ে কেরামদের একসময়ের স্যার ( বর্তমানে আবার তাদের কাছেই পাগল ) সেই চিরচেনা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফাসসিল ইসলাম। ( বর্তমানে নাস্তিক, খিকজ খিকজ ) রক্ত মাখা কুরবাণী নিয়ে দুইডা বাণী ছেড়েন। দেশ, জাতি ও মানবতার স্বার্থে আমি মনে করি তার এই ভিডিওটি সকল,আস্তিক,নাস্তিক এবং ধার্মিকদের দেখা উচিৎ।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সত্যের দিকে ধ্বাবিত করুণ - আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৩