বাঙালি কথা বলতে ভালোবাসে।কারনে অকারনে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে।কথা বলা ছাড়া বাঙালির পেটের ভাত হজম হয় না।ইউরোপীয়ানদের প্রানের ধর্ম যাদ কাজ হয়, তবে বাঙালির প্রানের ধর্ম কথা বলা।তাও শুধু কথা বলা নয় অতি কথা বলা।আর তাই মোবাইল নামক আশীর্বাদক বস্তুকে যেখানে কথা বলে তার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করার কথা সেখানে শুধু কথা বলেই বাঙালি ান্ত হচ্ছে না বরং অতি কথার মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে তারা।যার কারনে উন্নত বিশ্বের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলো আজ বিস¥য়ের চোখে বাঙালিকে দেখছে।শুধু দেখছেই না ফুলের মধুর লোভে মৌমাছি যেভাবে ছুটে আসে ঠিক সেই ভাবেই বিদ্যুত গতিতে তারা ছুটে আসছে বাঙালিকে পিঠে চাপড় মেরে বাহবা দিচ্ছে।ব্যবস্থা করে দিচ্ছে আরো কথা বলার। বাঙালিও তাদের লোভনিয় অফারের গর্তে পড়ে কথা বলে যাচ্ছে অবিরত।আর অন্য দিকে মোবাইল কোম্পানিগুলো বাঙালি দরিদ্র জনগনের অর্থ হাতিয়ে মুনাফা করছে ইচ্ছেমতো,পাচার করছে অর্থ নিজ নিজ দেশে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৪ কোটিরও অধিক লোক মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।যা বাংলাদেশের মত একটি দরিদ্র দেশের জন্য বিস¥য়কর ব্যাপার।পৃথিবির অন্যান্য দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে মোবাইলের এত বিস্তার ঘটছে কিনা তা একটা প্রশ্নসাপে ব্যাপার।কিন্তু বাংলাদেশে মোবাইলের ব্যবহার যে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তা দিনের আলোর মতোই সত্য। মোবাইলের উত্তরোত্তর ব্যবহার এদেশের মানুষের জন্য কল্যনের ব্যাপার হলেও তা এখন আর কল্যান হিসেবে থাকছে না,বরং তা অকল্যান হিসেবেই পরিগণিত হচ্ছে।এদেশের মানুষের কথা বলার মতা দেখে সারা বিশ্বের মোবাইল কোম্পানিগুলো বিসি¥ত।তারা কথার ব্যবসা করার জন্য বাংলাদেশে ছুটে আসছে। বাঙালিরাও তাদেরকে ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে।যার ফলে বহুজাতিক মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রায় অনায়াসেই এদেশের মানুষের মুনাফা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে।এর জন্য তাদেও কোন সমস্যা হচ্ছে না।বরং আমরাই তাদেরকে বিভিন্ন সুযোগ করে দিচ্ছি। স¤প্রতি গ্রামিনফোন শেয়ারবাজারে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।যা আমাদের জন্য একটা সুখবর বটে। এর ফলে তাদের ৩০ শতাংশ সম্পদের মালিকানা বাংলাদেশ লাভ করবে।যদিও দুঃখের বিষয় এখনও অন্য মোবাইল কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারের ধারে-কাছেও নেই।ফলে এদেশের জনগণের সম্পদ এদেশে থাকছে না।চলে যাচ্ছে উন্নত দেশসমূহে।যা কোনভাবেই কাম্য নয়।এদেশের সম্পদকে রার জন্য জনগণকেই সচেতন হতে হবে।না হলে আমাদের দেশের মত কাঙাল দেশগুলোকে স্বপ্ন দেখিয়ে সবকিছু নিয়ে ভাগবে ঐ তথাকথিত উন্নত এবং আধুনিক বিশ্ব।
তাই দেশের সম্পদ রায় সকলেরই ঐক্যবদ্ধ এবং সচেতন হওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা না বলে দেশের মূল্যবান সম্পদ রায় সকলেই এক হন-এই আমার একান্ত কামনা।