লিবিয়াতে গাদ্দাফি পরিবারের বাসায় কর্মরত ছিলেন এক ইথিওপিয়ান নারী। সামান্য কারণে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন গাদ্দাফির ছেলে হানিবাল গাদ্দাফির স্ত্রী। পাশবিক নির্যাতনে অসুস্থ সেই পরিচারিকাকে লুকিয়ে একজন গার্ড হাসপাতালেও পাঠালেও হানিবাল গাদ্দাফির স্ত্রী তাকে ফেরত নয়ে আসেন। সেই বাসায়ই কর্মরত ছিলেন এক বাংলাদেশি তরুণ।
বিদ্রোহীরা ত্রিপোলি আক্রমণের পর গাদ্দাফি পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়। থেকে যান পরিচারক-পরিচারিকারা। নিজে মুক্তি পেয়েও নির্যাতনে গুরুতর আহত ইথিওপিয়ান সহকর্মীকে সাহায্য করবার জন্য দেশের পথে যাত্রা করেননি বাগেরহাটের তরুণ ইখলাসুর রহমান। থেকে গেছেন ত্রিপোলিতে।
ইখলাসুরের এই কাহিনি গত ২৪ অগাস্টের কালেরকণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছিলো। গতোকাল সিএনএনের ড্যান রিভারস গাদ্দাফি পরিবারের সমুদ্রতীরবর্তি ভিলায় গিয়ে ঐ ইথিওপিয়ান পরিচারিকাকে দেখতে পান। এমন নৃশংস নির্যাতন নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। উল্লেখ্য বছরকয়েক আগে সুইস এক পরিচারিকাকে নির্যাতনের দায়ে হানিবাল গাদ্দাফি ও তার স্ত্রী সুইজারল্যান্ডে পুলিশে হাজতে ছিলেন দিনকয়েকের জন্য।
সিএনএনের ড্যান রিভারসের রিপোর্ট: Click This Link
Click This Link
সাথে ছিলেন আমাদের ইখলাসুর রহমান। যদিও ড্যান রিভারসের কাছে তিনি নাম বলেননি, হয়তো গাদ্দাফি বাহিনির কিলিং স্কোয়াডের টার্গেট হবার শংকায়।
বাঙালি তরুণ ইখলাসুর রহমানকে তাঁর সহমর্মিতার জন্যে স্যালুট।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০৯