ডা: জাকির নায়েকের যুক্তিপূর্ন সুন্দর সাবলিল দাওয়াতী বক্তব্য, তুলনামূলক ধর্মতত্ব আলোচনা তাকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গন্য করার জন্য যথেষ্ট। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তাকে সাধুবাদ জানাই।
তিনি তার উস্তাদ আহমাদ দিদাত থেকে যে বিষয়গুলো রপ্ত করেছেন, সে বিষয়গুলো তিনি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করে ইসলামের অনেক বড় উপকার করেছেন। এজন্য আমরা তার জন্য মন থেকে দুআ করি। তার কল্যান কামনা করি।
কিন্তু তিনি হাজার বছর পূর্বে বিজ্ঞ ফুক্বাহায়ে কেরাম কর্তৃক সমাধানকৃত ইসলামী শরিআতের ইখতিলাফী (মতবিরোধপূর্ন) মাসআলাগুলোকে নতুন করে উস্কে দিয়ে সাধারণ মুসলমানদের যে বিভ্রান্ত ও দিশেহারা করেছেন, তার এহেন কর্মকান্ড তার মত সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তির জন্য অনধিকার চর্চার শামিল। এই অপকর্মের জন্য তাকে ধিক্কার জানানো ছাড়া উপায় থাকে না।
তিনি আরবি ভাষাজ্ঞানে কতটা পারদর্শী সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে কুরআন হাদিস বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জনের জন্য আরবি ভাষার লুগাত, বালাগাত, ফাসাহাত, মানতিক, ইলমে ছরফ, ইলমে নাহু ইত্যাকার যেসব বিষয়ে পারদর্শীতার আবশ্যক রয়েছে, তিনি তার ধারে কাছেও কোনো দিন যান নি। কুরআনের অনুবাদ দেখে, আর হাদিসের অনুবাদ পড়ে তিনি শরিআতের মাসআলা-মাসায়েল প্রনয়নের দু:সাহস দেখিয়ে নি:সন্দেহে চরম নিন্দনীয় এবং গর্হিত কাজ করেছেন। ডা: নায়েকের অজ্ঞতাপ্রসূত এ অনধিকার চর্চার ফল আমরা দেখতে পাই আমাদের সমাজের অলিন্দে অলিন্দে। নিবন্ধের কলেবর বৃদ্ধির ভয়ে একটি মাত্র উদাহরন দিচ্ছি, যদিও এদেশে তারাবীহ নামাজ নিয়ে দ্বন্ধ ছিল না। দলমত নির্বিশেষে এদেশের সকল মুসলমান পবিত্র হারামাইন শরীফাইন (মক্কাতুল মুকাররমাহর বাইতুল্লাহ এবং মদিনাতুল মুনাওওয়ারাহর মসজিদে নববী) কে অনুসরন করে সাহাবীদের সম্মিলিত আমলকে ফলো করে ২০ রাকাআত তারাবীহ আদায় করে এসেছেন। কিন্তু প্রায় দেড় হাজার বছর পরে জাকির নায়েক এলেন নতুন ৮ রাকাআতের ফতোয়া নিয়ে। তিনি তার কাজ করলেন টেলিভিশনের পর্দার আড়ালে বসে। তার টিকিটিও কেউ ধরতে পারছে না। সমাজের কাদা ছোড়াছুড়ির একটুও তার গায়ে গতরে লাগছে না। কিন্তু মসজিদে মসজিদে আজ হাঙ্গামা। বিবাদ বিসম্বাদের অন্ত নেই। তার অন্ধ অনুসারী একদল লোক এই সমাজে তিনি তৈরি করে গেছেন, যারা বিশ্বাস করেন, ডা: জাকির নায়েক ভুল করতে পারেন না। জাকির নায়েকের ভুল হতে পারে না। জাকির নায়েকের প্রতি তাদের অন্ধ বিশ্বাস, অতি ভক্তি কিংবা নির্জলা আবেগ এদেরকে বিবেকহীন বস্তুতে পরিনত করেছে। এই শ্রেনির লোক উগ্রবাদের বিষবাষ্প ছড়ায়। কথা-বার্তায় বেআদব। এদের অধিকাংশের কাছে সাহাবীদের উর্ধ্বে জাকির নায়েকের অবস্থান। জাকির নায়েক সাহাবীদের তেমন গনায় ধরেন বলে দেখা যায় না। অলী আউলিয়া, সালফে সালেহীনগনের কথা তো হিসেবেরই বাইরে।
ডা: জাকির নায়েক এবং তিনি যে মতের অনুসারী তাদের নিকট বর্তমান অনেক আমলই মূল্যহীন। শুধু মূল্যহীন বললে কম বলা হবে। তাদের নিকট মুসলমানদের অধিকাংশ সুসাব্যস্ত আমলই বিদাআত কিংবা হারাম। যেসব দলিলহীন উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে এরা সমাজে ফিতনা ছড়ানোর চেষ্টা করে তার মধ্যে রয়েছে-
১। জুমুআর ফরজ সালাতের আগে এবং পরে ক্কাবলাল জুমুআ এবং বা'দাল জুমুআ সুন্নত নামাজ নেই।
২। নামাজের পরে দুআ মুনাজাত নেই।
৩। তারা তাহাজ্জুদের হাদিসকে তারাবীহর হাদিস বলে ভুল ব্যাখ্যা করে নিজেরা নামাজে ফাঁকি দেয় এবং অপরাপর নামাজীদের মনে অসওয়াসার সৃষ্টি করে তাদের ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করে।
৪। মদিনা শরীফে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজায়ে আতহারে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে যাওয়া যাবে না। গেলে বিদাআত হবে।
৫। বিশ্বব্যপী প্রচলিত তাবলিগ জামাআতে যাওয়া যাবে না। যাওয়া হারাম।
৬। ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে দুআ করা যাবে না। বিদাআত।
৭। মহিলাদের মসজিদে নামাজে যোগদানে কোনো সমস্যা নেই।
৮। মহিলাদের মুখ (চেহারা) না ঢাকলেও পর্দা রক্ষা হয়ে যাবে।
৯। জুমুআর খুতবাহ আরবিতে হওয়া জরূরী নয়। যে কোনো এলাকার মাতৃভাষায় হতে পারে।
এরকম কত যে বিতর্কিত ফতোয়া। কত যে বিতর্ক ফাঁদিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা। এদের কাছে কত যে বাহানা। আমল চুরি করার জন্য, আমলে ফাঁকি দেয়ার জন্য কত যে ধান্ধা, আল্লাহ পাক মা'লূম। এদের কাছে এককথায় দুআ বিদাআত। নফল সালাত বিদাআত। দরুদ বিদাআত। মিলাদ বিদাআত। ঈসালে সাওয়াব বিদাআত। আরও কত কি!
এসবের ব্যাপারে কথা বললেই নায়েক পন্থীগন আপনাকে বলে বসবেন, জাকির নায়েক এসে আপনাদের রুটি রুজির পথ বন্ধ করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে আপনারা লেগেছেন। জাকির নায়েক ভুল করতেই পারেন না।
নায়েক ভক্তগনের অধিকাংশকেই দেখা যায়, আলেম-উলামাদের এরা সম্মান দিতে শিখেন নি। মুরব্বিদের পর্যন্ত এরা গনায় ধরে কথা বলে না। মোবাইলে হাদিসের (শুধুমাত্র বোখারী শরীফ) অনুবাদ পড়ে এরা একেকজন মহাপন্ডিত। বিরাট বিশাল মুহাদ্দিস। কখনো আলেম-উলামা, মাদ্রাসা-মসজিদ, মাদ্রাসার শিক্ষকদের গালি গালাজ করে তো, আবার কখনো মাযহাবের ইমামদের গোষ্ঠী উদ্ধারে ব্যস্ত থাকে। এদের অধিকাংশের চেহারা সূরতে একটি সুন্নতের চিহ্ন পর্যন্ত পাবেন না। কিন্তু বাকপটুতায় দেখবেন, এই ছোকড়াদের প্রত্যেকে যেন একেকজন জাকির নায়েকেরও ওস্তাদ। জাকির নায়েককে এজন্যও আরেকটি ধন্যবাদ দিতে হয়। তিনি একটি বেআদব প্রজন্ম সৃষ্টি করতে পেরেছেন, যাদের কাছে আলেম-উলামা, হাফেজ, ক্কারী, মাওলানা বলতে কিছু নেই, যাদের কাছে সম্মানের পাত্র কেবল টিভিতে কুরআন হাদিসের নামে, গালভরা মিথ্যে বুলি আওড়ায় যে ক'জন নামধারী আলেম। যাদের উদ্দেশ্যই সমাজের অন্দরে-কোন্দরে, ভেতরে-বাহিরে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করা। শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করা। দেড় হাজার বছর যাবত আচরিত নির্ভরযোগ্য দলিল প্রমানের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য আমল থেকে মানুষদের ধোঁকা দিয়ে সরিয়ে নেয়ার পায়তারা যারা করেন, এদের কাছে তারা 'শাইখ' নামে পরিচিত। এই 'শাইখ' নামের দুর্বৃত্তগন কাদের উচ্ছিষ্টভোগী তার খবর অনেকের নিকট না থাকলেও সত্য লুকানোর উপায় নেই। এরা সউদি আরবের তেল অার স্বর্ন বেচা অর্থে এদের উদর পূর্তি করেন। রিয়াল আর পেট্রোডলারের চকচকে বান্ডিলে এদের চেহারায় চিকনাই বাড়ে।
আমরা জাকির নায়েক এবং তার অনুসারীদের এ জনপদের মুসলমানদের ঈমানে-আমলে-ইবাদাতে অসওয়াসা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর মত নিকৃষ্ট কাজগুলো করতে বিতর্কিত ফতোয়া দেয়ার মত গর্হিত কর্মকান্ড থেকে বিরত থেকে তারা বরং তাদের দাওয়াতী কাজে মনযোগী হোন। তারা হক্কপথ প্রাপ্ত হোন।
এ আহবান শুধু আমরা জানাচ্ছি বিষয়টি এমন নয়, বরং তার কল্যাণকামী, তার পথ ও মতের অনেক আহলে হাদীস আলেমও করেছেন। উদাহরন স্বরূপ- পাকিস্তানের লা-মাযহাবী আলেম শায়েখ আবু যায়েদ জমীর, এবং লা-মাযহাবী আলেম শায়েখ মেরাজ রব্বানী এবং শায়েখ তাউসীফুর রহমানও করেছেন। আল্লাহ পাক হিফাযত করুন।
আমরা আগেই বলেছি, জাকির নায়েক সাহেব যেমন ভাল কাজ করেছেন, তেমনি এমন কিছু বিতর্কিত কাজ করেছেন যা তার ভাল কাজের উপর অনেকাংশেই পর্দা ফেলে দেয়।
আমেরিকার গোলামীতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত সৌদী সরকার কাউকে পুরস্কৃত করলেই তিনি ইসলামের সুবিশাল খাদিমের স্বীকৃতি পেয়ে যান না। একথা মনে রাখতে হবে। ইসলামের প্রকৃত খাদিম সেই ব্যক্তি, যার সব কিছুতে আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রতি পূর্ণ দৃষ্টি রয়েছে। যারা প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ সম্মত আমল। মেজাজে শরীয়ত অনুপাতে যিনি দ্বীনের খিদমাত আঞ্জাম দিয়ে যান, তিনিই প্রকৃত দ্বীনের খাদিম। যদিও দুনিয়াবী কোন বাদশা থেকে স্বীকৃতি না পান।
যেহেতু এ উপমহাদেশে ইসলাম হানাফী উলামাগণ এনেছেন। ইসলাম আনার পর থেকে কুরআন ও হাদীসের আলোকে সংকলিত ফিক্বহে হানাফী অনুপাতে উপমহাদেশের কোটি কোটি মানুষ হাজার বছরাধিককাল যাবত আমল করে আসছে।
যদি আমলগুলো কুরআন ও সুন্নাহ পরিপন্থী হতো, তাহলে অভিযোগ উত্থাপন ছিল যৌক্তিক। কিন্তু আমলগুলো কুরআন ও সুন্নাহ সম্মত হবার পরও সাধারণ মুসলমানদের সামনে একই মানের বিপরীতমুখী আমলের দলীল উপস্থাপন করে মসজিদে মসজিদে বিভেদ সৃষ্টি করা খুবই অন্যায় ও গর্হিত।
যেখানে সৌদী আরবের সম্মিলিত ফাতওয়া বোর্ড এবং প্রধান মুফতীদের ফাতওয়া হল, যে এলাকায় কুরআন ও হাদীসভিত্তিক যে মাযহাব প্রচলিত সেখানে সেটিই আমল করবে। ভিন্ন আমল চালু করে ফিতনা সৃষ্টি করবে না।
সেখানে, ঘরে ঘরে, মসজিদে মসজিদে, এলাকায় এলাকায় মানুষের মাঝে সালাতসহ ইবাদতের মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে ভিন্ন আমল প্রতিষ্ঠা করে ফিতনা সৃষ্টি করা কতটা জঘন্য কাজ তা আশা করি বিজ্ঞ কাউকে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই।
অনেককে দেখা যায়, ডা: জাকির নায়েককে ইহুদীদের দালাল ইত্যাদি বলে থাকেন। এটা বলা কি আদৌ ঠিক?
প্রশ্নটির উত্তরে বলা যায়, এটি আদৌ ঠিক নয়।
আমরা জানি, ইহুদী এবং খৃষ্টানদের মূল থিউরী হল, ডিভাইড এন্ড রোল। অর্থাৎ বিভেদ সৃষ্টি করে শাসন কর।
অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে সামনে এনে মুসলমানদের পরস্পর ঝগড়ায় লিপ্ত করে শক্তি ক্ষয় করে মূলত যেহেতু ইহুদীদেরই এজেন্ডা বাস্তবায়ন হচ্ছে জাকির নায়েক ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের মাধ্যমে, এ কারণেই হয়তো অনেকে তাকে ইহুদী ও খৃষ্টানের দালাল নামে অভিহিত করে থাকেন।
তিনি সরাসরি যদি দালালী না করেও থাকেন, কিন্তু তার কর্মের মাধ্যমে দালালী প্রতিভাত হয়।
আমরা তার ভাল কাজগুলোর প্রশংসা করি। কিন্তু তার ফিতনামূলক কাজগুলোর জন্য তার ভুলগুলো শুধরে দিয়ে তাকে সংশোধনের উদাত্ত আহবান জানাই।
জাকির নায়েক সাহেব আমাদের জানা মতে একজন মুসলিম। হয়তো না জেনে মারাত্মক কিছু ভুল করেছেন। আশা করি তিনি তার ভুলগুলো থেকে তওবা করে দ্বীনের সত্যিকার দাঈ হবেন।
কিন্তু তাকে ইহুদী কিংবা ইহুদীদের দালাল বলা সম্পূর্ণরূপে অন্যায় এবং হারাম। কোন মুসলমানকে কাফের বলা হারাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন।
এক হাদীসে ইরশাদ হচ্ছেঃ
عن أبي ذر رضي الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يرمي رجل رجلا بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك
হযরত আবু জর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুল সাঃ বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যদি কাউকে ফাসেক বলে, কিংবা কাফের বলে অথচ লোকটি এমন নয়,তাহলে তা যিনি বলেছেন তার দিকে ফিরে আসবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬৯৮}
তাই তাকে বিধর্মী, কাফের বা ইহুদী, অথবা ইহুদীদের দালাল ইত্যাদি সম্বোধন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
পরিশেষে আমরা ডা: জাকির নায়েকের অব্যহত সাফল্য এবং অভাবিত কল্যান কামনা করছি। পাশাপাশি বিরোধপূর্ন মাসআলা-মাসায়েল বিষয়ে ভ্রান্তি ছড়িয়ে দিয়ে দলিল প্রমানাদির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ও সহস্রাধিক বছর যাবত আচরিত মাযহাবের আমল থেকে সাধারন মুসলমানদের দূরে সরিয়ে রাখার অপচেষ্টার মাধ্যমে সমাজে বিবাদ-বিসম্বাদ সৃষ্টি করার তার এ অনৈতিক এবং অনধিকারচর্চামূলক বিভ্রান্তি পরিবিস্তৃতির কাজ থেকে তাকে বিরত থাকার হৃদয় নিংড়ানো আহবান জানাচ্ছি। সত্যি বলতে কি, ডা: জাকির নায়েক আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান দেয়া একজন মানুষ। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দিই কী করে? যাকে ভালবাসতাম সবচেয়ে বেশি, তাকে ঘৃনা করি কোন জ্ঞানে? আল্লাহ পাক তাকে এবং তার অনুসারীদের হক কথাগুলো বুঝার এবং হকের পথে চলার তাওফিক দিন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬