কত যে প্রশ্ন, কত যে কথা, হিসেব নাই তার!
চারদিকে শুধু দেখে যাই, কত না অনাচার।
কত যে দেখি কত যে শুনি, মনুষ্যত্বের গান গায়।
পথ মাঝে কোন হীন কাজ দেখে, কত শুধিয়ে যায়।
ঘরে ফিরে সে যদিবা দেখে, ভেঙ্গেছে কাঁচের থালা,
কাজের মেয়ের জীবনে সেদিন নেমে আসে বিষম জ্বালা।
কত যে জীব পায়না খেতে, পায়না ভালো পরতে,
সুশীল সমাজ বলে যায় শুধু- শিক্ষা গ্রহণ করতে।
নাস্তিকেরা, আবার দেখি সাম্যের গান গায়,
মানুষে মানুষে সবাই সমান, কত বুলি শোনায়।
কখনো দেখেনি তাদের আমি মানুষকে ভালবাসতে,
গরীব চাষা ঘরের মাঝে, একবেলা আহার করতে।
বরং আরো দেখে যায়, করে প্রভেদ সৃষ্টি,
বলে যায় শুধু বোঝেনা মূর্খ, ঈশ্বর মানবের সৃষ্টি।
আবার দেখি, ধার্মিকেরা ধর্মের পথে ডাকে,
কত যে পয়সা, করে যে দান উপাসনালয়ের কাজে।
ঈশ্বর এসে দেখে যায়, তাঁর উপাসনালয়ের সাজ,
তাঁর চোখে পড়েনা কভু, বান্দার, নিদারুণ অভাব।
ধার্মিকেরা করে আবার নানা ডিক্রি জারি,
এই শালারা মানুষ না! লাগাও বেতের বাড়ি।
আস্তিক বলো, নাস্তিক বলো, একই ছাঁচে গড়া!
পায়না দরদ কারো কাছে অভাবী হতভাগা।
—নুরুল হুদা
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৮