মোবাইল! নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের জন্য এক বৈপ্লবিক বস্তু। আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে মোবাইল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করেছে এই মোবাইল ।এর মাধ্যমে মানুষের হাতে হাতে পৌছে গেছে আধুনিক বিশ্বের তথ্য প্রযুক্তির দ্বার-ইন্টারনেট মোবাইলের বহুমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের সামাজিক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তিত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রায় ৪ কোটিরও অধিক লোক মোবাইল ব্যবহার করছে। যা আমাদের মত একটি দরিদ্র দেশের জন্য ইতিবাচক দিক।একদিকে মানুষের আর্থিক সমতা যেমন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।অন্যদিকে মানুষের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশও দ্রুততর হচ্ছে। তাই মোবাইলকে অবধারিত ভাবেই এদেশের জন্য আশীবার্দ বলা যেতে পারে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় মোবাইলের অপব্যবহারের কারনে আজ তা আমাদের জন্য আশীবার্দ না হয়ে ভয়াবহ অভিশাপ বয়ে নিয়ে আসছে।মোবাইল কোম্পানিগুলোর দায়িত্তজ্ঞানহীন তথাকথিত লোভনীয় অফারের কারনে তরুন সমাজ তাদের মূল্যবান সময়,প্রতিভা এবং তারুন্য হারাতে বসেছে।রাত ১২ টার পর কম খরছে কথা বলার সুযোগে তরুনেরা কারনে অকারনে কথা বলে একদিকে অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে,অন্যদিকে পুরোটা রাত নির্ঘুম কাটাচ্ছে।এভাবে রাতের পর রাত অর্থ অপচয় করে জেগে কাটানোর ফলে যেমন তাদের অর্থ নষ্ট হচ্ছে তেমন তাদের শারিরিক ও মানসিক ক্ষতিসাধন হচ্ছে।যা কখনোই পূরনযোগ্য নয়।কিন্তু তরুন সমাজ এর প্রতি স্বভাবতই অমনোযোগী। ফলে তাদের যে আর্থিক,মানসিক ও শারিরিক ক্ষতি হচ্ছে তা শুধু তাদেরই ধ্বংস করছে না,বরং জাতির জন্য বয়ে নিয়ে আসছে এক ভয়াবহ অভিশাপ।তরুনরাই জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার।তারা যদি নিজেরাই এভাবে ধ্বংস হয়ে যায় তবে দেশ,সমাজ,রাষ্ট্র অনিবার্যভাবেই পঙ্গু হয়ে পড়বে যা কোনভাবেই কাম্য নয়।তাই তরুন সমাজের প্রতি আহবান-শুধু রাতই নয়,দিনেও মোবাইলে কথা বলার মাত্রা কমিয়ে আনুন।যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কথা বলুন।নিজেকে বাঁচানোর মাধ্যমে দেশ ও দেশকে বাঁচাতে সাহায্য করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৩৫