♦♦ইন্সমনিয়া♦♦
অনেকদিন ঘুমাওনি তুমি, নিস্তদ্ধ আলো থেকে-
... বাকিটুকু পড়ুন
অনেকদিন ঘুমাওনি তুমি, নিস্তদ্ধ আলো থেকে-
... বাকিটুকু পড়ুন
আমি তো পৃথিবীর সন্তান ছিলাম!
তোমাকে আঁকড়ে ধরার অনুভূতিতে ছিল-
কোনো এক তীব্র মহাজাতিক আকর্ষন।
আমাদের উন্মত্ত সঙ্গমে বিনির্মিত হতো-
কোনো রাঙ্গা নক্ষত্র অথবা বোকাসোকা গ্রহ!
আমি তো তোমাকে বলি শূণ্যতার কবি।
তুমি নিমিষেই জন্ম দাও অচেনা আগুণ-
বহু শতাব্দীর বিক্রিয়ায় চাপা যে তাপ।
সে তাপে আমি উত্তপ্ত হই, উদ্দীপ্ত রই!
আমার অহংকারের আতপ্ত বিকিরণে
তুমি নিঃশেষ হও, ঝলসে... বাকিটুকু পড়ুন
বাহ! তুমি এক আদম সন্তান!
তুমি আদমের কাছে থেকে পেয়েছ চোখ,
তোমার গ্রীবা, কুঁচকে ফেলার জন্য ভ্রু।
তুমি আদমের কাছে থেকে পেয়েছ দাঁত,
সর্বভূক হয়ে চিবিয়ে খাচ্ছো সারা দুনিয়া।
তুমি আদমের কাছে থেকে পেয়েছ হাত,
যাকে তাকে লাথি দেয়ার জন্য সবল পা।
তুমি আদমের কাছে থেকে পেয়েছসারা দেহ,
দুশো ছ’টি হাড়ে গড়া জান্তব কংকাল।
তুমি শুধু পাওনি আদমের মগজ,
তোমার... বাকিটুকু পড়ুন
শাশ্বত বলে আদতে কিছুই নেই,
সময়ের মত অস্পৃশ্য শূণ্যও নমনীয়!
এবং মৃত্যু, মৃত্যুর ওপাশের জীবন।
দ্বিখন্ডিত স্বর্গ নরকের মিলতে-
সৃষ্ট পৃথিবীতে উশৃংখল সকল প্রয়াণ।
আনম্য সব লাশের ছায়ায়
মৃত নক্ষত্র লেপ্টে থাকে আঁধার কালোয়।
নির্মল মৃত্যুতে কালো ছাপ পড়ে আছে-
সাদাকালো এক ভবিষ্যৎ সময়কালে!
পরকালের আধা জীবিত আত্মাদের চিৎকারে-
ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয় জীবনযাপন। বাকিটুকু পড়ুন
পৃথিবীর কোনো এক প্রাচীন সময়ে চলে যেতে ইচ্ছে হয়,
যে সময় আমাদের কোমল দেহ কোনো বস্ত্রে আবৃত ছিল না-
বরং আমাদের মন ছিল শুভ্রতার চাদরে ঢাকা, পবিত্রতার পরশ মাখা!
কেউ কেউ বলে এসব নাকি কোনোকালেই ছিল না,
মানুষের লোলুপ থাবার জন্ম আদমের জন্মের পূর্বে, সৃষ্টির বহু আগে-
আর তাই তো এইসব প্রান্তরে মাথা উচু করে... বাকিটুকু পড়ুন
অনুভূতির সংকটে আছি খুব- তোমাকে বলিনি।
তোমার আশেপাশে এই মূহুর্তে আনাগোনা নেই,
তাই ভেবে বসেছো ভালোবাসা উবে গেছে নিমিষেই!
ভালোবাসা চাষ করছি তোমার ভেতরে বারোমাস,
ভালোবাসার পাশেই ছিল হিংসা, দ্বেষের আগাছা
সযত্নে রেখেছিলাম সমস্ত অনুভূতি, হারিয়ে গেছে সব!
তুমি জাপটে ধরছো, নিজেই খেয়ে যাচ্ছো সব চুমু
বুকের ভিতরে লুকিয়ে পড়ছো, নিশ্বাস ফেলছো বুকে!
আমি একবার তোমার পিঠে... বাকিটুকু পড়ুন
আমার বয়স আজ মিনিট-সেকেন্ড হিসেব করে একুশ
কি অদ্ভূত, আমি ভুলে বসে আছি মাতৃ জঠরের দশ মাস!
হাতের কড়া গুনে গুনে তুমি বলেছিলে পূর্ণ আজ অর্ধ যুগ
তুমি ভুলে যাচ্ছো সহস্র মূহুর্তের কথা, স্তব্ধ সময়ের হিসাব!
তোমার মনের জগতে এখন আমার একচ্ছত্র আধিপত্য
বিজয়ী সম্রাটের মত আমি পাল্টে দিচ্ছি সব ইতিহাস! ... বাকিটুকু পড়ুন
ফেনীভূত হয়ে ছিল ভালোবাসা, মাঝ সমুদ্রে,
ভেসে চলে,কোনো এক প্রবাল দ্বীপের খোঁজে।
মহাসমুদ্রের মাঝে, মহাপৃথিবী থেকে বহু দূরে-
তবুও হাহাকার আসে, কিন্নর কন্ঠের আর্তনাদে!
এ চাপা চিৎকার শুনে কেউ হয়তো সৈকতে!
বহু যুগ ধরে সে স্থবির এই বেলাভূমির পাড়ে ... বাকিটুকু পড়ুন
এখানেই পৃথিবীর শেষ সীমানা।
এখানে থাকতে পারতো কোনো উপত্যকা-
আকাশের সাথে মিশে যাওয়ার কয়েক মূহুর্ত!
থাকতেই পারতো সৌম্য স্বভাবের কোনো হ্রদ,
পৃথিবী শেষের গন্ধ তার সারা দেহ জুড়ে।
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারতো সেই নিষিদ্ধ বৃক্ষ,
যে বৃক্ষ আদমকে নামিয়ে এনেছে এই মর্ত্যে। ... বাকিটুকু পড়ুন
তোমাদের জন্য আলোকবর্তিকা হাতে ধরে-
অন্ধকার সভ্যতার ত্রাণকর্তা হবার কথা ছিল!
কিন্তু আটকে পড়েছি কালের অদৃশ্য জালে-
হারিয়ে গেছি মৃত নক্ষত্রের বিষাদ মাখা আঁধারে।
নিভু নিভু পিদিমে আলোর বদলে ছায়ার রেখা।
পিদিম জ্বলছিল মনের মন্দিরে, বিষণ্ণ শিখায়! ... বাকিটুকু পড়ুন
আমি প্রচন্ড ঝড়ের বেগে ছুটছিলাম।
প্রতাপশালী কালবৈশাখী নাকি টাইফুন?
কার গতি ধার করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলাম
তোমার পৃথিবীর এ গলি ও গলি হয়ে,
নিজেই ভুলে বসে আছি এই সময়ে!
তারপর আমি শব্দ হয়ে, সুর হয়ে- ... বাকিটুকু পড়ুন
আমার চতুর্মাত্রিক জীবনে চুরি হয়ে গেছে সময়
তাই নির্ভেজাল ত্রিমাত্রিক জগতে আমার বিচরণ।
আমার ত্রিমাত্রিক পৃথিবীতে হারিয়ে গেছে আকাশ,
তাই একটি সাদা পৃষ্ঠায় শূণ্যতার হাহাকার আমিময়।
আমার দ্বিমাত্রিক অস্তিত্ব থমকে আছে একটি বিন্দুতে
আমি তাই হয়ে পড়ছি বিন্দু, মিশে যাচ্ছি অনন্ত শূণ্যে! ... বাকিটুকু পড়ুন
তোমার চোখের জল দেখে আমি ভাবতে বসিনি-
জলোচ্ছ্বাসে উন্মাতাল প্রশান্ত মহাসাগরের দুকূল,
অথবা ফুলে ফেঁপে উঠেছে সৌম্য বৈকাল হ্রদ!
আমি শুধু অবাক চোখে কল্পনার রঙে দেখি
কাজল ভিজে তোমার আলতো গালে জেগে উঠেছে
ছোপ ছোপ আঁধার রাঙা বিষাদের অজস্র মানচিত্র!
সেই মানচিত্রে সীমান্তের কাঁটাতারগুলো এক হয়ে- ... বাকিটুকু পড়ুন