নাজিমুদ্দিন সামাদ, একজন মুক্তমনা মানুষ, কয়েক ঘন্টা আগে নিহত হয়েছেন। তিনি নিহত হয়েছেন অত্যন্ত নৃশংসভাবে। নিহত হয়েছেন চাপাতির আঘাতে, যেভাবে নিহত হয়েছেন অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয় দাস, নিলয় নীল, ফয়সাল আরেফিন দীপন।
নাজিমুদ্দিন সামাদ ছিলেন আমার ফেইসবুক বন্ধু। কিন্তু তাঁর সাথে আমার কোন কথা হয়নি কখনো, বোধহয় তাঁর লেখাও পড়া হয়নি কোনদিন। মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ তাঁর টাইমলাইনে গিয়েছি। দেখেছি যে, তিনি তাঁর সর্বশেষ পোস্টে ব্যঙ্গ করে শেয়ার দিয়েছেন একটি বাংলা ওয়াজ, যেখানে মেয়েদের ব্যপারে অতি কুৎসিত কিছু কথা বলা হয়েছে। এই মাসের প্রথম দিনেও তিনি জঙ্গিবাদ নিয়ে একটি লেখা পোস্ট করেছেন। এগুলো ছাড়া তিনি আরো অনেক কিছু লিখেছেন, বাংলাদেশের হিসেবে যা খুবই আপত্তিকর।
খুব সম্ভবত এই জঙ্গিদের মধ্যে কেউ তাঁর মৃত্যুর কারন হয়েছে। তিনি মারা গেছেন। খুব শিগগীর হয়তো নিজেও এভাবে মারা যাবো। মৃত্যু নিয়ে এর বেশী আমি আর কিছু ভাবতে পারি না।
নিহত নাজিমুদ্দিনের ফেসবুক প্রোফাইল
কুড়িগ্রাম শহরের গাড়ীয়াল পাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী (৬৮ )
দশ বছর আগে মুসলিম ধর্ম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মগ্রহণ করেছিলেন।
দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে ।
ধর্ম শান্তির ধর্ম, ইহা ইহুদি খ্রিষ্টানদের ষড়যন্ত্র
রক্তের দাগ সাফ করতে এই বাক্যটাই যথেষ্ট ।
ঝরে গেল আরেকটি তরতাজা প্রাণ, নাজিমুদ্দিন সামাদ
৩৩: এতদিন মানুষ ছিল ধর্মের খেলার পুতল এবার তারা বাঁধিয়ে হুলুস্থুল।
বার্তা- বজ্রপাত- বার্তা নং ৩৩
একজন মুক্তমানার মৃত্যু জন্ম দেবে হাজার মুক্তমনার।
ধর্মগুলো, চাপাতি আর বিজ্ঞানের কোলে আশ্রয় নিয়ে বঁচার শেষ চেষ্টা করতেছে।
যুগে যুগে ধর্মগুলো তলোয়ার,যুদ্ধ আর সহজ সরল মানুষে আবেগের উপর ভর করে টিকে রয়েছে।
এই দেশের ৯০%০ শিক্ষিত লোকই মনে করে তাদের কতল করা ঠিক হয়েছে, ধর্মের স্থান হচ্ছে সর্বোচ্চো তা নিয়ে লেখালেখির দরকারটা কি?? আর ১০০% অশিক্ষিত লোক মনে করে, নাস্তেকগুলোরে খতম করে না ক্যারে।
এই দেশে বসবাস করতে হলে, হয় মিথ্যার স্তুতি করে বাঁচতে হবে না হলে মরতে হবে। এছাড়া আর কোন রাস্তা নাই।
নিঃশ্চই সত্যের আঘাতে চুর্ণ বিচুর্ণ হবে মিথ্য, ধুলিস্যাৎ হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে মিথ্যা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০