এই কান্নার কোনো নাম ছিল না কোনকালে-
এসব কান্না কেঁদেছে মানুষ বহু যুগ আগে থেকে!
কোন তরঙ্গে কান্নার ধ্বনি বুকে বিঁধেছে নিযুত?
কোন পথে গড়িয়ে গেছে এক নদী কান্নার জল?
এ কান্না কিন্তু জারজ হয়ে পৃথিবীর মুখ দেখেনি।
অভিশপ্ত কান্না জন্ম দেয় প্রতাপশালী কোনো সম্রাট,
শিশ্নহীন কোনো চাটুকার দাঁত কেলিয়ে করে যুদ্ধের সূচনা-
বলহীন কোনো নেতা ভাঙ্গা গলায় ডাক দেয় ধবংসের!
তারপর লুকিয়ে পড়ে এক আঁধার করা গর্তে-
তাদের ভয়ংকর হাসিতে কান্নাগুলো চাপা পড়ে অসহ্য ভারে!
তারপর কোনো উদাস কিশোর কিংবা টগবগে যুবক-
মহাসড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে চিৎকার দেয়- 'যুদ্ধে চল'
কান্না কিংবা হাসির সমীকরণ তার তখনো অজানা।
আঘাতে আঘাতে তারা বারবার হেসে ওঠে নিদারূণ,
কোথায় কান্না কোথায় হাসি খুঁজতে যাবার বহু আগেই
কোথায় নরক কোথায় স্বর্গের মাঝে হাতড়ে বেরায় তারা!
আর সেই খুব দুঃখী অনাদরে পড়ে থাকা কান্নারা?
তারা এবার ছড়িয়ে পড়ে জনে জনে! আর তাইতো-
এখন কাঁদছে কোনো মা, এখন কাঁদছে কোনো এক বাবা
কেঁদে চলছে কোনো এক বোন, কেঁদে চলছে কোনো এক ভাই
কান্নায় হাবুডুবু কোনো প্রেমিকা অথবা কোনো নিঃসঙ্গ প্রেমিক।
এসব কান্না তবুও দেয়াল ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসতে পারে না
বদ্ধ ঘরে বারবার চাবুক পিটিয়ে যায় কোমল হৃৎপিণ্ডে!
আর সব সত্যের নৃপতিরা তখনো পৈশাচিক উল্লসিত,
কান্নার গালগপ্প স্রেফ মনে হয় এক রূপকথার গল্প!