somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রহস্যময় দুনিয়া, রহস্যময়ী মানুষ আর আমার ভয় পাওয়া এবং সব লেখা মুছে দেওয়া। :(

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার সমস্ত লেখা ড্রাফট করে নিয়েছি, ফেসবুক একাউন্টও ডিএ্যাক্টিভ করেছি সেই সাথে 'ফিলোসোফি" এবং "রহস্য উদঘাটণ" নামক তথ্যে ভরপুর দুটি ফোল্ডার পিসি থেকে ডিলিট করে দিয়েছি। :(
যুদ্ধ করতে হবে আরও অনেক যুদ্ধ আর এই কলম যুদ্ধ করার জন্য যে মানসিক প্রস্তুুতি প্রোয়োজন সম্ভবত তা আমার ছিল না। যে কারণে অহেতুক ভয় পাওয়া এবং সব পোষ্ট বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু ভয় তো পেয়েছি এ ব্যাপারে তো কোন সন্দেহ নাই। আমার কথা হচ্ছে এরকম কেন হল!!!! :-<



কিছু কথা থাকে বললেও সমস্যা আবার না বললেও সমস্যা। আরও কিছু কথা আছে যার সবটুকু যায় না বলা।
ঠিক যে উদ্দেশ্যে সামুতে একাউন্ট করা 'রহস্য উদঘাটন' তা এখন পর্যন্ত শুরুই করিনি তার আগেই নিজেই রহস্যের জালে আবন্ধ হয়ে গেলাম। আর নিজে রহস্যের জালে আবদ্ধ থেকে তো আর রহস্য উদঘাটন করা যায় না। আমার ব্যাপারটা যে সম্পূর্ণ মানসিক এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই, সাইকিয়াস্ট্রিকগণ হয়ত আরও ভাল ব্যাখ্যা করতে পারবেন এ থেকে উত্তোরণের পথও বাতলে দিতে পারবেন।
কিন্তু আমি নিজেই তো বড় একজন মনোবিজ্ঞানী :-P আমার কেন মনোবিদের স্মরণাপন্ন হতে হবে!!! আর আমার সাথেই কেন এমন হবে!!! :||


মহা আকাশে যতটা রহস্য রয়েছে তার চেয়ে ঢের বেশি রহস্য রয়েছে মানুষের মস্তিষ্কে তথা মনে, বিশ্বাস করি এর পরিপূর্ণ বিশ্লেষণ কখনোই সম্ভব নয়, মনোবিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে মাত্র কিন্তু তা পরিপূর্ণ নয়।
আর এই অপূর্ণতাকে কাজে লাগিয়ে রহস্যপ্রীয় মানুষ রচনা করে ধর্ম,আবির্ভাব হয় ধর্মগুরুর বা অতীন্দ্রীয় আধ্যাত্নিক ক্ষমতাশালী কোন সাধকের।তারা তাদের অতিন্দ্রীয়,আধ্যাত্নিক,অলৌকিক ক্ষমতা দ্বারা মানুষকে বিমোহিত করেন। লক্ষ কোটি মানুষ তাদের অনূসারী হয় তাদের তপস্যা করে। যদিও বর্তমান যুগে এসব অতিন্দ্রীয়,আধ্যাত্নিক, অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন ধর্ম গুরুরা আর আবির্ভাব হন না তারা আবির্ভাব হতেন শুধু অন্ধকার যুগেই। আর অন্ধকার যুগেই তারা তাদের অতিন্দ্রীয়,আধ্যাত্নিক, অলৌকিক ক্ষমতা দ্বারা হাতি ঘোড়া মেরে ফেলতেন বা জন্ম দিতেন, সাগর মাহাসাগর শুঁকিয়ে ফেলতেন, মহাকাশ ভ্রমণ করতেন, পাঁয়ে হেঁটে নদী পারি দিতেন,বাতাসে ভ্রমণ করতেন,শয়তান,জ্বীন,পরী,প্রেতাত্না বশ করতেন, বিভিন্ন কাজে সরাসরি তাদের সহায্য করতো ফেরেশতা,জ্বীন,ঈশ্বর,ভগবান আর এ সবই করতেন তাদের অতিন্দ্রীয়,আধ্যাত্নিক, অলৌকিক ক্ষমতা দ্বারা। এভাবেই তারা মানুষকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতেন। যদিও এর কোন কিছুই সত্য নয় এ মিথ্যা এ শ্রেফ মিথ্যা পরিপূর্ণ মিথ্যা এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা, তবুও বিভিন্ন গ্রন্থে এর হাজার হাজার প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায় । আর এসব অলৌকিক কর্মকান্ড কিভাবে সম্ভব হয়? কিভাবেই বা হাজার হাজার প্রত্যক্ষদর্শী তৈরী হয়? কিভাবেই বা তাদের অতিন্দ্রীয়,আধ্যাত্নিক, অলৌকিক ক্ষমতার মাধ্যমে দূরোগ্য ব্যাধি ভাল হয়ে যায়? তা এখন আমরা জানি B-) যা এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব নয় এ নিয়ে আলাদা চেইন পোষ্ট করার ইচ্ছে রাখি।

বর্তমান এই পৃথিবীতে ৭০০ কোটি মানুষকে পথ দেখানোর জন্য একজন আধ্যাত্নিক গুরুও পাওয়া যায় না যে তার আধ্যাত্নিক শক্তি বলে সিম্পল একটা ম্যাচের কাঁঠিও নাড়াতে (যদিও হাজার হাজার মিথ্যা দাবীকারী আছে) অথচ অন্ধকার যুগে বিভিন্ন ধর্মগুরুরা আধ্যাত্নিক শক্তি দ্বারা,ফেরেশতা,জ্বীন ইত্যাদি বশ করে তাদের দ্বারা বিশাল বিশাল ঘর তৈরী করে ফেলতেন,আকাশ পাতাল ভ্রমণ করতে পারতেন, নদী শুঁকিয়ে ফেলতেন ব্লা.. ব্লা.. ব্লা...।
অন্ধকার যুগের অল্প সংখ্যক মানব গোষ্ঠিকে পথ দেখানোর জন্য লক্ষ লক্ষ ধর্মগুরুর আবির্ভাব হতে পারে তাদের নানা অলৌকিক কর্মকান্ড দেখাতে পারে। আর বর্তমান যুগের ৭০০ কোটির এক বিশাল জন্য জনসংখ্যাকে পথ দেখানোর জন্য একজন ধর্মগুরুও আবির্ভাব হয় না কোন ধর্মের-ই না। বর্তমানের কেউই অলৌকিক কর্মকান্ড দেখাতে পারে না। একটা ম্যাচের কাঁঠিও নাড়াতে পারে না তাদের আল্লা,খোদা,জ্বীন,ভূত,ফেরেশতা,প্রেতাত্না সূরা,কালাম,তন্ত্র,মন্ত্র, তথা যাবতীয় অতিন্দ্রিয়,আধ্যাত্নিক, অলৌকিক ক্ষমতা বলে!!!
কেন? কেন? কেন? কারণ দিন যত গড়িয়েছে মানুষের জ্ঞানের চোখ তত খুলে গেছে বর্তমান যুগের মানুষকে এখন আর এসব খাওয়ানো যাবে না। অন্ধকার যুগেই শুধু এসব চলত।
যদিও এখন মুক্তমনারা যাবতীয় অলৌকিকতার খোলস উম্মোচন করে দিয়েছে তবুও মানুষ তা গ্রহণ না করে অন্ধকারেই পরে রয়েছে।

বিজ্ঞানের কল্যাণেই আমরা এখন জানি কিভাবে শূণ্যের উপর ভাসতে হয়, কিভাবে পানির উপর হাঁটতে হয়, কিভাবে আগুনের উপর হাঁটতে হয়, কিভাবে খালি হাতে অস্ত্রপাচার ছাড়াই পেট থেকে টিউমার বের করতে হয়, কিভাবে মানুষকে দ্বীখন্ডিত করতে হয়, কিভাবেই বা মানুষের ঘাড় থেকে মস্তক আলাদা করতে হয়, কিভাবে পেটে ছুঁরি ঢুকাতে হয়, কিভাবেই বা বিভিন্ন রঙের ফুল তৈরী করতে হয়, কিভাবেই বা একটি পয়সা এমনকি জ্বলজ্যান্ত একজন মানুষকে গায়েব করে দিতে হয়।
এখন আমরা আরও জানি কিভাবে নিজের চিন্তা অন্যের ব্রেইন এ ট্রান্সফার করতে হয়, কিভাবে অন্যের মনের কথা বলে দিতে হয়, কিভাবেই বা হল ভর্তি সব মানুষের ঘড়ির টাইম এক ঘন্টা পিছিয়ে দিতে হয়, কিভাবে প্রেতাত্না হাজির করতে হয়, কিভাবে চাল পড়া, আয়না পড়া,পাতা পড়া ইত্যাদি পড়া দিয়ে চোর ধরতে হয়,কিভাবে দুই টাকার তাবিজে লক্ষ টাকার রোগ সারানো যায়,কিভাবে সাপের বিষ নামাতে হয়, কিভাবে অন্যকে বশ করতে হয়,কিভাবে যাদু,টোনা করতে হয়, কিভাবে ডিম তৈরী করা এবং তা গায়েব করে দিতে হয়, কিভাবে ভবিষ্যত বানী করতে হয়, কিভাবে রাশি গণনা করে জ্যোতিষিগিরী করতে হয়, কিভাবে জ্বীন,ভূত,প্রেতাত্না নামক মানসিক রোগী ভাল করতে হয়। আমরা আরও জানি কিভাবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গুলার নিয়ে হাজার কল্পকাহিনী মিথ্যা রচিত হয়, কেনই বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় অতি বিস্ময়কর ভাবে কিছু নরম কুড়েঘর,মন্দির বা মসজিদ অক্ষত থাকে, কিভাবেই বা ৯০ কেজি পাথর কোন পীরের নাম জপে শুন্যে ভাসাতে হয়, কিভাবে মানুষ এলিয়েন,জ্বীন,ভূত,ফেরেশতা দেখে তাদের সাথে কথা বলে, কিভাবে পীরের পানি পড়ায় দূরোগ্যো রোগ ভাল হয়,কিভাবেই বা মানুষকে জ্বীনে নিয়ে যায়, কিভাবে সন্তানের বিপদ হলে মা সবার আগে জানে, কিভাবেই বা ঘুমের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নেয়, কিভাবে ভালবাসার মানুষকে কাছে পাওয়া যায়????? ইত্যাদি এরকম হাজারো রহস্য।

আর এর প্রতিটি রহস্যই এখন মুক্তমনাদের হাতের মুঠোয়। B-)
এসবের কোন একটির মধ্যেও আধ্যাত্নিককতা,অলৌকিকতা,তন্ত্র,মন্ত্র,ঝাড়,ফুঁক, জ্বীন,পরী,ফেরেশতা,ভূত,পেতাত্না,ডাইনি, আল্লা,খোদা,ঈশ্বর,ভগবান, এলিয়েন ফেলিয়েন, গ্রহের প্রভাব, সূরা কালাম, কূফুরী কালাম, এইটা সেইটা,অমুক তমুক ইত্যাদি এর কোন কিছুরই প্রমাণ পাওয়া যায় নি। উপরোক্ত যাবতীয় রহস্যময় কর্মকান্ড গুলোই হয় বিজ্ঞান এবং মানুষের সূক্ষ থেকে সূক্ষতম জ্ঞান আর আভিজ্ঞতা দ্বারা আর এর প্রতিটিই হয় প্রাকৃতিক নিয়ম অনূসারেই। এর কোন কিছুই প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে ঘটে না।


আধ্যাত্নিকতা,অলৌকিকতা,তন্ত্র,মন্ত্র,ঝাড়,ফুঁক,জ্বীন,পরী,ফেরেশতা,ভূত,পেতাত্না,ডাইনি,আল্লা,খোদা,ঈশ্বর,ভগবান, এলিয়েন ফেলিয়েন, গ্রহের প্রভাব, সূরা কালাম, কূফুরী কালাম, এইটা সেইটা,অমুক তমুক. ইত্যাদি দ্বারা প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে কোন কিছুই ঘটানো সম্ভব না। এসব দ্বারা একজন মানুষকে শুণ্যে ভাসানো তো দূরের কথা, একটা চুল বা একটা ম্যাচের কাঁঠিও নাড়ানো সম্ভব না। জড় পদার্থের মধ্যে এর বিন্দু মাত্র কোন প্রভাব নেই। তবে হ্যাঁ এগুলা দ্বারা মানুষের মনে প্রভাব ফেলানো সম্ভব। শুধুমাত্র তাই নয় এ আধ্যাত্নিকতার সাজেশন দিয়ে একজন সুস্থ মানুষকে মেরে ফেলাও সম্ভব,তাদেরই যারা এর কার্যক্রম সমন্ধে পুরপুরী অজ্ঞ, কিন্তু যার এই কার্যক্রম সমন্ধে ধারণা আছে বা সচেতন ভাবেই এসব অবিশ্বাস করে এর কোন কিছুই তার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। :D
আসলে টোটাল ব্যাপারটাই মনোস্তাত্বিক ব্যাপার, মানে এক ধরনের হিপনোটইস আর কি! এই হিপনোটাইসের ক্ষেত্রে সাজেশন আর বিশ্বাসটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ণ।
যেমন- চাল পড়া দিয়ে গ্রাম গঞ্জে অনেক কবিরাজ চোর ধরে। দেখা যায় সত্যসত্যিই চোর চুরি করা জিনিস ফিরিয়ে দেয় অথবা চুরি করার কথা স্বীকার করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যে চুরি করেছে সে চাল পড়া চিবাতে পারে না তার চেয়াল শক্ত হয়ে যায় শরীর ঘামে ভিজে যায় অস্থিরতা অনূভব করে শেষে বাধ্য হয়ে কবিরাজের পাঁয়ে পড়ে মাফ চায়। অনেকের নাক, মুখ,গলা দিয়ে রক্তও বের হয়। :-<
এই চাল পড়াটা আসলেই অনেক কাজে দেয় :D জানি অনেকেই বিশ্বাস করবে না অতিরঞ্জিত ভাববে তবুও বলি, মাস দুয়েক আগে একই পদ্ধতি অবলম্বন করে চাল পড়া দিয়ে মোবাইল চোর ধরেছি। বিস্তারিত বললে তা নিয়ে একটা পোষ্ট-ই করতে হবে।
আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে উক্ত চোর চাল পড়া খাওয়ার আগেই ভয়ে চুরি করার কথা স্বীকার করেছে এবং এক চিপা থেকে মোবাইল বের করে দিয়েছে। =p~ বুঝতে হবে তো কি জটিল এক সাজেশন,বা পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলাম :D আর এ জন্য আমরা এক পরিচিত হুজুর টাইপের এক ভাইয়ের সাহায্য নিয়েছিলাম, আমি তাকে যেভাবে যা করতে বলেছি সে শুধু তাই করেছে। :)
উপরোক্ত ঘটনার সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত আর এই পুরো ব্যাপারটিই হচ্ছে মনোস্তাত্বিক ব্যাপার এ সম্পূর্ণ সাইকোলজিক্যাল খেলা ছাড়া আর কিছুই নয় এখানে তন্ত্র,মন্ত্রের কিছুই নাই। বিস্তারিতয় যাচ্ছি না পোষ্ট বড় হয়ে যাবে বলে।
এখন এই চাল পড়ার পুরো কর্মপদ্ধতি সমন্ধে যদি উক্ত চোর অবগত থাকত তাহলে সে কোনদিনও মোবাইল বের করে দিতো না আর সে আরামসে চাল চিবিয়েই খেত এবং তাতে তার কোন সমস্যাই হত না। সূরা কালাম, তন্ত্র,মন্ত্র তার কোনই লাভ ক্ষতি করতে পারতো না।
সূরা, কালাম, তন্ত্র,মন্ত্র এগুলা হচ্ছে এক ধরণের সাজেশন। যে কবিরাজের যত বেশি নাম ডাক,যত বেশি লম্বা দাড়ি, জোব্বা, সে তত বেশি ভাল সাজেশন তৈরী করতে পারে আর তার বূজুর্কিতে দুরুণ কাজ হয় চোর ধরা পরে, মামলা মোকদ্দমায় প্রতিপক্ষের স্বাক্ষী মিথ্যা স্বাক্ষ দিতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় দূরোগ্য ব্যাধিও ভাল হয়ে যায়। একে placebo বলে বিশ্বাস নির্ভর যে চিকিৎসা পদ্ধতি।
আর placebo মনোবিজ্ঞানেরই একটি অংশ বিশেষ। এখানে কবিরাজের তন্ত্র,মন্ত্রের,জ্বীন,ভূতের কোন কিছু করার ক্ষমতা নেই ওগুলো জাষ্ট সাজেশন। এখানে দেখুন এক নারী কবিরাজ শুণ্য থেকে লখো পতি। B-))



বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য আমার গত রাতের সেই রক্ত হিম করা ভয়ের ব্যাপারটি এখানে বলা হল না। :(
এমনিতেই মানুষ তিলকে তাঁল বানাতে উস্তাদ, এমনিতেই নাচুনে বুড়ি তার উপর ঢোলের বারির মত অবস্থা হবে :-P অনেকেই এটাকে নিজের মত অন্ধকারী ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁল তৈরী করে ফেলবে তারপর তারা অন্ধকারকে আরও শক্ত করে ধরবে। তারা কূঁয়ার গভীরে চলে যাবে তাতে বরং আমার মূল উদ্যেশ্যই ব্যাহত হবে।
অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ এটাকে সমাজ বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞানের ভাষায় আমার পারিপার্শ্বিক এবং মানসিক সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ব্যাখ্যা দিবে।আমি দ্বিতীয় পক্ষের মতের সাথেই একমত হব কারণ তারা মনগড়া অন্ধবিশ্বাসী ব্যাখা দেন না তারা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই বাস্তব সম্মত ব্যাখ্যা দেন এবং তাতে যদি ভুল ধরা পরে সাথে সাথে তা স্বীকার করে আ-যুক্তি, কূ-যুক্তি, হাবা যুক্তি দ্বারা তারা তাদের পূর্বের ভুল ব্যাখ্যাকে ধরে রাখেন না। এজন্যই আমি দ্বিতীয় পক্ষের সাথে একমত তারা যদি ভুল ব্যাখ্যাও দেয় তবুও একমত কারণ তারাই প্রকৃত সত্য অনুসন্ধানকারী তারা অন্ধকারী নয়। :)
আমার ব্যাপারটি পুরোটাই মানসিক এবং সামাজিক এখানে আধ্যাত্ববাদ,অলৌকিকতার কিছু নেই, নেই কোন জ্বীন,পরী,ভূত,ফেরেশতা, শয়তানের কারসাজি। কিন্তু অন্ধকারীরা আমার গত রাতের ঘটনা শুনলে আমি নিঃশ্চিত তারা এ জাতীয়ই কিছু একটা দিয়ে সুন্দর মনগড়া আকর্ষনীয় ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে দিবে কারণ তাদের গন্ডি অন্ধকারময়ছন্ন।


অন্ধকার সে তো অন্ধকারই তার পক্ষে যত হাজারো যুক্তিই পেশ করা হউক না কেন এবং তা যতই জনপ্রীয় মতবাদ হউক না কেন অন্ধকার কখনও আলোতে রুপান্তরিত হয় না। আন্ধকার আর আলো কখনো সামান হতে পারে না।

কিছু মানুষ আছে সবকিছুতেই রহস্য খুঁজে তারা অন্ধকার হাতড়াতে ভালবাসে আর এই অন্ধকারী আর রহস্যপ্রীয় মানুষের দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছে এই পৃথিবীর যাবতীয় রহস্য আর অলৌকিক কর্মকান্ড। এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া লক্ষ কোটি অলৌকিক কর্মকান্ডের একটিও সত্য বলে প্রমাণ হয়নি আর কোথাও কোন কারণ ছাড়াই একটা গাছের পাতাও নড়েনি। মানে জ্বীন,ভূত এসে গাছের একটা পাতাও নাড়াতে পারেনি। জ্বীন,ভূতের নামে শুধু মিথ্যা আর ভূলই রচনা করা হয়েছে এ পর্যন্ত।
জ্বীন কি খায় তা জানুন =p~ এটা হচ্ছে এখন পর্যন্ত এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জোকস এবং মিথ্যা আর তা যত হাজার গ্রন্থেই উল্লেখ থাক না কেন মিথ্যা কখনো সত্যে রুপান্তরিত হয় না। যদিও আমি নিজেও তা একসময় তা বিশ্বাস করতাম।


কুরআন ও হাদিসের আলোকে জ্বীন,ভূত,শয়তান, যাদুর বিস্তারীত বিশ্লেষণ। ( যা সম্পূর্ণ ভুল এবং অন্ধকারী শিক্ষা )


জ্বীন তাড়ানোর সহীহ উপায় দেখুন, এ তো পুরাই ঢাকাইয়া ছিনেমা ফেল =p~ ( হাসার কিছু নেই এটাও কিন্তু এক ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি একে placebo বলে যদিও হুজুর তা নিজেই জানে না আর এখানে জ্বীন,ভূতের কিছু নেই পুরোটাই মানসিক ব্যাপার। এমনও হতে পারে উক্ত রোগীকে জটিল এবং গভীর এক চুম্বন দিলেই সে পুরো সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক আচরণ করতে পারে। এ জাতীয় রোগের চিকিৎসার নিদ্রিষ্ট কোন নিয়ম নেই বিভিন্ন উপায়ে করতে হয়।


এই দেখুন কিভাবে জ্বীন বোতলের ভিতরে ভরে। X(( এখানে কবিরাজ যেভাবে জ্বীন তাড়াচ্ছে তা হচ্ছে placebo যদিও কবিরাজ তা নিজেই জানে না। আর এই রোগটিও সম্পূর্ণ মানসিক রোগ এর উৎপত্তি হয় অনেকগুলো বিষয়ের সমষ্টিগত কারণে এখানে জ্বীন,ভূতের কিছু নেই। বিস্তারিতয় যাওয়া যাচ্ছে না। পরবর্তীতে এ জাতীয় মানসিক রোগ নিয়ে চেইন পোষ্ট করার ইচ্ছে রাখলাম।


উক্ত বিশিষ্ট ইসলামী বিশেষজ্ঞ কি আমাকে জ্বীনের ছোট্র একটা নিদর্শন দেখাতে পারবে? দেখতে চাই না জাষ্ট নিদর্শন হলেই চলবে- এই যেমন আমি টেবিলে এক কাপ গোবর অথবা হাঁড় রাখব আর সমস্ত পৃথিবীর সমস্ত আলেমগণ তাদের যাবতীয় ধর্ম গ্রন্থ ঘেঁটে সূরা কেরাত তেলাওয়াত করে জ্বীন নামাবে তার পর এক লোকমা বা এটা হাঁড় খাওয়াবে জ্বীন দ্বারা? এতটুকু যদি করতে পারে তাহলে সাথে সাথে বিভিন্ন জায়গায় অনলাইন/অফলাইনে আমার যাবতীয় লেখা সমূহ মূছে ফেলা হবে এবং আমার পূর্বের যাবতীয় সব বক্তব্য ভুল বলে স্বীকার করে নেওয়া হবে। সেই সাথে তারা যে পথে চলতে বলে যে ভাবে চলতে বলে আমি সে ভাবেই চলব আমি হবো তাদের গোলাম। :) এবং আমি মনে করি এতটুকু সত্যের নিদর্শন দ্বারা শুধু আমি না হাজার মানুষ তাদের দেখানো সুপথে ফিরে আসবে। আর আমি এ জাতীয়ই শিক্ষক খুঁজে চলছি নিরন্তন।

জানি তারা তা কখনোই পারবে না ইতিমধ্যেই তারা হাজার বার ব্যার্থ হয়েছে মিথ্যুক, ভন্ড সেজেছে।
তারপরেও তারা আমার সাথে মিথ্যা বকবক করেই যাবে আর আমাকে উপদেশ দিতেই থাকবে।
শেষ পর্যন্ত কাজ না হলে তো তাদের হাতে ফাইনাল অস্ত্র চাপাতি রহিয়াছেই আর তাই তাদের কোন ভয় নেই। ;)
আমি আর একটু সহজ করে দিচ্ছি শুধু আলেমরাই নয়, যদি সারা দুনিয়ার সমস্ত ধর্মগ্রন্থের সমস্ত মতবাদের মানুষ এক হয়ে তাদের যাবতীয় জ্ঞান দ্বারা পরস্পরকে সহযোগিতাও করে তবুও তারা তা পারবে না।
তারা কখনোই জ্বীন,ভূত,প্রেতাত্না,ফেরেশতা,শয়তান,ডাইনি বা অলৌকিকতার ছোট্র একটা নিদর্শন দেখাতে পারবে না কারণ এগুলা শুধু অন্ধকারেই সম্ভব অন্ধকারীদের সামনেই সম্ভব। মুক্তচিন্তক, সত্যঅনূসন্ধানকারীদের সামনে কখনোই তারা তা পারবে না। তারা হতাশ, তারা ক্লান্ত, তারা বার বার ব্যার্থ হয়ে ফিরে যাবে।
এর পরেও কি তারা নিজেদের সত্যের অনুসারী বলে দাবী করবে?
এই পৃথিবীতে কেউই কোন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিল না এবং বর্তমানেও নেই। অলৌকিকতার নামে শুধু ভুল আর মিথ্যার নাটক করা হয়ছে এ পর্যন্ত। মূলত অলৌকিকতা হচ্ছে- মিথ্যা,অন্ধকার আর সাজানো নাটকের সমষ্টি এ ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এ জন্য দায়ী হচ্ছে মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারগুলো কিন্তু অন্ধকারীরা তা বুঝতে না পেরে জ্বীন,ভূত,ফেরেশতা,প্রেতাত্না ইত্যাদি মনে করে।

তারা যদি সত্যবাদি হয়ে থাকে, মিথ্যার অনুসারী না হয়ে থাকে, তারা যাদি বিভ্রান্তকারী না হয়ে থাকে, তারা যাদি গুজব রটানোকারী না হয়ে থাকে, তারা যদি মানবতাবাদি হয়ে থাকে, তারা যদি নৈতিকতার সৃষ্টিকারী হয়ে থাকে, তারা যদি উগ্র, হিংস্র না হয়ে থাকে, তারা যদি শান্তিকামী হয়ে থাকে, তারা যদি মিথ্যুক না হয়ে থাকে, তারা যদি ভন্ড না হয়ে থাকে, তাদের যদি বিজ্ঞানের জ্ঞান থেকে থাকে, তারা যদি সত্যের ডাকে ভয় না পেয়ে থাকে, তারা যদি গুহাবাসী না হয়ে থাকে, তারা যদি অন্ধকারী কূঁয়াবাসী না হয়ে থাকে, তারা যদি প্রকৃতই সত্যের অনুসন্ধানকারী হয়ে থাকে।
তাহলে তারা যেন আমার উপরোক্ত অলৌকিকতা প্রমাণের মাধ্যমে জ্বীন,ভূত,ডাইনী, ফেরেশতা,শয়তানের, প্রেতাত্নার প্রমাণ দেয়।

তারা যদি সত্যবাদি হয়ে থাকে, মিথ্যার অনুসারী না হয়ে থাকে, তারা যাদি বিভ্রান্তকারী না হয়ে থাকে, তারা যাদি গুজব রটানোকারী না হয়ে থাকে, তারা যদি মানবতাবাদি হয়ে থাকে, তারা যদি নৈতিকতার সৃষ্টিকারী হয়ে থাকে, তারা যদি উগ্র, হিংস্র না হয়ে থাকে, তারা যদি শান্তিকামী হয়ে থাকে, তারা যদি মিথ্যুক না হয়ে থাকে, তারা যদি ভন্ড না হয়ে থাকে, তাদের যদি বিজ্ঞানের জ্ঞান থেকে থাকে, তারা যদি সত্যের ডাকে ভয় না পেয়ে থাকে, তারা যদি গুহাবাসী না হয়ে থাকে, তারা যদি অন্ধকারী কূঁয়াবাসী না হয়ে থাকে, তারা যদি প্রকৃতই সত্যের অনুসন্ধানকারী হয়ে থাকে।
তাহলে তারা যেন তাদের তন্ত্র,মন্ত্র,সূরা কালাম,যাদু,টোনা,বাণ দ্বারা আমার বিন্দু মাত্র ক্ষতি অথবা কল্যাণ সাধন করে দেখায়।

তারা যদি সত্যবাদি হয়ে থাকে, মিথ্যার অনুসারী না হয়ে থাকে, তারা যাদি বিভ্রান্তকারী না হয়ে থাকে, তারা যাদি গুজব রটানোকারী না হয়ে থাকে, তারা যদি মানবতাবাদি হয়ে থাকে, তারা যদি নৈতিকতার সৃষ্টিকারী হয়ে থাকে, তারা যদি উগ্র, হিংস্র না হয়ে থাকে, তারা যদি শান্তিকামী হয়ে থাকে, তারা যদি মিথ্যুক না হয়ে থাকে, তারা যদি ভন্ড না হয়ে থাকে, তাদের যদি বিজ্ঞানের জ্ঞান থেকে থাকে, তারা যদি সত্যের ডাকে ভয় না পেয়ে থাকে, তারা যদি গুহাবাসী না হয়ে থাকে, তারা যদি অন্ধকারী কূঁয়াবাসী না হয়ে থাকে, তারা যদি প্রকৃতই সত্যের অনুসন্ধানকারী হয়ে থাকে।
তাহলে তারা যেন, চাপাতি ফেলে কলম যুদ্ধ চালিয়ে যায় আর তাদের পক্ষে সত্য যুক্তি পেশ করে ও নূরানী বানী না ছাড়ে। এ পর্যন্ত যত বই ওয়েব সাইট বায়েজাপ্ত, বন্ধ হয়েছে তা যেন প্রকাশ করতে দেয় এবং যত প্রকাশনী বন্ধ হয়েছে যাদের জেলে নেওয়া হয়েছে তার মামলা যেন তুলে নেয়।

তারা যদি সত্যবাদি হয়ে থাকে, মিথ্যার অনুসারী না হয়ে থাকে, তারা যাদি বিভ্রান্তকারী না হয়ে থাকে, তারা যাদি গুজব রটানোকারী না হয়ে থাকে, তারা যদি মানবতাবাদি হয়ে থাকে, তারা যদি নৈতিকতার সৃষ্টিকারী হয়ে থাকে, তারা যদি উগ্র, হিংস্র না হয়ে থাকে, তারা যদি শান্তিকামী হয়ে থাকে, তারা যদি মিথ্যুক না হয়ে থাকে, তারা যদি ভন্ড না হয়ে থাকে, তাদের যদি বিজ্ঞানের জ্ঞান থেকে থাকে, তারা যদি সত্যের ডাকে ভয় না পেয়ে থাকে, তারা যদি গুহাবাসী না হয়ে থাকে, তারা যদি অন্ধকারী কূঁয়াবাসী না হয়ে থাকে, তারা যদি প্রকৃতই সত্যের অনুসন্ধানকারী হয়ে থাকে।
তাহলে তারা যেন আই এস আই এর খিলাফত ঘোষণা কৃত অঞ্চলে বসবাস করে। এই খিলাফতের জন্যই তারা বিভোর থাকে সবসময়। তারা যেন ধর্মগুরু আবির্ভাবের চরণ ভূমি মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করে যেখানে আল্লা যুগ যুগ ধরে লক্ষ লক্ষ ধর্মগুরু পাঠিয়েছেন। আর তারা যেন উন্নত রাষ্ট্রের পানে ফিরেও না তাকায় এবং ইউরোপ আমেরিকা থেকে তাদের স্বজনদের ফিরিয়ে এনে ধর্মগুরুদের পবিত্র চরণভূমি মধ্যপ্রাচ্যে প্রেরণ করে। আর তারা যেন তাদের পেয়ারা পাকিস্তান,আফগানিস্তান,সিরিয়া,লিবিয়া,ইরাক,ইরানে বসবাস করে। তারা যেন সহীহ তরীকার ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাস করে

তারা যদি সত্যবাদি হয়ে থাকে মিথ্যার অনূসারী না হয়ে থাকে.............. তাহলে যেন.... নাহ থাক বলব না.. পোষ্ট বড় হয়ে যাচ্ছে তাছাড়া ডোজ অল্প অল্প দিতে হয় এক সাথে বেশি টিকা দিলে জ্বর এবং খিঁচুনী হতে পারে শিশু বলে কথা। ;) :P
আমাকে জাষ্ট একটা অলৌকিক নিদর্শন দেখালেই সব ঝামেলা চুকে যায় আর কাউকেই টিকা দিতে হবে না আমি নিজেই তখন টিকা নেব। প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে জাষ্ট একটা নিদর্শন দেখাতে পারলেই আমার পূর্বের সব ভুল বলে প্রমানীত হবে এবং আমি আমার ভুল নির্দিধায় স্বীকার করে নিব আমি ভুল স্বীকার করে নিতে মোটেও লজ্জ্বীত নই। মিথ্যা যুক্তি দ্বারা আমি আমার পূর্বের ভুল বক্তব্য টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা করি না। আমি জানি মানুষ মাত্রই ভুল হয়।


অথচ তারা এর কোন কিছুই করবে না এবং তা কখনোই করবে না। তারপরেও তারা সহীহ ইসলাম নামে মিথ্যা বকবক করেই যাবে আর মিথ্যার, অন্ধকারের পূঁজা করেই যাবে। আর তারা একে অন্যের ঘারে দোষ চাপিয়েই যাবে। তারা মানুষের অবদানকে অস্বীকার করে।আর যাবতীয় দোষ অন্যায় অপকর্মের জন্য মানুষকে দায়ী করে ও যাবতীয় ভাল ভাল কর্মের জন্য তারা ইসলাম তথা আল্লা কে কৃতিত্ব দিবে। নিঃশ্চই এরা প্রকৃত পথভ্রষ্টের দল।
ওহে বাংলার মানুষ আপনারা স্বাক্ষী থাকুন- এরাই পথভ্রষ্টের দল, এরাই মিথ্যার তপস্যাকারী, এরাই অন্ধকারী, এরাই গুহাবাসী, এরাই কূঁয়াবাসী,এরাই মতভেদ সৃষ্টিকারী ও বিভ্রান্তকারী, এরাই মিথ্যার পূঁজাকারী, এরাই গুজব রটানোকারী, এরাই হিংস্র ও উগ্রবাদী, আর এরাই সত্যকে ভয় পায়। এরাই চাপাতি,তেতুল তত্ব রচনাকারী, এরাই বই,প্রকাশনী ধ্বংসকারী, এরাই কলমকে ভয় পায়, এরাই চাপাতিকে ভালবাসে, এরাই আফিম সেবী, এরাই কাঁঠাল পাতা ভক্ষণকারী,এরাই নূরানী বাণী পেশকারী, এরাই জিহাদকারী মস্তিষ্ক বিকৃতকারী, এরাই শ্বান্তি বিনষ্টকারী, এরাই দেশোদ্রোহী, এরাই কথা ও কর্মের অসংগতিকারী। এর পরেও বাংলার মানুষ তাদের আর কোন কোন অপকর্মকে অস্বীকার করবে?

ঘোড়ার ডিম যেহেতু নিরাকার সুতরাং আল্লাহর আকার আছে-শুনুন বিশিষ্ট ইসলামিক বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে-সহীহ হাদিস।


মুসলিমদের প্রতিটি বিষয়েই মতোভেদ, এর শেষ কোথয় জানি না। আল্লাহর আকার আছে কি নাই তা নিয়েই মুসলীম দুনিয়া এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছে। যদিও একসময় সবাই আল্লাহ নিরাাকারের পক্ষেই ছিল।
আল্লাহ সম্পর্কে আরও কিছু ব্যাপার নিয়ে মুসলীম জাহান দু্‌ই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। যেমন- তিনি সর্বময় বিরাজিত কি না? এসব নিয়ে বিভিন্ন বড় বড় আলেম ভিন্ন ভিন্ন ফতোয়া দেয়া শুরু করছে। ঈমানের সবচেয়ে বড় যে বিষয় তা নিয়েই মুসলীম জাহান দুই ভাগ হয়ে গেছে, একমত হতে পারেনি। আর তাদের বেশিভাগ কর্মকান্ডই মতভেদে পূর্ণ। অথচ তাদের জ্ঞানের উৎস কিন্তু একটাই আর তা হচ্ছে কুরআন
আর হাদিস নিয়ে যুগ যুগ ধরে তো ক্যাঁচাল লেগেই আছে সেই খলিফা আমল থেকেই। আর দিন যত যাচ্ছে ততই জাল হাদিসের ভান্ডার বের হচ্ছে। মনে হয় যেন ওহী এসে বছে বেছে জাল হাদীস বের করে দিচ্ছে।
যেদিকেই একটু সুবিধা ওটাই হচ্ছে সুন্নত, নবীজী বলে গেছেন বা করেছেন। আর যে দিকে একটু অসুবিধা বা বর্তমান সময়ের সাথে আর কোনমতেই খাপ খাওয়ানো যায় না তাই হচ্ছে হারাম,বেদআত, জাল হাদিস.. দুব্বল হাদিস ইত্যাদি :P
আমার মনে হয় আর কিছুদিন পরে- মুসলীম জাহান দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে আল্লাহ আছে কি নাই তা নিয়ে। :-P
একদল কুরআন ও হাদিসের আলোকে ফতোয়া দিবে আল্লাহ আছে। আরেক দল কুরআন ও হাদিসের আলোকে ফতোয়া দিবে আল্লাহ বলতে কিছু নাই এ সবই হচ্ছে বেদআত =p~

আর গাঁ বাঁচানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে - ইহা সহীহ ইসলাম নয় বা এটা কোন মুসলীমের কাজ হতে পারে না, কুরআন হাদিস এটা সমর্থন করে না। এগুলা হচ্ছে কুচক্রি মহল ও ইহুদী নাসাড়াদের ষরযন্ত্র। সবকিছুতেই তারা ইহুদী নাসাড়াদরে ষরযন্ত্রের গন্ধ পায়। X((
কুড়িগ্রাম শহরের গাড়ীয়াল পাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী (৬৮ )
দশ বছর আগে মুসলিম ধর্ম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মগ্রহণ করেছিলেন।
দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে ।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইহা ইহুদি খ্রিষ্টানদের ষড়যন্ত্র
রক্তের দাগ সাফ করতে এই বাক্যটাই যথেষ্ট ।


এর পরেও কি তারা নিজেদের শ্বান্তি প্রীয় বলে মিথ্যা দাবী করবে? এই পৃথিবীতে এরাইতো সবচেয়ে বেশি মতভেদকারী ও বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী জাতি। এ তো দিনের আলোর ন্যায় স্পষ্ট নিদর্শন কিন্তু আফিম সেবীরা তা দেখতে পায় না। তারা পরকালের নেশায় বিভোর এই দুনিয়া তাদের কাছে খেল তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। পরকালের স্বর্গের নেশায় তারা মত্ত থাকে আর এই পৃথিবীকে নরকে পরিণত করে তাদের মিথ্যা মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে। সুবুদ্ধি উদয় হোক তাদের যারা মিথ্যা কে সত্য বলে দাবী করে।

গানটি সকল বাংলাদেশীদের উৎসর্গ করা হইল। :)


আমি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে স্পষ্ট ও জ্ঞান গর্ভ ইঙ্গিতের মাধ্যমে সত্যের বাণী স্পষ্টভাবে বয়ান করেছি।
তারা যদি সত্যবাদী হয়ে থাকে,মিথ্যার অনুসারী না হয়ে থাকে, মিথ্যার পূজা না করে থাকে, সত্যকে ভয় না পেয়ে থাকে,অন্ধকারী না হয়ে থাকে,তাহলে তারা যেন তাদের পক্ষে যুক্তি পেশ করে ও সত্যের বাণী খন্ড করে।

আর তারা তা পারবে না এবং তা কখনোই পারবে না। B-)
অলৌকিকতার বেশিরভাগ ঘটেছে অন্ধকার যুগে। কিছু সূত্র ধরে তার সবগুলো মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে তারপরেও মানুষ রহস্যপ্রীয়। দিন দিন মানুষের জ্ঞান যত বাড়ছে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে, অলৌকিক কর্মকান্ড ততই কমতে শুরু করেছে। জ্বীন, ভূত, প্রেতাত্না ততই দূরে সরে চলে যাচ্ছে। যদিও অন্ধকারীরা মিথ্যা আকড়ে ধরে পরে থাকার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে।
যেখানেই শিক্ষা সেখানেই আলো আর যেখানে অন্ধকার সেখানেই অলৌকিকতা সেখানেই আধ্যাত্নিকতা। আধ্যাত্ববাদের প্রকৃত নাম 'অন্ধত্ববাদ' আর এ ব্যাপারে কোনই সন্দেহ এবং স্বংশয় নেই। ;)


যেখানেই ব্যাখা পেতে একটু দেরী হয়েছে, সেখানেই দাঁড় করানো হয়েছে আল্লাহ,খোদা,ভগবান, ঈশ্বর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আল্লাহ খোদা,ভগবান,ঈশ্বর কে শুধুমাত্র রহস্যজনক পজেটিভ ব্যাপারগুলোতেই দাঁড় করানো হয় ।
আর নেগেটিভ বা ক্ষতিকর রহস্যময় ব্যাপারগুলোতে দাঁড় করানো হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শয়তান,জ্বীন,পরী,ভূত,ডাইনি, এলিয়েন, তন্ত্র, মন্ত্র, সূরা কালাম কূবাতাস ইত্যাদিকে অথচ এর কোন কিছুই সত্য নয় একে একে সব মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে- তারপরেও মানুষের রহস্যপ্রীয়তা কমেনি, যে রহস্যগুলো এখন আর প্রমাণ করা সম্ভব নয় এবং যা এখনো মানুষ ঠিক মত ব্যাখ্যা করতে শিখেনি সেখানেই মানুষ রহস্যকে দাঁড় করিয়ে রহস্যকে নিয়ে গেছে এক অনন্য ঊচ্চতায়। অন্ধকারীরা কখনোই দাবী করে না যে তারা উক্ত ব্যাপার তেমন কিছুই জানে না, যে যেত বড় হাবাগোবাই হোক না কেন সে মহাকাশের যাবতীয় সব রহস্যের সুন্দর মনগড়া হাবাগোবা ব্যাখ্যা করে, সে প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করে, জীববিজ্ঞানকে ব্যাখ্যা করে,সে সমাজ বিজ্ঞানকে ব্যাখ্যা করে,সে পদার্থ বিজ্ঞানকে ব্যাখ্যা করে, সে রাষ্ট্র বিজ্ঞানকে ব্যাখা করে,সে মনোবিজ্ঞানকে ব্যাখ্যা করে,বিজ্ঞানের যাবতীয় শাখা প্রশাখাকেই সে ব্যাখা করে। অথচ কি আর্যচ্য এ ব্যাপারে তার কোনই সঠিক জ্ঞান নেই!!! :-B



বলুন-আমরা অন্ধকারীদের মত মনগড়া ব্যাখ্যা করি না এবং যাহা জানিনা সে সম্পর্কে আমরা মিথ্যা জ্ঞান জাহির করি না।


সকল মুক্তমনাদের জন্য আরেকটি গান উৎসর্গ করা হইল।


পোষ্ট ভয়ানক বড় হয়ে গেছে কি লিখতে চাইছিলাম আর কি লিখে ফেললাম- :P
অনাকাংখিত বানান ভুলের জন্য ক্ষমা পার্থী।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
৩০টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×