বাহ! তুমি এক আদম সন্তান!
তুমি আদমের কাছে থেকে পেয়েছ চোখ,
তোমার গ্রীবা, কুঁচকে ফেলার জন্য ভ্রু।
তুমি আদমের কাছে থেকে পেয়েছ দাঁত,
সর্বভূক হয়ে চিবিয়ে খাচ্ছো সারা দুনিয়া।
তুমি আদমের কাছে থেকে পেয়েছ হাত,
যাকে তাকে লাথি দেয়ার জন্য সবল পা।
তুমি আদমের কাছে থেকে পেয়েছসারা দেহ,
দুশো ছ’টি হাড়ে গড়া জান্তব কংকাল।
তুমি শুধু পাওনি আদমের মগজ,
তোমার মস্তিষ্ক ভর্তি তাই ইবলিশের বীর্য!
তুমি শুধু পাওনি আদমের লিঙ্গ,
তোমার লিঙ্গ তাই শুয়োরের লকলকে জিহ্বা!
বহুকাল পরে আজ এই পৃথিবীর-
চারিদিকে বিচরণ কোটি কোটি আদমের।
বহুকাল পরে আজ এই পৃথিবীর-
চারিদিকে বিচরণ কোটি কোটি হাওয়ার।
এরই মাঝে আদমের ছদ্মবেশে কিছু নেকড়ের দল!
বাহ! তুমি নিজেকে আদম সন্তান দাবী করছো!
অথচ তোমার আদম প্রদত্ত চোখ ধর্ষণ করছে-
লক্ষ লক্ষ হাওয়ার প্রতিটি কোষ।
অথচ তোমার আদম প্রদত্ত ঐ শুভ্র হাত
কালো থাবা হয়ে ছিন্ন করছে হাওয়ার ইজ্জত।
অথচ তোমার আদম প্রদত্ত ঝাঁচকচকে দাঁত-
ছিঁড়ে খাচ্ছে হাওয়ার মাংস,হায়েনার মত।
তোমার পচে বিষ্ঠা হয়ে যাওয়া লিঙ্গে-
তুমি শ্লীলতা কেড়ে নিচ্ছো শত হাওয়ার।
তুমি ভাবছো তোমার পুঙ্গশুক্রাণু ছুটে গিয়ে-
লাথি কষাচ্ছে লক্ষ হাওয়ার জড়ায়ুতে।
আর তাই গাঢ বিষাদে, ঠোঁট কামড়ে থাকা হাওয়ার-
চোখ ভর্তি মুক্তোর মত অশ্রুধারা!
চোখ খুলে দেখ, তুই বলৎকার করছিস কাকে?
তাকিয়ে দেখ, তোর গলে যাওয়া লিঙ্গ কোথায়?
চেয়ে দেখ, কার পবিত্র শরীর থেমেআছে এখানে-
একজন হাওয়ার- একজন মায়ের,
একজন হাওয়ার- একজন বোনের,
একজন হাওয়ার- একজন স্ত্রীর,
একজন হাওয়ার- একজন প্রেমিকার!
অথচ এমন হবার কথা ছিল না মোটেই।
এই হাওয়ার দিকে তাকিয়েই আদম-
ভুলে গেছে স্বর্গসুখের সবস্মৃতি।
এই হাওয়ার স্পর্শেই আদম-
পার করে দিয়েছে বীভৎস পৃথিবীর রাত্রি।
এই হাওয়ার শরীরে মিশেছে আদম-
জন্ম নিয়েছে দেবশিশু, পৃথিবীর সন্তান।
এবার সময় হয়েছে, মাথা উঁচু কর আদম সন্তান।
তোমাদের সমন্বিত নিঃশ্বাসে-
ছিঁড়ে যাবে ইবলিশের শিশ্ন,
তোমাদের একত্রিত কষাঘাতে-
চূর্ণ হবে বিষ্ঠাপূর্ণ মগজেরআখড়া,
তোমাদের সুসজ্জিত পদাঘাতে-
উপড়ে যাবে মহাপৃথিবীর কলংক।
এবং তারপর-
এইসব আদম এবং এইসব হাওয়াতে মিলে,
একালের পৃথিবী, ফিরে যাবে সেকালের স্বর্গে!