গুগল থেকে নেয়া ছবি।
সামুতে মাল্টি নিক নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। অনেকের কাছে মাল্টি যন্ত্রণারও কারণ। শুধু যন্ত্রণা নয়, নরক যন্ত্রণাও বলা যায়। কারণ, এই মাল্টি নিকের অব্যাহত উৎপীড়নের কারণে ব্লগে ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময় ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি কখনও কখনও এতটাই ন্যাক্কারজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ব্লগিংয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ পর্যন্ত বিঘ্নিত হয়েছে। এমনকি, ব্লগারদের কেউ কেউ আত্মসম্মান বাঁচাতে ব্লগ ছেড়ে যেতে পর্যন্ত বাধ্য হয়েছেন তখন। সে কারণেই মাল্টি নিকে অনেকের আপত্তি। কিন্তু নির্দোষ মাল্টি নিক থাকলে তাতে সমস্যার কিছু থাকে না। যেমন, আমার এই নিকটার কথাই যদি বলি। দেখতে দেখতে বয়স তো কম হলো না এই আইডিটার। ১ যুগ পূর্ণ হতে মাত্র কয়েক দিন বাকি। বহু দিন পরে আইডিটাতে লগইন হয়ে দেখলাম - ব্লগ লিখেছি: কথাটার পরে ভাসছে ১১ বছর ১১ মাস... কথাটা। অথচ এই আইডিটা আজও রয়ে গেল অনেকটা চোখের আড়ালেই।
আজকের এই পোস্ট লেখার আগ পর্যন্ত এই আইডি হতে পোস্ট করা হয়েছে মাত্র ২৩ টি। মজার বিষয় হচ্ছে, এর অনেক পরে বানানো আমার অন্য যে আইডিটাতে অধিকাংশ সময় সক্রিয় থেকেছি, সেটি থেকে করা পোস্টের সংখ্যা শত শত। শুধু শত শত বললেও হয়তো কমই বলা হবে কিছুটা। বরং বলা চলে, সে আইডির পোস্ট সংখ্যা এখন ৪ সংখ্যা ছুঁতে খুব একটা বেশি বাকি নেই। শুধু এটা বা ওটাই নয়, একটা সময় আরও আইডি ক্রিয়েট করেছিলাম এখানে। সবই আছে। কিছুই হারাইনি। আইডি আছে। পাসওয়ার্ড আছে।
অন্যদিকে, এই ব্লগটি যেখানে ভিউ হয়েছে মাত্র ৪৯৬২২ বার, সেখানে সেটির ভিউ কম করে হলেও পৌনে ২ মিলিয়নের অধিক।
আসল কথা, মাল্টি থাকা খারাপ কিছু না। বরং, খারাপ কিছু করাই যাদের অভ্যাস, মতলব যাদের বদ, প্রিয় পাঠক, চাঁদপুর জেলার মতলব থানার কথা বলছি না, বলতে চাইছি, উদ্দেশ্য যাদের অসৎ, মাল্টি না থাকলেও, একটিমাত্র আইডিতেও তারা তা করতে পারেন। পক্ষান্তরে উদ্দেশ্য যাদের ভালো, মাল্টি তাদের যতটাই থাকুক, তারা যে সন্তর্পনে, হিসেব কষে পথ চলবেন - তাতে সন্দেহ নেই।
আমার মাল্টি রহস্যটা কেউ কেউ হয়তো ইতোমধ্যে আঁচ করলেও করে থাকতে পারেন। অবশ্য, যতটুকু ইঙ্গিত এই পোস্টে দিয়েছি, তার উপরে নির্ভর করেও উৎসুক কারও কারও পক্ষে হয়তো খুঁজে নেয়াও সম্ভব যে, এখানে কোন কোনটি আইডিগুলো আমার মাল্টি। এর বাইরে এখনই বিষয়টা একেবারে খোলাসা করতে মন সায় দিচ্ছে না। সবকিছু খোলাসা করে দিতে সবসময় কেন যেন আমার ইচ্ছেও হয় না। কিছু বিষয় বরং আবছা আলো-ছায়ায় দেখতেই বরাবর ভালো লাগে। তা ব্লগের ভার্চুয়াল কল্পজগতে হোক অথবা, ছন্দ-আনন্দের বাস্তবের জীবনে।
এই যে সবকিছুই, আরও স্পেসিপিক্যালি বললে, কোনো কোনো বিষয় তাৎক্ষনিকভাবে প্রকাশ না করে আনন্দলাভের একটি প্রবনতা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে, না, বরং বলা চলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজেকে প্রচার বিমুখ বা আড়ালে আবডালে রাখার সূক্ষ্ণ প্রচেষ্টা - এটাকে 'লুকোছাপা' বলা যায়? নাহ, 'লুকোছাপা' কথাটার মধ্যে সত্যকে গোপন করার একটা বিষয় থাকে হয়তো। আচ্ছা, 'ঘরকুনো' শব্দটা? এটির জন্য সম্ভবতঃ 'ঘরকুনো' শব্দটা কিছুটা হলেও মানানসই। যাই হোক, একেবারে সঠিক না-ও হতে পারে, তবু 'ঘরকুনো' শব্দটাকেই আপাততঃ বেছে নিলাম। এই 'ঘরকুনো' স্বভাবের জন্য মাঝে মাঝেই বাস্তব জীবনেও যে পুরষ্কার-তিরষ্কারের মুখোমুখি হতে হয়নি- তা নয়। অবশ্য, সহকর্মী বন্ধু বান্ধবদের কেউ কেউ এই স্বভাবের জন্য পুরষ্কৃত করতে চাইলেও বউয়ের হাতে মৃদু তিরষ্কার এবং চান্সপ্রাপ্তি সাপেক্ষে কখনো কখনো মোটামুটি রকমের নাকানি চুবানি খাওয়ারই কারণ ছিল এটি।
পোস্টপাঠে কৃতজ্ঞতা।
শুভ ব্লগিং!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮