সাহাবী কারা?
`সাহাবী` আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ সঙ্গী, সাথী। ইসলামী পরিভাষায়- যারা ঈমান অবস্থায় নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন এবং মুমিন অবস্থাতেই ইন্তেকাল করেছেন তাদেরকেই `সাহাবী` বলা হয়। (কাওয়াইদুল ফিকহ, সাইয়েদ মুফতি মুহাম্মাদ আমীমুল এহসান, পৃষ্ঠা-৩৪৬)
সাহাবীগণের সংখ্যা
সাহাবীগণের সংখ্যা লক্ষাধিক। নবী-রাসূরগণের পরেই তাদের মর্যাদা। কুরআন ও হাদিসে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। তারা আল্লাহ তাআলার মনোনীত জামাআত বা কাফেলা। আল-কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, 'তারপর আমি কিতাবের অধিকারী করলাম আমার বান্দাদের মধ্যে তাদেরকে যাদেরকে আমি মনোনীত করলাম।' (সূরা ফাতির, ৩৫ :৩২)
এক হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, 'আল্লাহ্ তাআলা নবী-রাসূলগণের পর সমস্ত বিশ্ব ভূ-মন্ডলে আমার সাহাবীগণকে মনোনীত করেছেন।' (মুসনাদে বাযযার, সূত্র : মাকামে সাহাবী, পৃষ্ঠ-৬০, মুফতি মুহাম্মাদ শফী রহ.; আল জামি' লি আহকামিল কুরআন, ইমাম কুরতুবী, ৮ম খ-, পৃষ্ঠ-১৯৬)
পবিত্র কুরআনের আলোকে সাহাবায়ে কিরামের মর্যাদা:
সাহাবায়ে কিরামের শিক্ষক হলেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি তা'লিম, তারবিয়্যাত, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, ইসলাহ্ ও সংশোধনের মাধ্যমে তাদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছিলেন। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের সত্যবাদিতা, নির্ভরযোগ্যতা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার প্রশংসা করেছেন। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,
مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاء عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاء بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِّنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذَلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَمَثَلُهُمْ فِي الْإِنجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَى عَلَى سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُم مَّغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا
'মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, তার সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল, আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির কামনায় তুমি তাদেরকে রূকূ' ও সিজদায় অবনত দেখবে। তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে। তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।' (সূরা ফাতাহ, ৪৮ : ২৯)
ইমাম কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহিসহ সকল মুফাসসিরগণ আয়াতে উল্লেখিত (অল্লাজি-না মায়াহু) অংশটিকে আম বা ব্যাপক অর্থবোধক বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক সাহাবীই এ আয়াতের মর্মার্থের অন্তর্ভুক্ত। (মাকামে সাহাবী, পৃষ্ঠ-৪০, মুফতি মুহাম্মাদ শফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি; আল জামি লি আহকামিল কুরআন, ইমাম কুরতবী, ৮ম খ-, পৃষ্ঠ-১৯২)
সাহাবায়ে কিরামের জামাআত সর্বোত্তম জামাআত
সাহাবায়ে কিরামের জামাআত আদর্শ জামাআত। তাদের অনুসৃত পথ সঠিক এবং নির্ভুল। এ কারণেই তাদের বিরোধিতা করাকে রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বিরোধিতার নামান্তর বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে এবং এ জাতীয় লোকদেরকে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে বলে সতর্ক করা হযেছে। আল-কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,
وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءتْ مَصِيرًا
'কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরুদ্ধাচারণ করে আর মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে তবে যেদিকে সে ফিরে যায়, সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দিব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করবো আর তা কতই না মন্দ আবাস।' (সুরা নিসা, ৪ : ১১৫)
এই আয়াতে 'মুমিন' বলতে সাহাবা আজমাইনদের উদ্দেশ্য করা হয়েছে। কারণ তারাই মুমিনদের সর্বপ্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ জামাআত। এর দ্বারা আরো স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সাহাবায়ে কিরামের জীবন, তাদের আমল, আখলাক, চরিত্র ও কার্যধারার অনুসরণই হলো রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঠিক অনুসরণ। আর সাহাবায়ে কিরামের জীবন ও চরিত্রকে আদর্শ নমুনা রূপে স্বীকার করে নিলেই তা সম্ভব হতে পারে। আল-কুরআনে আল্লাহ্ তাআলা নিজে তাদের ঈমানের দৃঢ়তা এবং পাপাচার থেকে মুক্ত থাকার আন্তরিক আগ্রহের কথা ঘোষণা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে,
وَاعْلَمُوا أَنَّ فِيكُمْ رَسُولَ اللَّهِ لَوْ يُطِيعُكُمْ فِي كَثِيرٍ مِّنَ الْأَمْرِ لَعَنِتُّمْ وَلَكِنَّ اللَّهَ حَبَّبَ إِلَيْكُمُ الْإِيمَانَ وَزَيَّنَهُ فِي قُلُوبِكُمْ وَكَرَّهَ إِلَيْكُمُ الْكُفْرَ وَالْفُسُوقَ وَالْعِصْيَانَ أُوْلَئِكَ هُمُ الرَّاشِدُونَ
'তোমরা জেনে রাখ তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রসূল রয়েছেন। তিনি যদি অনেক বিষয়ে তোমাদের আবদার মেনে নেন, তবে তোমরাই কষ্ট পাবে। কিন্তু আল্লাহ্ তোমাদের নিকট ঈমানকে প্রিয় করেছেন এবং তাকে তোমাদের হৃদয়গ্রাহী করেছেন, আর কুফরী, পাপাচার ও অবাধ্যতাকে করেছেন তোমাদের নিকট অপ্রিয়। তারাই সৎপথ অবলম্বনকারী।' (সূরা হুজরাত ৪৯ :৭)
فَضْلًا مِّنَ اللَّهِ وَنِعْمَةً وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
এটা আল্লাহর কৃপা ও নিয়ামতঃ আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়। (সূরা হুজরাত ৪৯ :৮)
এছাড়া সাহাবায়ে কিরামের প্রতি আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টির কথা উল্লেখ করে আল-কুরআানে ইরাশাদ হয়েছে,
رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ
'আল্লাহ্ তাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তারাও তার প্রতি সন্তুষ্ট।' (সূরা বায়্যিনা, ৯৮ : ৮)
মহান আল্লাহ্ যাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন ইনশাআল্লাহ্ তাদের প্রতি কখনো তিনি অসন্তুষ্ট হবেন না। (মাকামে সাহাবী, পৃষ্ঠ-৪৪, মুফতি মুহাম্মাদ শফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি; আল ইসতিয়াত, ভূমিকা- আল্লামা ইবন আবদুল বার রহমাতুল্লাহি আলাইহি;
এছাড়াও আরো বহু আয়াতে সাহাবায়ে করামের ফজিলত ও মর্যাদা সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
হাদিসের আলোকে সাহাবায়ে কিরামের মর্যাদা:
অনেক হাদিসে সাহাবায়ে কিরামের মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'রিসালাতের জন্য আল্লাহ্ আমাকে নির্বাচন করেছেন এবং আমার সাহচর্যের জন্য সাহাবাদের নির্বাচন করেছেন। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে আমার উজির, কতিপয়কে আমার জামাতা ও শ্বশুর নির্বাচন করেছেন। যারা তাদেরকে মন্দ বলবে তাদের উপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও মানবকুলের লা'নত নেমে আসবে। তাদের ফরজ ও নফল কোনো আমলই কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাআলা কবুল করবেন না।' (মাকামে সাহাবী, পৃষ্ঠ-৬০, মুফতি মুহাম্মাদ শফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি; আল জামি লি আহকামিল কুরআন, ইমাম কুরতুবী, ৮ম খ-, পৃষ্ঠ-১৯৬)
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাস্ঊদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু সাহাবায়ে কিরামের অতীব সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখপূর্বক বলেন, 'কেউ যদি কারো আদর্শ অনুসরণ করতে চায় তাহলে তার জন্য উচিত যারা ইন্তেকাল করেছেন (সাহাবী) তাদের আদর্শ অনুসরণ করা। কেননা জীবিত ব্যক্তি ফিতনার সম্ভাবনা থেকে মুক্ত নয়। আর তারা হলেন মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাহাবী। হৃদয়ের পবিত্রতায়, ইলমের গভীরতায় এবং আড়ম্বরহীনতায় তারা ছিলেন এই উম্মতের শ্রেষ্ঠতম জামাআত। আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে তার নবীর সঙ্গলাভ এবং দীন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে মনোনীত করেছেন। সুতরাং তোমরা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে নাও, তাদের পথ-পন্থা অনুসরণ করো এবং তাদের আখলাক ও আদর্শ দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরো। তারা ছিলেন সরল ও সঠিক পথের পথিক।' (মুসনাদে রযীন, সূত্র : মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠ-৩২)
উম্মাতের শ্রেষ্ঠতম কোনো ব্যক্তির বড় থেকে বড় কোনো নেক আমলও সর্বনিম্ন সাহাবীর ছোট হতে ছোট কোনো আমলের সমতুল্য হতে পারে না। সুতরাং তাদেরকে গালমন্দ করার অধিকার কারও নেই। রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'তোমরা সাহাবাদের গালমন্দ করো না। কেননা আল্লাহর পথে তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করেও কোনো সাহাবীর কোনো মুদ (প্রায় এক সের) বা তার অর্ধেকের সমতুল্য হবে না।' (বুখারী ও মুসলিম, সূত্র : মিশকাত শরীফ, ২য় খ-, পৃষ্ঠ-৫৫৩)
সাহাবীকে ভালবাসার অর্থ রাসূলুল্লাহকে সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালবাসা। তাদের সম্বন্ধে সামান্যতম কটুবাক্যও গুরুতর ধৃষ্টতা। রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, 'আমার সাহাবীদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে বিশেষভাবে ভয় করো। আমার পর তোমরা তাদেরকে সমালোচনার লক্ষ্যস্থল বানিও না। তাদের প্রতি ভালবাসা আমার প্রতি ভালবাসারই প্রমাণ এবং তাদের প্রতি বিদ্বেষ আমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণেরই প্রমাণ। তাদেরকে যে কষ্ট দিলো, সে আমাকেই কষ্ট দিলো। আর যে আমাকে কষ্ট দিলো সে আল্লাহকে কষ্ট দিলো। আর যে আল্লাহকে কষ্ট দিলো, অতিসত্বর তিনি তাকে পাকড়াও করবেন।' (তিরমিযী, সূত্র: মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠ-৫৫৪)
সুতরাং যারা সাহাবীগণের দোষ খুঁজে বেড়ায় এবং তাদের সমালোচনা করে তারা অভিশপ্ত। রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, 'কাউকে আমার সাহাবীদের মন্দ করতে যদি দেখ; তাকে বলে দিবে তোমাদের মধ্যে যারা নিকৃষ্টতর তাদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ।' (তিরমিযী, সূত্র : মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠ-৫৫৪)
সাহাবীগণের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা অপরিহার্য
সাহাবীগণের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা অপরিহার্য। এই মর্মে রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'তোমরা আমার সাহাবীদের সম্মান করবে। কেননা তারা তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম।' (শিশকাত, ২য় খ-, পৃষ্ঠ-৫৫৪)
নবী পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রশংসায় আরো ইরশাদ করেছেন, 'জাহান্নামের আগুন ঐ মুসলিম ব্যক্তিকে স্পর্শ করবে না, যে আমাকে দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছে।' (প্রাগুক্ত)
শেষের কথা
উপরোক্ত আয়াত এবং হাদিসের মধ্যে সাহাবায়ে কিরামের প্রশংসা, ফজিলত এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত প্রাপ্তির সুসংবাদের পাশাপাশি উম্মাতকে তাদের অনুসৃত পথে চলার প্রতি গুরুত্বের কথা সহজেই অনুমেয়। একই সাথে হুশিয়ার করে দেয়া হয়েছে সাহাবীদের প্রতি দোষারোপ করার কঠিন পরিণতি সম্পর্কেও। সর্বোপরি সাহাবায়ে কিরামের প্রতি ভালবাসাকে রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ভালবাসার এবং তাদের প্রতি বিদ্বেষকে রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর প্রতি বিদ্বেষের পরিচায়ক বা প্রমাণ ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ পাক দ্বীনের প্রতিটি বিষয় আমাদেরকে সঠিকভাবে বুঝে সে অনুসারে আমল করার তাওফিক দান করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪