গুলশান, বানানী ও তার আশে পাশের বেশ কয়েকটি পরিবারের যুবক ছেলেদের পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিক গত হামলার ছেলেগুলো যেভাবে হঠাৎ উধায় হয়ে গিয়েছিল। এখনও কিছু ছেলে নাকি নিখোঁজ রয়েছে। বিদেশীরা বাংলাদশকে ডেঞ্জার জোন হিসেবে ঘোষণা করছে। উনারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন খুব শিগগিরই আরও বড় ধরণের জঙ্গি হামলা হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে এবং পরবর্তী টার্গেট বড় কোন মার্কেট । ফেসবুকে কয়েকজনের স্ট্যাটাসে এ জতিয় লেখাই দেখলাম।
লেখাটি সত্য, মিথ্যা, নাকি গুজব যাই হোক সেটা যাঁচাই করার অতটা প্রয়োজন মনে করছি না এ জন্য যে প্রকৃত পক্ষেই বাংলাদেশ এখন ডেঞ্জার জোনে আছে এ ব্যপারে আমার মনে হয় না কেউ সন্দেহ পোষণ করবে।
যদি সত্যিই আবার জঙ্গিরা কোন মার্কেট বা রেস্তোরা ঘেরাও করে তাহলে কিভাবে এই হামলার মোকাবেলা করা যায় এবং মৃত্যুর সংখ্যা শুণ্য নামিয়ে আনা যায়? কিভাবে বিনা রক্তপাতে জঙ্গিদের গ্রেফতার করা যায়?
তাও আবার বিনা রক্তপাতে?? হুমম সে কথাই তো বলছি। কিভেবে?
ইয়েস আই'ভ এ্যন আইডিয়া আর তা হল আলেম সমাজ। মানে কি? দাঁড়ান দাঁড়ান একটু খোলাসা করতে দেন।
আমরা একটা গেম খেলব আর এর নাম হচ্ছে সাইকলোজি গেম, হিপনোটাইস বা সম্মোহন বিদ্যা। আমি ৯৯% শিওর এটা কাজে দিবে। কজ আই'ভ এ্যন এক্সপিরিয়েন্স এবাউট ইট
এই পরিকল্পনার পূর্ব শর্ত হচ্ছে - আমার এই লেখা কোন জঙ্গি পড়তে পারবে না বা আমার এই লেখার আইডিয়া তাদের কাছে পৌঁছানো যাবে না। যদি কোন কারণে এই আইডিয়া জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে যায় তাহলে পুরো পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে হিতে বিপরীত হবে এবং মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুন হবে। সুতরাং খেয়াল কইরা
তাই যারা আমার এই লেখা পড়ছেন সকলের কাছে অনুরোধ ভুলেও লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার করবেন না এবং আমিও ফেসবুকে শেয়ার দিব না। ( যদিও জঙ্গিরা সব সময় আমাকে চোখে চোখে রাখে)
যদি আপনার মনে হয় আমার আইডিয়াটা ফলপ্রসূ হবে তাহলে বড়জোড় মেইল করে পোস্টটি আইন শৃংখলা বহিনীর কাছে পৌঁছিয়ে দিতে পারেন। আর যদি মনে হয় এটা পগলামি তাহলে জাস্ট স্কিপ দিস পোস্ট, ওকে?
এই খেলায় ২০/৩০ জন আলেমকে যদি পূর্ব থেকেই প্রশিক্ষণ দেয়া যায় বা মহড়া করে নেয়া যায় তাহলে সবচেয়ে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যাবে। মনে রাখতে হবে ভীতু,দুর্বল, হার্টের রোগী,আত্নবিশ্বাস কম এ জাতীয় আলেমদের দ্বারা হবে না। এই কাজটিতে আত্নবিশ্বাস থাকতে হবে শত ভাগ এক্কেবারে ১০০ তে ১০০ বিশেষ করে গ্রুপের যে নেতৃত্বে থাকবে তার তো অবশ্যই। আর শারীরিক গঠণে লম্বা,চওড়া, একটু হুস্টুপুষ্টু ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন আলেমদের সিলেক্ট করতে হবে।
ওয়েল, এবার তাহলে জঙ্গি ধরার কৌশলটা শেয়ার করি- জঙ্গি হওয়ার পুরো ব্যপারটিই হচ্ছে সাইকোলজীক্যাল ব্যপার আর এর সাথে জড়িত থাকে ধর্ম এবং তাকে উস্কে দেয়ার কাজটি করেন কোন এক বড় ভাই,নেতা, গুরু,আমীর যাই বলি না কেন, এমন এক বা একাধিক কোন ব্যক্তি তার ব্রেইনটি পরিপূর্ণ ওয়াশ করেন।
কেন এবং কিভাবে একজন মুসিলাম জঙ্গিতে রুপন্তরিত হয় এ ব্যপারে মোটমুটি ধরণা পেতে এই পোস্টের নিচে কিছু কমেন্ট করেছি তা দেখতে পারেন। view this link
আশা করি কিছুটা ধাণা পেয়েছেন- এবার আসি মূল পয়েন্টে। ধরি, কোন এক রেস্তোরা অথবা মার্কেট জঙ্গিরা ঘেরাও করে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিলো। এমত অবস্থায় আইন শৃংখলার যত চৌকশ বাহিনীই যে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক না কেন হত্যাকান্ড ঘটবেই। বিনা রক্তপাতে জঙ্গিদের হাত থেকে মার্কেট দখল মুক্ত করা যবে না, এটা খুবই দূরুহ একটা কাজ
আমার আই্ডিয়াটা হচ্ছে কোন ধরণের সামরিক অভিযান না চালিয়ে ২০/৩০ জন আলেমদের ডাকতে হবে সাদা ধবধবে পোশাক পরিহিত আলেম, ডান হাতে কোরান শরীফ বুক বাড়াবড় ধরতে হবে এবং বাম হাতের শাহাদত আ্ঙুল আকাশের দিকে থাকবে। কয়েকজনের হাতে থাকবে পবিত্র কাবা শরীফের ছবি,কয়েকজনের হাতে থাকবে সাদা পতাকায় কালেমা শহাদত লেখা পতাকা। আলেমগণ আললহু আকবার আলহু আকাবর ঊচ্চ স্বরে এবং পূর্ণ আত্নবিশ্বাসের সহিত রব তুলে মার্কেটের দিকে এগিয়ে যাবে। জঙ্গিদের কিছুটা কাছাকাছি গিয়ে সূরা, ইয়াসিন,আররহমান,আয়াতুল কুরছি এই সূরা গুলো পাঠ করে শুনাতে হবে এবং ধীরে ধীরে ওদের দিকে এগিয়ে যেত হবে। এবার আলেমগণ জঙ্গিদের খুব কাছাকছি চলে এসেছেন। ইটস ভেরী ইম্পরটেন্ট মোমেন্ট। এই সময়ে জঙ্গিদের ঠিক চোখের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ্জলেমিন এই দোয়াটা অত্যন্ত আত্ন বিশ্বাসের সহিত পাঠ করে ওদের শুনাতে হবে এবং আলেমদের যে নেতা সে ওদের বলবে বাবারা আমরা এসছি তোমাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করতে এবং তোমাদের সাথে মাশওয়ারায় বসতে ( আলোচনায় বসতে) এই বলে এক এক জন আলেম নিজেদের পরিচয় প্রদান করবেন, আমি বাইতুল মুকাররমের ঈমাম, আমি বাইতুল জান্নার খতিব, আমি আবু হুরায়রা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক,আমি মহা গ্রন্থ আল কোরানের হাফেজ.. ইত্যাদি বলে। তারপর আলেমদের প্রধান কোরান হাতে রেখে শপথ করে ওদের বলবে আমি মাহা গ্রন্থ আল কুরআন ছুঁয়ে শপথ করে বলছি তোমাদের অস্ত্র আমাদের কাছে জমা দাও। তোমাদের কেউ গ্রফতার করবে না। তোমরা আমাদের সাথে মসজিদে যাবে তারপর আলোচনায় বসব।
আমি শিওর ওরা তাই্ করবে। তারপর জঙ্গিদের নিয়ে মসজিদে গিয়ে ওদের বুঝিয়ে যার যার অভিবাবক ডেকে বাসায় পাঠিয়ে দিতে হবে তারপর কোন পুনর্বাসন সেন্টারে ভর্তি করতে হবে। ওদের যারা ব্রেই ওয়াশ করেছিল তারা কোন মতেই যাতে ওদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন না করতে পারে সে ব্যপারে সদা সতর্ক থাকতে হবে। কোন মতেই ওদের গ্রেফতার করে জেলে ঢুকানো যাবে না। পুনর্বাসন সেন্টারে থাকা অবস্থায় আইন শৃংখলার বাহিনীর সদস্যরা বুন্ধ বেশে ওদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য বের করে নিবে। মানে ওদের গুরু কে? ওদের যাবতীয় কার্যক্রম ইত্যাদি।
আমার এ আইডিয়াটা কতটুকু ফলপ্রসু হবে? উপরে বর্ণনাকৃত সবকিছু যদি ঠিকঠাক মত করা যায় তাহলে এটা ৯৯% কাজে দিবে এবং এটা আমার মনগড়া মস্তিস্ক প্রসূত নয়, সম্পুর্ণটাই বিজ্ঞান ভিত্তিক। যদিও এখানে সূরা, কেরাত আছে খিক এই ব্যপারটা আমি পড়ে ক্লিয়ার করছি যথা সম্ভব আপনার ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত না দিয়ে। আ্য'ম ড্যাম শিওর সূরা কেরাত পাঠ করার মূহুর্তে, আল্লাহ আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করার মুহুর্তে জঙ্গিদের ট্রিগারে চাপ দেয়ার ক্ষমতা থাকবে না ইনশাআল্লাহ। অনেকের কাছেই এটা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে কিন্তু এটা সত্য। আমি আবার বলছি, সবকিছু যদি ঠিকঠাক মত করা যায় আমি শতভাগ নিশ্চিত কোন জঙ্গির ট্রিগারে চাপ দেয়ার মত শক্তি থাবে না না না। জঙ্গিদের ব্যপারে আমার ধারণা আছে বেশ ভালভাবেই।
এমনও হতে পারে কোন জঙ্গির হাত থেকে রাইফেল তার মনের অজান্তেই পরে যাচ্ছে। কেউ হয়ত নির্বাক স্তব্ধ হয়ে যাবে। কেউ হয়ত কেঁদে ফেলব। ইউ বিলিভ ইট অর নট, এই ঘটনাগুলোর এক বা একাধিক ঘটনা ঘটবে এবং ঘটবেই মাস্ট বি ঘটবে।
আর এর পুরোটাই বিজ্ঞান ভিত্তিক। বলা বাহুল্য ( মুসলিম ভাইয়েরা রাগ করবেন তবুও বলছি) এখানে ওই কোরান, সূরা কেরাত, দোয়া,পাঠের কোনই মূল্য নেই। মানে উক্ত সূরা কেরাত,দোয়া,পাঠ, হাতে কোরান থাকার করণে ঐশ্বরিক ভাবে আল্লাহ কোন রহমত বর্ষণ করে জঙ্গিদের মনে দয়া ঢুকিয়ে দেননি বা ফেরেশতা পাঠিয়ে তাদের শক্তিকে হরণ করেননি। এখানে আল্লা খোদা, ফেরেশতার কোন হাতই ছিল না। । এই ব্যপারগুলো জাস্ট সাজেশন হিসবে কাজ করেছে। কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিদ্বয় কে হিপনোটাইস করার ক্ষেত্রে সাজেশনটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সাজেশনটা যতবেশী পারফেক্ট করা যাবে যত ভাল অভিনয় করা যাবে সাবজেক্ট ( এখানে জঙ্গি) তত বেশী প্রভাবিত হবে। এখনে যদি হিন্দু জঙ্গি হত বা খ্রিষ্টান জঙ্গি হত তাহলে হিন্দু পরোহিত বা খ্রিস্টান পদ্রীদের দরকার হত তাদের ধর্মগ্রন্থের প্রয়োজন হত তাদের ঐশীবাণী পাঠ করতে হত। সব ক্ষেত্রেই ফলাফল একই হত। ঠিক যেমন একজন মুসলিম মসজিদে গিয়ে শ্বান্তি পায়, একজন হিন্দু মন্দিরে গিয়ে শ্বান্তি পায়, একজন খ্রিষ্টান গীর্জায় গিয়ে শ্বান্তি পায়। শ্বান্তি সবাই পায় অথচ শ্বান্তি তো যে কোন একজনের উপর বর্ষণ হবার কথা ছিল যেহেতু একটাই সঠিক আর তিনি এক। যাকগে সে সব আমরা জঙ্গি নিয়ে আলোচনা করি। জঙ্গিদের সমন্ধে আমার বেশ ভাল ধারণাই আছে ধর্মীয় সাইকোলজী সমন্ধে পূরোপুরি জ্ঞাত।
একসময় আমি নিজেই জেহাদী মাইন্ডেড ছিলাম, জেহাদী মাইন্ডেড কিছু লোকজনের সাথে আমার উঠাবসাও আছে এবং এদের চিন্তাধারা,এদের স্বপ্ন, এদের পরিকল্পনা আমার নখদর্পে। ওই জঙ্গি দলের মধ্যে আমার নিজের থাকাটাও অসম্ভব কিছু ছিল না। এ এক জুস এ এক কঠিন জুসরে ভাই যাকে খাওনো হবে সেই্ মাতাল হতে বাধ্য বহুত কিছু কয়া ফেলসি আর কিছু বলতে পারব না সরি। যা হোক,আল্লাহ পাক আমাকে এসব থেকে মুক্ত করিয়াছেন, মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে চির মুক্তি দিয়ে পথভ্রষ্ট করে দিয়েছেন, আমার অন্তরে সীল মোহর মরে দিয়েছেন, বিশ্বাসের দরজায় ঠুকে দিয়েছেন অবিশ্বাসের এক কঠিন পেরেক। শেষ পর্যন্ত আমাকে নাস্তিক বানাইয়া ছাইরা দিসে । আর এ সবই আল্লাহ পাকের খেলা তিনি যাকে খুশি পথ দেখান যাখে খুশি পথভ্রষ্ট করেন এর সবই তার ইচ্ছাধীন। আহহহ!! আমি তো অন্য দিকে চলে যাচ্ছি একটু মনে করিয়ে দিবেন না? আচ্ছা কি নিয়ে যেন লিখতেছিলাম? ওহ হ্যাঁ মনে পড়েছে সাইকোলজী, হুমম সম্মোহোন বা মাইন্ড গেম যাই বলুন না কেন এর শক্তি আছে অপরিসীম শক্তি। । সাইকলোজী গেমের মাধ্যেমে শক্তিশালী মানুষকে দূর্বল করা যায়,দূর্বলকে শক্তিশালি করা যায়, অসুস্থ মানুষ সুস্থ করা যায়, অনেক দুরোগ্য ব্যধি ভাল করা যায়, চোর ধরা যায়, সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করা যায় এমনকি মেরে ফেলাও যায়। যে কারণে আমি শতভাগ আত্ন বিশ্বাসের সহীত বলছি জঙ্গি হামলা ঠেকাতে আমার এই আই্ডিয়াট বেশ ভাল কাজে দিবে এবং অবশ্যই ফলপ্রসু হবে।
এইবার আসি এর প্রতিবন্ধকতায় বা রিস্ক কতটুকু? হুমম সবকিছুর ফিফটি ফিফটি চাঞ্চ থাকে। নিছিদ্র নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই্। ভুল হবার সম্ভবনা কমবেশি থাকেই। প্রভাবিলিটির দিকে দিয়ে আমি একে ৯৯% সফল হবে বলে দাবি করলেও। এর সবচেয়ে বড় যে প্রতিবন্ধকতা আর তা হলো ২০/৩০ জন আলেম কি জীবনের এই রিস্ক নিবে? কার এত বড় সাহাস যে হিংস্র খুধার্ত সিংহের ডেরায় যায়?
আলেমদের সাহসী করে গড়ে তোলার উপায় একটা আছে আর তা হল জেহাদী বাণী মানে? আরে বলছি বলছি,
এজন্য বড় বয়স্ক বুজুর্গ কোন আলেম দ্বারা অন্যন্য আলেমদের বুঝাতে হবে যে অন্যের জীবন বাঁচানোর তাগিদে যদি কেউ মৃত্যবরণ করে তাহলে তার চেয়ে উত্তম মৃত্যু আর হতে পারে না এবং তা জিহাদের সমত্যুল্য মৃত্যুর সাথে সাথে আল্লহপাক তাকে জান্নাত দান করিবেন যার নিচে সরাবের নহর বইবে। মানে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলা আরকি।
ধরে নিলাম সাহসী কয়েকজন আলেম পাওয়া গেল কিন্তু তারা কি সকলেই ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারবে? একেক জন যদি আবার একেকে ভাবে ফতওয়া দেয়া শুরু করে তাহলে তো নিজেদের মধ্যেই গন্ডোগোল লেগে যাবে । এই ঝামেলা যাতে না হয় সে জন্য আগে থেকেই কয়েকজন আলেমকে প্রশিক্ষণ দিয়ে রাখা যেতে পারে।
মনে রাখতে হবে এই গেম খেলার জন্য আলেমদের বিকল্প কিছু নেই আলেম ছাড়া এই গেম খেলা যাবে না মনে কাঁটা দিয়েই কাঁটা তুলতে হবে। ঠিক যেমন হিংস্র, কুকুর,হিংস্র বাঘ,ভাল্লুককে কেবল তার মনিবই বশ করতে পারে ঠিক তেমনই আরকি।
অভিযানের দূর্বল দিক এই অভিযান শুধু প্রথমবারই সফল হবে দ্বিতীয়বার আর সফল হবে না। মানে জঙ্গিদের যারা ব্রেই ওয়াশ করে তারা যখন বুঝতে পারবে এভাবে তাদের আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে তখন তারা জঙ্গিদের এ্যন্টি হিপোনোটাইস ভ্যাকসিন দিয়েই হামালা করতে পাঠাবে তাদের ওভাবেই ব্রেইন ওয়াশ করবে। আরেকটি বড় দূর্বল দিক হল, কোন কারণে যদি এই পোস্টের লেখাগুলো জঙ্গিদের কাছে চলে যায় তহালে এ অভিযান প্রথমবারেই ব্যর্থ হবে সেক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে। সবকিছুরই নেগেটিভ,পজেটিভ দুটো দিকই থাকে সুতরাং শেষ পর্যন্ত রিস্ক থেকেই যাচ্ছে, তবে আমি আশাবাদি।
উপসংহার: জাস্ট আইডিয়া শেয়ার করলাম আর কি। আপনাদের কাছে আরও ভাল কোন আইডিয়া থাকলে শেয়ার করতে পারেন। অথবা মন্তব্যে আমার এই আইডিয়াটাকে আরও কিভাবে ঝুঁকিমুক্ত করা যায় তা আলোচনা করা যেতে পারে।
আর হ্যাঁ কেউ যদি মনে করেন আমি ইচ্ছে করে ভুল ভাল বুঝিয়ে আলেমদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছি। এই আই্ডিয়া কোনই কাজে দিবে না। জ্ঞানী আলেমদের মারার নাস্তিকের এটা একটা ষরযন্ত্র। তাহলে আমার কি'ই বা বলার আছে বলুন? আপনারা সবকিছুতেই নাস্তিক আর ইহুদী নাসারাদের ষরযন্ত্র খুঁজেন তাহা আমি জানি। তাই যারা এ সন্দেহ পোষণ করছেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি। আমি আমার আই্ডিয়া নিয়ে ৯৯% নিশ্চিত এবং এ ব্যপারে আমার পরিপূর্ণ আত্নবিশ্বাস আছে।
(A- আর তাই আমি সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে এবং সজ্ঞানে ঘোষণা করছি যে, প্রয়োজন হলে আমি নিজেই আলেমদের ওই গ্রুপে থাকতে রাজি আছি। যদিও আমার আলেমদের মত বড় দাড়ি নেই তাতে সমস্যা নেই নকল দাড়ি লাগিয়ে নিবো। আর আমার সাথে ২০/৩০ জন আলেম থাকার প্রয়োজন নেই জাস্ট ১০ জন আলেম হলেই আমার যথেষ্ট। ইনশাআল্লাহ আমি পারব। A/)
আমি মনে করি দেশের জন্য, দেশের সম্মান রক্ষার্থে, মানুষের জন্য, জীবন বিলিয়ে দিতে পারাটা গৌরবের আর এ জন্য আমার পরকলের বহেশতের কোনই প্রয়োজন নেই। ( আমাকে কিন্তু আবার দেশপ্রমিক চেতনা খোর বলে গালি দিয়েন না ) এ নয় কোন ভন্ডামি এ নয় কোন ছাগলামি হ্রদয়ের গভীরে যা প্রোথিত থাকে এ তারই বঃহিপ্রকাশ মাত্র। এই অভিযানে যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে জানাজা বা কোন ধরণের ধর্মীয় আচার ছাড়াই যাতে কবর দেয়া হয় অথবা মেডিক্যালে দান করে দেয়া হয় কোন ধরণের ছোয়াব বা পূণ্যের নিয়ত বা আশা না করে। এ ব্যপারে আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষে লিখিত দিয়েই অভিযান শুরু করব। এবং এটা আমার ওয়াদা, আর প্রকৃত মুক্তমনারা, প্রকৃত মানবতাবাদীরা কখনো তার ওয়াদার বরখেলাপ করেন না। জঙ্গি মুক্ত রাখিব বাংলার আকাশ বাতাশ আর এ জন্য হাসিমুখে জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি।
সবাই দলে দলে 'জঙ্গি দমন কমিটি' (জদক) এ যোগ দিন। view this link
আমি আবার বলছি- কেউ যদি মনে করেন আমি ইচ্ছে করে ভুল ভাল বুঝিয়ে আলেমদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছি। এই আই্ডিয়া কোনই কাজে দিবে না। জ্ঞানী আলেমদের মারার নাস্তিকের এটা একটা ষরযন্ত্র। তাহলে দ্রষ্টব্য A আবার দেখুন।
ধন্যবাদ।
শেষ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৭