মধুবালা পড়ে ছিল এক নর্দমার ধারে-
ছিন্ন পোষাকে বহুবার ধর্ষিত হবার পর!
দেশ তখন সদ্য স্বাধীন, চারিদিকে মহা হইহল্লা,
মধুবালার মাথায় তখন শুধুই যুদ্ধশিশুর চিন্তা!
মধুবালার কাছে যুদ্ধ মানে অন্ধকার কারাগার-
যেখানে আলো আসে নয়মাস পর একবার।
মধুবালার কাছে যুদ্ধ মানে ছিল পশুর বীর্যে-
এক নিষ্পাপ শিশু এ পৃথিবীর নরম আলো দ্যাখে!
মধুবালা নিজেই এখন সারা বাংলাদেশ!
বহুবার, বহু শকুনের আঘাতে সে ক্ষত-বিক্ষত,
বহুকাল আঁধারে থেকে সে আজ একদম অন্ধ!
তবুও জমাটবাঁধা ছাইয়ে জ্বলছে তেজদীপ্ত আগুন!
মধুবালা জেগে উঠেছিল দাঁত কামড়ে ধরে-
বহুবছর পর যুদ্ধশিশু এক সেনানায়কের প্রতিচ্ছবি।
হায়েনার থাবা, শকুনের লকলকের জীভ মাড়িয়ে-
একদিন মধুবালা আর বাংলাদেশ হবে একাকার!