somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অ্যানিমেলস সাইন্স

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




মানুষ বাদে পৃথিবীর আর কোন প্রাণীই বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে না। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞান সম্পূর্ণভাবেই মানুষের আবিস্কার, মস্তিস্কের বিবর্তনের পথ ধরে এটি টিকে আছে একমাত্র কারণে- যে এটি কার্যকর। এটি নিখুঁত নয়। এটিকে ভুল ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটাই আমাদের ব্যবহৃত সেরা পদ্ধতি যা নিজেই নিজেকে শুধরাতে সক্ষম, এবং চলমান। এর ২টি প্রধান নিয়ম আছে ১- ধ্রুব সত্য বলে কিছু নেই, সবকিছুই যাচাই করতে হবে, ২- প্রমাণ সাপেক্ষে ভুল প্রমানিত হলে সেই তথ্যকে বাতিল করে দিতে হবে। আমাদের অবশ্যই বোঝা উচিত যে মহাবিশ্ব যেমন তেমনই, আমাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।- কার্ল স্যাগান, কজমস

There is no other species on the Earth that does science. It is, so far, entirely a human invention, evolved by natural selection in the cerebral cortex for one simple reason: it works. It is not perfect. It can be misused. It is only a tool. But it is by far the best tool we have, self-correcting, ongoing, applicable to everything. It has two rules. First: there are no sacred truths; all assumptions must be critically examined; arguments from authority are worthless. Second: whatever is inconsistent with the facts must be discarded or revised. We must understand the Cosmos as it is and not confuse how it is with how we wish it to be.- Carl Sagan ( Cosmos )


প্রথম অংশ:

কার্ল স্যাগান কসমস এর "মানুষ বাদে পৃথিবীর আর কোন প্রাণীই বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে না" ... এই অংশটা নিয়ে আমার কিছু বলার আছে। পুরাটাই আমার নিজের ভাবনা, তবে যুক্তিগুলো আমি বর্তমান সময়ের গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতেই দেব।

আমার ধারণা হচ্ছে, মানুষ আমাদের এই পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। এখন কেউ যদি দেখে অনেক প্রাণী তাদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করছে এবং মানুষ পরীক্ষা করে দেখছে যে তারা আসলেই একে অন্যকে সংকেত পাঠাচ্ছে !! এই সিগন্যাল পুরাপুরি অ্যানালাইসিস করার কাজ এখনও চলছে।

আমার জানা মতে, একজন মানুষ তার সামনের কোন ভিজুয়্যাল ইফেক্ট থেকে ব্রেইনে যে সিগন্যাল পায় এবং যে অনুভূতি সে প্রকাশ করে তা অন্যান্য প্রাণী থেকে অবশ্যি আলাদা। তাহলে আমরা কীভাবে অন্যদের ১০০% বিশ্লেষণ করবো। কথাটা তাহলে অনুমান করে বলতে হচ্ছে যে আমরা আমাদের বিজ্ঞানকে আমরা যেভাবে ব্যবহার করি আর সংজ্ঞায়িত করি তা অন্যদের চেয়ে সবসমই আলাদা। এই ধারণাটার বেশ ভাল একটা উদাহরণ স্টিফেন হকিন্সের গ্র্যান্ড ডিজাইন বইয়ের কিছু ব্যাখ্যা।

আবার ফিরে যাই যুক্তি খণ্ডনে, মানুষ নিজেদের মধ্যে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে খুব ভালভাবে যোগাযোগ করতে শিখে ফেলেছে যদিও এই ইতিহাস খুব বেশী দিনের নয়। তাই আজও রয়ে গেছে অনেক অজানা !!

খুব সম্প্রতিকালের দুটা গবেষণার ফলাফল ব্যাখ্যা করলে ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার হবে। আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষক এবং গবেষক কাজ করছিলেন। আসন্ন ঝুঁকিপূর্ণ রোগের জন্য ব্যাকটেরিয়াল অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করায়। আসল ব্যাপার হচ্ছে বিভিন্ন রোগের বাহক প্রতিনিয়ত নিজেদের মিউটেশনের মধ্যমে শক্তিশালী করে তুলে আর তাই একসময় বাজারে প্রাপ্ত সর্বশেষ অ্যান্টিবায়োটিকও অবশ্যই বিফলে যাবে !! তাই দরকার আরো নতুন কোন সমাধান।

এই গবেষণায় তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন। তিনি গবেষণা করে দেখলেন যে, এই ব্যাকটেরিয়াগুলো একে অপরের সাথে যোগাযোগ করছে !! তারা সামগ্রিকভাবে একটা কাজে এগিয়ে যায়। এখন ব্যাপার হচ্ছে কখন এবং কেন। আমাদের দেহে বাসা বেঁধে আছে এমন অসংখ্য প্রজাতি কিন্তু তারা তেমন ক্ষতি করছে না।

এরপর তিনি অনুমান করলেন তারা একটা ক্যামিকেল বা রসায়নিক অণু চারিদিকে ছড়িয়ে দেয় এবং যার কারণে অন্যরা সেটা রিসেপ্টরের মাধ্যমে গ্রহণ করে কি করতে হবে বুঝে ফেলে। এখন সেটা তাদের কোন পর্যায়ের কমিউনিকেশন সেটা জানা নাই এবং কি বলার চেষ্টা করছে তা জানার উপায় তৈরি হয়নি। শুধু অনুমানের উপরে একই ধরণের অণু তৈরি করে তাদের যোগাযোগকে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল একটাই সেটা হল, ওই গবেষণা ল্যাবের প্রায় সব প্রজাতির এই ক্ষমতা আছে !! তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে যাচ্ছে আমরা কেউ সেটা বুঝি না।

তার পরের ব্যাপারটা জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিউটের। সেখানের নিউরোসাইন্স ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে দুটা ইঁদুরকে। তাদের বিশেষ ফ্রিকোয়ন্সির কথাবার্তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু এবারো তেমন বুঝার উপায় নেই। কিন্তু অনুমান করা যাচ্ছে কি ধরণের কথাবার্তা হচ্ছে, হয়ত সামনের দিনগুলোতে তাদের এই কোড মানুষ ভাঙতে পারবে। তখন ব্যাপারটা কেমন হবে সেটাই ভাবার চেষ্টা করি।

আমি জানি আরো প্রমাণ দরকার আমার ধারণাগুলোকে দাঁড় করানোর জন্য। অন্য প্রাণী কি আসলেই বিজ্ঞানের আনন্দ থেকে বঞ্চিত কিনা সেটা শুধু সময়ের ব্যাপার। তবে আমি যখন এটা ভেবে, রেখেছি তখন আমার হাতে প্রমাণ ছিল না বা রিসার্চের ফলাফলগুলো ছিল না।

বাস্তবে আমরা এমনই একটা ঘোরের মধ্যে থাকি যে, নিজের চোখে না দেখলে আমরা সব মিথ্যে ভাবার চেষ্টা করি। অথবা বলি প্রমাণ কোথায়, যেটা আমাদের অনুভূতি আর চিন্তা শক্তিকে ভোঁতা করে দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ড. ইউনুস: এক নতুন স্টেটসম্যানের উত্থান

লিখেছেন মুনতাসির রাসেল, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ড. মুহাম্মদ ইউনুস ধীরে ধীরে রাজনীতির এক নতুন স্তরে পদার্পণ করছেন—একজন স্টেটসম্যান হিসেবে। তার রাজনৈতিক যাত্রা হয়তো এখনও পূর্ণতা পায়নি, তবে গতিপথ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তার প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে মেপে নেয়া,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেয়া তুমি

লিখেছেন দানবিক রাক্ষস, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৩৫

যুদ্ধাহত আমি,
নিয়তি আমায় ফেলে দিয়েছে, পরাজয়ের হাতে,
রক্তে রাঙা পথের শেষে,
শুধু শূন্যতা আর ক্লান্তির গ্লানি।

আমার তলোয়ার আজ মরিচা ধরা,
স্বপ্নগুলো রকাক্ত।
যে চোখ একদিন জ্বলেছিল আগুনে,
সেখানে আজ শুধু অন্ধকার।

হৃদয়ের প্রতিটি কোণে যুদ্ধের ক্ষত,
নিঃশব্দ... ...বাকিটুকু পড়ুন

উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে পালিয়ে গেল আওয়ামী লীগ?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৪০



আওয়ামী লীগের তৈরী করা উন্নয়নের মহাসড়ক অনেক চওড়া হয়েছে। সেই মহাসড়কে বাংলাদেশ উঠার পরেও আওয়ামী লীগ পালানোর রাস্তা পেল।অবশ্য তাদের কতিপয় বেকুব ধরা খেয়ে এখন জেলে আছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৫ এর শুভেচ্ছা

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৫ এর শুভেচ্ছা

ছবি, অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

প্রিয় সহব্লগারবৃন্দ,

দেখতে দেখতে পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৫ আমাদের দোরগোড়ায়। আনন্দ-বেদনা, উৎসব-চিন্তার মিশেলে এই ঈদ এসেছে আমাদের মাঝে। সবাইকে জানাই আন্তরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর কেমন হলো ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৮


প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এখনো চীন সফরে রয়েছেন। চীন সফর কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এক শ্রেনীর মানুষের মধ্যে ব্যাপক হাইপ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন সাসেক্সফুল সফর আর কোনো দলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×