রশিদ ক্লাশ ফাই পড়ে। একদিন ক্লাশে স্যার ইতিহাসের চ্যাপ্টার পড়ানোর সময় একটি লাইন এমন ছিল, আততায়ীর হাতে সম্রাট খুন হলেন।
এভাবে টিভি, পত্রিকা,ইতিহাস বইয়ের মাধ্যমে বেশ কিছু আততায়ীর দ্বারা সংঘটিত কর্ম সম্বন্ধে রশিদ জানতে পারলো।
মনে অনেক প্রশ্ন থাকলেও বিভিন্ন কারনে প্রশ্ন করা হয়ে উঠে নি রশিদের।
রশিদ অনেক বড় হয়ে গেছে, সে এখন চাকুরী করে।
একদিন অফিসে দুপুরের লাঞ্চের বিরতিতে সবাই একসাথে বসে লাঞ্চ করছে। এমন সময় লাঞ্চরুমে রাখা টিভিতে সংবাদ পাঠক বলে উঠলো,
"গতকাল রাতে আততায়ীর হাতে ব্যাবসায়ী খুন।"
খবরটা শুনে রশিদ সাহেব আর চুপ থাকতে পারলো না। প্রচন্ড রাগ আর বিস্ময় মাখানো কন্ঠে বলে উঠল,
"সালা, আততায়ী!! কি হারামী! বছরের পর বছর মানুষ খুন করতেছে কেউ ধরতেই পারতেেছ না। আর শয়তানটার আয়ু কত রে!! সেই মোগল সাম্রাজ্য থেকে আজ পর্যন্ত দিব্যি বেঁচে আছে আবার মানুষও খুন করতেছে। আল্লাহ্ ভাল মানুষ গুলা নিয়ে খারাপ গুলা বাঁচিয়ে রাখে।"
উনার এহেন কথা শুনে কলিগরা তো সব হতভম্ব। একজন বললো, রশিদ ভাই কি বলছেন এসব?
রশিদ সাহেব বললো, আচ্ছা এই আততায়ী মানুষটা এতদিন কিভাবে বেঁচে আছে?
(রশিদ সাহেবকে এখন কে বোঝাবে যে, 'আততায়ী' কোন মানুষের নাম নয়।)
মোরাল: মাথায় প্রশ্ন আসলে সেটা সাথে সাথেই করা উচিত। সব বয়সে সব প্রশ্ন মানায় না।