লেখাটি কপি-পেস্ট, খুব ই ভালো লেগেছে, এবং সত্যিকারের যুক্তি সঙ্গত বলে দিলাম।
ধর্ষন জায়েজ-বলেছেন নাস্তিকপালরা
by MuZahid Rasel on Thursday, July 21, 2011 at 2:18pm
ধর্ষন ও নাস্তিকতা
জানে না তো কেউ পৃথিবী উঠছে কেঁপে
ধরেছে মিথ্যা সত্যের টুঁটি চেপে,
আজকাল সমাজের বিভিন্ন রকম চালচিত্র দেখলে কবি সুকান্তের লেখাটার বাস্তবতা লক্ষনীয়। বাইবেলের ভাষ্য অনুযায়ী যীশু বলেছেন, কিছু মানুষের চোখে কাঠ থাকলেও আরেক জনের চোখের কুটা নিয়ে ব্যস্ত। নিজের দীনতাকে উপলব্ধি না করে আরেকজনের পিছনে লেগে কিছু বাহবা আর কিছু মানুষকে পথভ্রষ্টতার দিকে ঠেলে দেয়া ছাড়া অন্য কোন সফলতা আছে কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ।
আজকালকার গরম ইস্যু,পত্রিকার দৈনন্দিন অনিবার্য খবর “‘ধর্ষন” নিয়ে’ সকলেই যে যার মত মতামতের পসরা সাজাতে ব্যস্ত থাকলেও খুব কম লোকই কারন নিয়ে কথা বলেছে। ‘”আমি আরো বেশি রেপিস্ট চাই”’ শিরোনামে DJ মার্কা কিছু উর্বরমস্তিষ্ক প্রদত্ত উপলব্ধি পাবলিকের গলাধঃকরন দেখে কিছুটা তাজ্জব হলাম। আরও তাজ্জব হলাম যখন দেখলাম তার Religious views হচ্ছে atheist .দেশের বিভিন্ন গরম ইস্যু নিয়ে বাংলার নাস্তিক, মুক্তমনা(?!) বুদ্ধিজীবী (?!)দের বিভিন্ন মিডিয়াতে শাখমৃগসম শারিরীক কসরত দর্শন করলেও এ ইস্যু নিয়ে নাস্তিকেরা কিছুটা নিষ্প্রভ। দু-একজন একে ইসলামকে আক্রমনের ইস্যু হিসেবেও নিয়েছে। যারা হিজাবের কথা বলে ধর্ষন, ইভটিজিং কিছুটা রোধের কথাবলে এসকল নাস্তিকরা শুধু তাদের নিয়েই কথা বলছেন। আর কিছু নাস্তিক যারা এ বিষয়টা নিয়ে কথা বলছেন ,তারা হয়ত নাস্তিকতার দৃষ্টিভঙ্গি জানে না।
নাস্তিকরা নিজেদেরকে সবসময় ““মানবতাবাদী”” হিসেবে দাবী করলেও Rape, Abortion, murder,Genocide কিংবা Status of women এসকল বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানলে হয়ত আপনি ও এ শব্দটির আগে “অ” উচ্চারনে বাধ্য হবেন। সষ্টার অস্তিত্বে অবিশ্বাসের কারনে তাদের Morality সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইতিহাসবিদ Niall Fergusan বলেছেন-
“ধর্মবিহীন একটা মানুষের কোন নৈতিক কাঠামো থাকতে পারে না””
আর এজন্যই হয়ত দার্শনিক ভলটেয়ার বলেছিলেন-
“If God did not exist, it would be necessary to invent him.”
সেজন্যই এক নাস্তিককে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ “ যদি ঈশ্বর ধর্ষন নিষেধ না করে থাকেন তাহলে ধর্ষন কেন নিষিদ্ধ হবে?”
নাস্তিকদের জন্য আসলেই অনেক কঠিন একটা প্রশ্ন সে উত্তর দিয়েছিল কারন- এতে ধর্ষিতা কঠিন ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ধর্ষিতা ব্যথা অনুভব করে, স্বাধীনতা হরন হচ্ছে। তাই ধর্ষন নিষিদ্ধ।
তাকে যখন আবারো প্রশ্ন করা হলো-
1. আরেক জনের ক্ষতি করা কেন অমানবিক?
2. আরেক জনকে ব্যথা দেয়া কেন অমানবিক?
3. আরেক জনের স্বাধীনতা হরন কেন অমানবিক?
‘Survival of the fittest’বা “শক্তিমানের মজা লুটা কন্সেপ্ট”ও বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী আমার বংশপরম্পরায় রক্ষাই যদি একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে এই মানবতা নামক বেলকীবাজীকে আমি কেন গ্রহন করব?
ওই নাস্তিক সম্ভবত আমাদের সমাজের স্বল্পবু্দ্ধিসম্পন্ন হুজুগে নাস্তিক। তাই ধর্ষনসম্পর্কে তার সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি জানা নাই। বিবর্তনবাদ নামক অপবিজ্ঞান এবং বিভিন্ন নাস্তিকদের পরম পূজনীয় নবী-রাসূলরা কি বলেন? আমি নাস্তিকদের অনুসরনীয় নবী-রাসূল বলাতে হয়ত আমার সম্পর্কে অনেক মুসলিমরা কিছুটা মাথা চুলকে ভুল ধারনায় পড়ে গেছেন। না ভাই আমি মিথ্যা বলছি না। Darwin, Dawkins, Sam Haris, Hitchens হচ্ছে নাস্তিকদের পরম পূজনীয় ও অনুসরনীয় নবী-রাসূল । এদেরকে অন্ধভাবে অনুসরন করে নাস্তিকরা ব্যক্তিপূজার এক চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছে। এবং আমিও এদেরকে নবী-রাসূল হিসেবেই মানি । আমি বিশ্বাস করি ওদের কাছেও ওহী আসে। এতক্ষনে নিশ্চয় মুসলিম পাবলিকদের চোখ ছানাবড়া।
আরে ভাই আমি বলছি না। আল্লাহ বলছেন। কি বলছেন শুনবেন? আল্লাহ বলেছেন-
নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ করে,সুরা আনআম-১২১
এদের কাছে সত্যিই ওহী আসে। তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে নয় শয়তানের পক্ষ থেকে। আর এরা হল “
”রাসূলুশ্শয়তান””
নারীবাদীরা বেশিরভাগ ধর্ষনের ক্ষেএে পুরুষের আধিপত্যকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখান। অনেক ক্ষেত্রে কথাটা সত্য, biologically তাদের শক্তির পার্থক্য থাকলেও নারী ও পুরুষ একই পিতা মাতা থেকে উদ্ভুত। তাই ইসলাম তাদেরকে সমান চোখে দেখে। Theory of evolution নারীদেরকে এক inferior race এবং পুরুষদেরকে superior race হিসেবে দেখিয়ে বিজ্ঞান নামের অপবিজ্ঞান ব্যবহার করে গরম তেলে পানি ঢেলে দিয়েছে। কোন কোন বিবর্তনবাদীতো নারী ও পুরুষকে যথাক্রমে homo parientalis ও homo fronatils এ উপপ্রজাতিতেও ভাগ করে ফেলেছেন। এর উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি কি?
আসুন বিবর্তনবাদীদের অন্যান্য লেখালেখির দিকে একটু দৃষ্টি নিবন্ধ করি। The descent of Man বইতে
ডারউইন মহিলাদের অনেক characteristics কে নিম্ন race এর characteristics বলে উল্লেধ করেছে্ন।(১)
ডারউইন বিয়েকে কি কারনে গ্রহনযোগ্যতা দিয়েছেন জানেন?
“একটা নারীর বন্ধুত্ব একটা কুকুরের বন্ধুত্বের চেয়ে উত্তম বলে”।
Cart vogt নারীদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন
“তারা নারীদের পুরুষদের তুলনায় পশুদের বেশি নিকটতর বলে উল্লেখ করেছেন”।“(2)
Social psychology এর একজন অন্যতম পতিষ্ঠাতা বির্বতনবাদী Le Bon বলেছেন
“পুরুষের উন্নত মস্তিষ্কের তুলনায় প্রচুর পরিমান মহিলাদের মস্তিষ্কের size,Gorilla এর কাছাকাছি।“(3)
শুধু তাই নয় তিনি আরো বলেছেন-
“নারীরা নিকৃষ্টতর মানব বিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে””।
ইসলাম যেখানে নারী ও পুরুষকে সমান রুপে সৃষ্টি করেছে সেখানে তথাকথিত নাস্তিক বুদ্ধিজীবী(?!) মুক্তমনারা (?!)নারীদেরকে সৃষ্টির কোন স্তরে নামিয়ে দিয়েছে একটু ভাবতে হবে। তারপরও যখন দেখি কিছু নারীরা জিন্স, টিশার্ট আর চুলে বব কাট করে মুক্তমনা (?!), নাস্তিকতা আর সমাজতান্ত্রিকতার বুলি আওরায় তখন সত্যিই অবাক লাগে। তারা কি এসকল বিষয় জানে না?
জানে না মানে অবশ্যই জানে। আর জানে বলেই তো সেটাকে বাস্তবায়িত করার জন্য সবকিছুকে পুরুষের ছাঁচে গড়ার এ ব্যর্থ আস্ফলন। পোশাক আর চলাফেরা পরিবর্তন করে গোলাপের রজনীগন্ধা হওয়ার খায়েস কতটুকু পূরন করতে পারবে জানি না, তবে এতে যে গোলাপ তার স্বাতন্ত্র হারিয়ে আর্কষণীয়তায় ভাটা পড়বে এবিষয়টা নিশ্চিত। কুরআন বলে-
যে লোক পুরুষ হোক কিংবা নারী, কোন সৎকর্ম করে এবং বিশ্বাসী হয়, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রাপ্য তিল পরিমাণ ও নষ্ট হবে না।সুরা নিসা-১২৪
হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার।সুরা হুজুরাত-১৩
আল্লাহর কাছে নারী পুরুষ সমান আর মর্যাদার মাপকাঠি হচ্ছে তাকওয়া।
নারী যদি গরিলাসম , পশুসম হয়ে থাকে তাহলে Survival of the fittest নীতিতে তার থেকে কিছু মজা লুটার মধ্যে অনৈতিকতা কি থাকতে পারে?আমরা কি উদোরপূর্তি করার জন্য পশু জবাই করি না?মুখোতুষ্টির জন্য পশু জবাই দিতে পারলে যৌনতুষ্টির জন্য নারীদের কিছুটা ব্যথা কিংবা কষ্ট দেয়ার মধ্যে সমস্যা কি থাকতে পারে?যতদূর মনে পড়ে রবী ঠাকুর বলেছিলেন ধর্ষন মেনে নেয়া ছাড়া অন্য কোন পথ না থাকলে ধর্ষনকে উপভোগ করাই শ্রেয়।তার মানে ধর্ষনকে ও উপভোগ্য করা যায়।শুধু দৃষ্টিভংগীর পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
তার মানে হচ্ছে ধর্ষনে কোন সমস্যা নেই?
না নেই। সে কথাই তো নাস্তিক stooges ,Dawkins,Sam Harris রা ফলাও করে প্রচার করছে।
Sam Harris বলেছেন-
”ধর্ষনের চেয়ে প্রাকৃতিক কিছু নেই। কিন্তু এটা খারাপ এবং সভ্য সমাজের সাথে সামান্জস্যপূর্ন না
এবিষয়টা সবাই মেনে নেবেন কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষদের এতে বিবর্তনীয় সুবিধা ছিল””।(4)
তিনি আরো বলেছেন
“আমাদের এমন কিছু আছে যেগুলো আমাদের নীতিতে বাঁধলেও তা প্রাকৃতিকভাবে বাছাইকৃত। যেমন-ধর্ষনের চেয়ে প্রাকৃতিক কিছুই নাই। মানুষ ধর্ষন করে ,শিম্পাঞ্জী ধর্ষন করে, ওয়াংওটার ধর্ষন করে। ধর্ষন পরিষ্কারভাবে বিবর্তনীয় কৌশলেরই একটি অংশ”।(5)
এতবড় প্রাকৃতিক লাইসেন্স দিয়ে Sam Harris ধর্ষনকে খারাপ বললেও ক্ষুধার্ত মানব কতক্ষন আর বুভুক্ষু থাকবে? না কখনোই মানবতা নামক অদৃশ্য শিকলের ভেলকিবাজি তাদেরকে কখনই থামাতে পারবে না।
প্রিমিয়ার রেডিও Unbelievable Programme এর উপস্থাপন Justin Brierley প্রখ্যাত নাস্তিকগুরু Dawkinsকে Rape নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি Rape কে Morally arbitrary বলেছেন।
জীববিজ্ঞানী ম্যাট রিডলী ও তার “গুনের উৎস” বইতে বলেছেন ধর্ষন অতীতে বিবর্তনের জন্য উপযোজনীয় ছিল।
আমাদের মুক্তমনার লেখক মহাশয়েরাও ফলাও করে ধর্ষনকে একটি বিবর্তনীয় ধারা হিসেবে প্রচার করেছেন। অপার্থিব জামানের এক আর্টিকেলে তিনি লিখেছেন
”অনৈতিকতা বা নীতিহীনতা বিবর্তনের এক অনিবার্য্য পাশ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত ক্ষতি। কিছু পাশ্বপ্রতিক্রিয়া আবার ক্ষতি বা ধ্বংস নাও করতে পারে। বিবর্তনের ক্ষেত্রে ও অনেকটা সেরকম ঘটে। বিবর্তনের একমাত্র উদ্দেশ্য হল উদ্বর্তন ও বংশানু সর্বত্তারন, এই উদ্দেশ্য সাধনের প্রক্রিয়ার কিছু অপ্রত্যাশিত উপজাত উৎপন্ন হতে পারে বিবর্তনের ভাষায় এগুলোতে স্প্যান্ড্রেল বলা হয়। ইমারতের ছাদের ধুনুকাকৃতির খিলান তৈরীর সময় ত্রিকোনকৃতি যে অপ্রয়োজনীয় অংশ অনিবার্য্যভাবে তৈরী হয়ে যায় তাকেই স্থাপত্যবিদ্যায় স্প্যান্ড্রেল বলা হয়। বিবতর্নের এ অনৈতিক প্রবৃত্তির স্প্যান্ড্রেলের একটি উদাহরন হল ধর্ষন ।এই প্রবৃত্তি যে এখনো টিকে আছে তার কারন উপযোজন পরিপন্থী না”
এভাবে ধর্ষনকে প্রাকৃতিক একটা কায়দা বা প্রক্রিয়া প্রমান করে ধর্ষনের যে ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে দিলেন তা সত্যিই অবাক করার মত তাও আবার বিবর্তনের মত অপবিজ্ঞানেকে বিজ্ঞানের নামে চালিয়ে দিয়ে। বিবর্তনবাদীরা পার্থিব জামানের কথা অনুযায়ী ধর্ষন ন্যাচারাল এবং সামাজিক সাম্যাবস্থার জন্য এটা অপরিহার্যও বটে। এরকম একটা আত্মঘাতী সমাজ বিনষ্টকারী ideology কে আমরা চোখ বন্ধ করে গলাধঃকরন করে নিচ্ছি একবারও আমার বোন, মা, স্ত্রী কিংবা সমাজের কথা চিন্তা করছি না। এ মতবাদ যদি সময় প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে এ পৃথিবীতে বসে যে নরকের স্বাদ নিয়ে নেব সে বিষয়টা সন্দেহাতীত। বিংশ শতাব্দী নাস্তিতকতার চরম নৈতিক অধঃপতন অবলোকন করেছে। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ মতবাদ ১০০ মিলিয়ন এর মত মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
অনেক নাস্তিক হয়ত লেখাটি পড়ছেন আর আমাকে ভড়কে দেওয়ার জন্য মনে মনে একটা প্রশ্নের ফান্দি আঁটছেন।
তাহলে মুসলিমরা কিংবা যারা ধর্ম মানে তারা কেন Rape করে? মাদ্রাসার হুজুর কিংবা খ্রিষ্টান Father তো এ কাহিনী করে ধরা খাচ্ছে। এ প্রশ্নটি অতীব বুদ্ধিদীপ্ত মনে হলেও প্রশ্নটি অতীব সাধারন এবং শিশুসুলভ প্রশ্ন।
আমি এখানে Ideology নিয়ে কথা বলছি, কোন পিতার ideology ভাল থাকার পরেও তার সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে না পারলে এর দায়ভার পিতার উপর না। কিন্তু পিতার Ideology খারাপ এবং সন্তানের Ideology ও কাজকর্ম খারাপ হয়ে গেল তাহলেই সমস্যা।
ইসলামে এরকম কোন নৈতিকতা পোষন করে না যাতে ধর্ষনকে ঠিক মনে করা হয়। কেউ যদি কুপ্রবৃত্তির তাড়নায় ধর্ষন করেও ফেলে ইসলামের জুডিশিয়ারী সিস্টেম মৃত্যুদন্ড নামক কঠিন শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে। অপরদিকে নাস্তিকপালরা একনিষ্ঠভাবেই ধর্ষনকে জায়েজ ও প্রাকৃতিকভাবে হচ্ছে বলতে শুরু করেছে। তাহলে তাদের পরিচালিত ব্যবস্থায় ধর্ষিতার আইনের বিচার পাওয়া যে আকাশ-কুসুম চিন্তা ছাড়া কিছুই নয় তা সহজেই অনুমেয়।
একবিংশ শতাব্দী আজ এমন একটা মতবাদ চায় যার আদর্শের বহ্নি সকলরকম অনাচার, অবিচার আর অমানবিকতাকে পুড়ে ছাই করে দিয়ে মানবতার উজ্জ্বল আলোয় পৃ্থিবীকে আলোকিত করবে। ইসলামই একমাত্র সেই বহুপ্রতীক্ষিত মতবাদ যার জন্য এশতাব্দী অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান এবং মুসলিমরাই একমাত্র জাতি যা মানবতার পতাকা নিজ হাতে তুলে নিয়ে ওড়ানোর জন্য প্রস্তুত। সেজন্যই তো আল্লাহ তা আলা কুরআনে মুসলিমদের সৃষ্টি মানবতার জন্যই বলে উল্লেখ করেছেন।
“তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে”সুরা আলে ইমরান-১১০
Allah Knows da Best------------
**ধর্ষনের সমাধান কি তা জানার জন্য আমার আগের দুইটা নোট পড়তে পারেন
**অনুগ্রহপুর্বক কমেন্টে কেঊ slang laguage use করবেন না।যৌক্তিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় আসুন।
Footnotes
1.Darwin, The Descent of Man and Selection in Relation to Sex, New York: D. Appleton and Company, 1871 (1896 ed.), p. 326
2 Carl Vogt, Lectures on Man: His Place in Creation, and the History of Earth, edited by James Hunt, London: Paternoster Row, Longman, Green, Longman, and Roberts, 1864, xv, p. 192
3. Ibid., pp. 104-105
4. Wired Magazine online: Gary Wolf, The Church of the Non-Believers
5. ABC Radio National,
ধর্ষন জায়েজ-বলেছেন নাস্তিকপালরা
by MuZahid Rasel on Thursday, July 21, 2011 at 2:18pm
ধর্ষন ও নাস্তিকতা
জানে না তো কেউ পৃথিবী উঠছে কেঁপে
ধরেছে মিথ্যা সত্যের টুঁটি চেপে,
আজকাল সমাজের বিভিন্ন রকম চালচিত্র দেখলে কবি সুকান্তের লেখাটার বাস্তবতা লক্ষনীয়। বাইবেলের ভাষ্য অনুযায়ী যীশু বলেছেন, কিছু মানুষের চোখে কাঠ থাকলেও আরেক জনের চোখের কুটা নিয়ে ব্যস্ত। নিজের দীনতাকে উপলব্ধি না করে আরেকজনের পিছনে লেগে কিছু বাহবা আর কিছু মানুষকে পথভ্রষ্টতার দিকে ঠেলে দেয়া ছাড়া অন্য কোন সফলতা আছে কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ।
আজকালকার গরম ইস্যু,পত্রিকার দৈনন্দিন অনিবার্য খবর “‘ধর্ষন” নিয়ে’ সকলেই যে যার মত মতামতের পসরা সাজাতে ব্যস্ত থাকলেও খুব কম লোকই কারন নিয়ে কথা বলেছে। ‘”আমি আরো বেশি রেপিস্ট চাই”’ শিরোনামে DJ মার্কা কিছু উর্বরমস্তিষ্ক প্রদত্ত উপলব্ধি পাবলিকের গলাধঃকরন দেখে কিছুটা তাজ্জব হলাম। আরও তাজ্জব হলাম যখন দেখলাম তার Religious views হচ্ছে atheist .দেশের বিভিন্ন গরম ইস্যু নিয়ে বাংলার নাস্তিক, মুক্তমনা(?!) বুদ্ধিজীবী (?!)দের বিভিন্ন মিডিয়াতে শাখমৃগসম শারিরীক কসরত দর্শন করলেও এ ইস্যু নিয়ে নাস্তিকেরা কিছুটা নিষ্প্রভ। দু-একজন একে ইসলামকে আক্রমনের ইস্যু হিসেবেও নিয়েছে। যারা হিজাবের কথা বলে ধর্ষন, ইভটিজিং কিছুটা রোধের কথাবলে এসকল নাস্তিকরা শুধু তাদের নিয়েই কথা বলছেন। আর কিছু নাস্তিক যারা এ বিষয়টা নিয়ে কথা বলছেন ,তারা হয়ত নাস্তিকতার দৃষ্টিভঙ্গি জানে না।
নাস্তিকরা নিজেদেরকে সবসময় ““মানবতাবাদী”” হিসেবে দাবী করলেও Rape, Abortion, murder,Genocide কিংবা Status of women এসকল বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানলে হয়ত আপনি ও এ শব্দটির আগে “অ” উচ্চারনে বাধ্য হবেন। সষ্টার অস্তিত্বে অবিশ্বাসের কারনে তাদের Morality সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইতিহাসবিদ Niall Fergusan বলেছেন-
“ধর্মবিহীন একটা মানুষের কোন নৈতিক কাঠামো থাকতে পারে না””
আর এজন্যই হয়ত দার্শনিক ভলটেয়ার বলেছিলেন-
“If God did not exist, it would be necessary to invent him.”
সেজন্যই এক নাস্তিককে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ “ যদি ঈশ্বর ধর্ষন নিষেধ না করে থাকেন তাহলে ধর্ষন কেন নিষিদ্ধ হবে?”
নাস্তিকদের জন্য আসলেই অনেক কঠিন একটা প্রশ্ন সে উত্তর দিয়েছিল কারন- এতে ধর্ষিতা কঠিন ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ধর্ষিতা ব্যথা অনুভব করে, স্বাধীনতা হরন হচ্ছে। তাই ধর্ষন নিষিদ্ধ।
তাকে যখন আবারো প্রশ্ন করা হলো-
1. আরেক জনের ক্ষতি করা কেন অমানবিক?
2. আরেক জনকে ব্যথা দেয়া কেন অমানবিক?
3. আরেক জনের স্বাধীনতা হরন কেন অমানবিক?
‘Survival of the fittest’বা “শক্তিমানের মজা লুটা কন্সেপ্ট”ও বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী আমার বংশপরম্পরায় রক্ষাই যদি একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে এই মানবতা নামক বেলকীবাজীকে আমি কেন গ্রহন করব?
ওই নাস্তিক সম্ভবত আমাদের সমাজের স্বল্পবু্দ্ধিসম্পন্ন হুজুগে নাস্তিক। তাই ধর্ষনসম্পর্কে তার সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি জানা নাই। বিবর্তনবাদ নামক অপবিজ্ঞান এবং বিভিন্ন নাস্তিকদের পরম পূজনীয় নবী-রাসূলরা কি বলেন? আমি নাস্তিকদের অনুসরনীয় নবী-রাসূল বলাতে হয়ত আমার সম্পর্কে অনেক মুসলিমরা কিছুটা মাথা চুলকে ভুল ধারনায় পড়ে গেছেন। না ভাই আমি মিথ্যা বলছি না। Darwin, Dawkins, Sam Haris, Hitchens হচ্ছে নাস্তিকদের পরম পূজনীয় ও অনুসরনীয় নবী-রাসূল । এদেরকে অন্ধভাবে অনুসরন করে নাস্তিকরা ব্যক্তিপূজার এক চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছে। এবং আমিও এদেরকে নবী-রাসূল হিসেবেই মানি । আমি বিশ্বাস করি ওদের কাছেও ওহী আসে। এতক্ষনে নিশ্চয় মুসলিম পাবলিকদের চোখ ছানাবড়া।
আরে ভাই আমি বলছি না। আল্লাহ বলছেন। কি বলছেন শুনবেন? আল্লাহ বলেছেন-
নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ করে,সুরা আনআম-১২১
এদের কাছে সত্যিই ওহী আসে। তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে নয় শয়তানের পক্ষ থেকে। আর এরা হল “
”রাসূলুশ্শয়তান””
নারীবাদীরা বেশিরভাগ ধর্ষনের ক্ষেএে পুরুষের আধিপত্যকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখান। অনেক ক্ষেত্রে কথাটা সত্য, biologically তাদের শক্তির পার্থক্য থাকলেও নারী ও পুরুষ একই পিতা মাতা থেকে উদ্ভুত। তাই ইসলাম তাদেরকে সমান চোখে দেখে। Theory of evolution নারীদেরকে এক inferior race এবং পুরুষদেরকে superior race হিসেবে দেখিয়ে বিজ্ঞান নামের অপবিজ্ঞান ব্যবহার করে গরম তেলে পানি ঢেলে দিয়েছে। কোন কোন বিবর্তনবাদীতো নারী ও পুরুষকে যথাক্রমে homo parientalis ও homo fronatils এ উপপ্রজাতিতেও ভাগ করে ফেলেছেন। এর উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি কি?
আসুন বিবর্তনবাদীদের অন্যান্য লেখালেখির দিকে একটু দৃষ্টি নিবন্ধ করি। The descent of Man বইতে
ডারউইন মহিলাদের অনেক characteristics কে নিম্ন race এর characteristics বলে উল্লেধ করেছে্ন।(১)
ডারউইন বিয়েকে কি কারনে গ্রহনযোগ্যতা দিয়েছেন জানেন?
“একটা নারীর বন্ধুত্ব একটা কুকুরের বন্ধুত্বের চেয়ে উত্তম বলে”।
Cart vogt নারীদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন
“তারা নারীদের পুরুষদের তুলনায় পশুদের বেশি নিকটতর বলে উল্লেখ করেছেন”।“(2)
Social psychology এর একজন অন্যতম পতিষ্ঠাতা বির্বতনবাদী Le Bon বলেছেন
“পুরুষের উন্নত মস্তিষ্কের তুলনায় প্রচুর পরিমান মহিলাদের মস্তিষ্কের size,Gorilla এর কাছাকাছি।“(3)
শুধু তাই নয় তিনি আরো বলেছেন-
“নারীরা নিকৃষ্টতর মানব বিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে””।
ইসলাম যেখানে নারী ও পুরুষকে সমান রুপে সৃষ্টি করেছে সেখানে তথাকথিত নাস্তিক বুদ্ধিজীবী(?!) মুক্তমনারা (?!)নারীদেরকে সৃষ্টির কোন স্তরে নামিয়ে দিয়েছে একটু ভাবতে হবে। তারপরও যখন দেখি কিছু নারীরা জিন্স, টিশার্ট আর চুলে বব কাট করে মুক্তমনা (?!), নাস্তিকতা আর সমাজতান্ত্রিকতার বুলি আওরায় তখন সত্যিই অবাক লাগে। তারা কি এসকল বিষয় জানে না?
জানে না মানে অবশ্যই জানে। আর জানে বলেই তো সেটাকে বাস্তবায়িত করার জন্য সবকিছুকে পুরুষের ছাঁচে গড়ার এ ব্যর্থ আস্ফলন। পোশাক আর চলাফেরা পরিবর্তন করে গোলাপের রজনীগন্ধা হওয়ার খায়েস কতটুকু পূরন করতে পারবে জানি না, তবে এতে যে গোলাপ তার স্বাতন্ত্র হারিয়ে আর্কষণীয়তায় ভাটা পড়বে এবিষয়টা নিশ্চিত। কুরআন বলে-
যে লোক পুরুষ হোক কিংবা নারী, কোন সৎকর্ম করে এবং বিশ্বাসী হয়, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রাপ্য তিল পরিমাণ ও নষ্ট হবে না।সুরা নিসা-১২৪
হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার।সুরা হুজুরাত-১৩
আল্লাহর কাছে নারী পুরুষ সমান আর মর্যাদার মাপকাঠি হচ্ছে তাকওয়া।
নারী যদি গরিলাসম , পশুসম হয়ে থাকে তাহলে Survival of the fittest নীতিতে তার থেকে কিছু মজা লুটার মধ্যে অনৈতিকতা কি থাকতে পারে?আমরা কি উদোরপূর্তি করার জন্য পশু জবাই করি না?মুখোতুষ্টির জন্য পশু জবাই দিতে পারলে যৌনতুষ্টির জন্য নারীদের কিছুটা ব্যথা কিংবা কষ্ট দেয়ার মধ্যে সমস্যা কি থাকতে পারে?যতদূর মনে পড়ে রবী ঠাকুর বলেছিলেন ধর্ষন মেনে নেয়া ছাড়া অন্য কোন পথ না থাকলে ধর্ষনকে উপভোগ করাই শ্রেয়।তার মানে ধর্ষনকে ও উপভোগ্য করা যায়।শুধু দৃষ্টিভংগীর পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
তার মানে হচ্ছে ধর্ষনে কোন সমস্যা নেই?
না নেই। সে কথাই তো নাস্তিক stooges ,Dawkins,Sam Harris রা ফলাও করে প্রচার করছে।
Sam Harris বলেছেন-
”ধর্ষনের চেয়ে প্রাকৃতিক কিছু নেই। কিন্তু এটা খারাপ এবং সভ্য সমাজের সাথে সামান্জস্যপূর্ন না
এবিষয়টা সবাই মেনে নেবেন কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষদের এতে বিবর্তনীয় সুবিধা ছিল””।(4)
তিনি আরো বলেছেন
“আমাদের এমন কিছু আছে যেগুলো আমাদের নীতিতে বাঁধলেও তা প্রাকৃতিকভাবে বাছাইকৃত। যেমন-ধর্ষনের চেয়ে প্রাকৃতিক কিছুই নাই। মানুষ ধর্ষন করে ,শিম্পাঞ্জী ধর্ষন করে, ওয়াংওটার ধর্ষন করে। ধর্ষন পরিষ্কারভাবে বিবর্তনীয় কৌশলেরই একটি অংশ”।(5)
এতবড় প্রাকৃতিক লাইসেন্স দিয়ে Sam Harris ধর্ষনকে খারাপ বললেও ক্ষুধার্ত মানব কতক্ষন আর বুভুক্ষু থাকবে? না কখনোই মানবতা নামক অদৃশ্য শিকলের ভেলকিবাজি তাদেরকে কখনই থামাতে পারবে না।
প্রিমিয়ার রেডিও Unbelievable Programme এর উপস্থাপন Justin Brierley প্রখ্যাত নাস্তিকগুরু Dawkinsকে Rape নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি Rape কে Morally arbitrary বলেছেন।
জীববিজ্ঞানী ম্যাট রিডলী ও তার “গুনের উৎস” বইতে বলেছেন ধর্ষন অতীতে বিবর্তনের জন্য উপযোজনীয় ছিল।
আমাদের মুক্তমনার লেখক মহাশয়েরাও ফলাও করে ধর্ষনকে একটি বিবর্তনীয় ধারা হিসেবে প্রচার করেছেন। অপার্থিব জামানের এক আর্টিকেলে তিনি লিখেছেন
”অনৈতিকতা বা নীতিহীনতা বিবর্তনের এক অনিবার্য্য পাশ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত ক্ষতি। কিছু পাশ্বপ্রতিক্রিয়া আবার ক্ষতি বা ধ্বংস নাও করতে পারে। বিবর্তনের ক্ষেত্রে ও অনেকটা সেরকম ঘটে। বিবর্তনের একমাত্র উদ্দেশ্য হল উদ্বর্তন ও বংশানু সর্বত্তারন, এই উদ্দেশ্য সাধনের প্রক্রিয়ার কিছু অপ্রত্যাশিত উপজাত উৎপন্ন হতে পারে বিবর্তনের ভাষায় এগুলোতে স্প্যান্ড্রেল বলা হয়। ইমারতের ছাদের ধুনুকাকৃতির খিলান তৈরীর সময় ত্রিকোনকৃতি যে অপ্রয়োজনীয় অংশ অনিবার্য্যভাবে তৈরী হয়ে যায় তাকেই স্থাপত্যবিদ্যায় স্প্যান্ড্রেল বলা হয়। বিবতর্নের এ অনৈতিক প্রবৃত্তির স্প্যান্ড্রেলের একটি উদাহরন হল ধর্ষন ।এই প্রবৃত্তি যে এখনো টিকে আছে তার কারন উপযোজন পরিপন্থী না”
এভাবে ধর্ষনকে প্রাকৃতিক একটা কায়দা বা প্রক্রিয়া প্রমান করে ধর্ষনের যে ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে দিলেন তা সত্যিই অবাক করার মত তাও আবার বিবর্তনের মত অপবিজ্ঞানেকে বিজ্ঞানের নামে চালিয়ে দিয়ে। বিবর্তনবাদীরা পার্থিব জামানের কথা অনুযায়ী ধর্ষন ন্যাচারাল এবং সামাজিক সাম্যাবস্থার জন্য এটা অপরিহার্যও বটে। এরকম একটা আত্মঘাতী সমাজ বিনষ্টকারী ideology কে আমরা চোখ বন্ধ করে গলাধঃকরন করে নিচ্ছি একবারও আমার বোন, মা, স্ত্রী কিংবা সমাজের কথা চিন্তা করছি না। এ মতবাদ যদি সময় প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে এ পৃথিবীতে বসে যে নরকের স্বাদ নিয়ে নেব সে বিষয়টা সন্দেহাতীত। বিংশ শতাব্দী নাস্তিতকতার চরম নৈতিক অধঃপতন অবলোকন করেছে। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ মতবাদ ১০০ মিলিয়ন এর মত মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
অনেক নাস্তিক হয়ত লেখাটি পড়ছেন আর আমাকে ভড়কে দেওয়ার জন্য মনে মনে একটা প্রশ্নের ফান্দি আঁটছেন।
তাহলে মুসলিমরা কিংবা যারা ধর্ম মানে তারা কেন Rape করে? মাদ্রাসার হুজুর কিংবা খ্রিষ্টান Father তো এ কাহিনী করে ধরা খাচ্ছে। এ প্রশ্নটি অতীব বুদ্ধিদীপ্ত মনে হলেও প্রশ্নটি অতীব সাধারন এবং শিশুসুলভ প্রশ্ন।
আমি এখানে Ideology নিয়ে কথা বলছি, কোন পিতার ideology ভাল থাকার পরেও তার সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে না পারলে এর দায়ভার পিতার উপর না। কিন্তু পিতার Ideology খারাপ এবং সন্তানের Ideology ও কাজকর্ম খারাপ হয়ে গেল তাহলেই সমস্যা।
ইসলামে এরকম কোন নৈতিকতা পোষন করে না যাতে ধর্ষনকে ঠিক মনে করা হয়। কেউ যদি কুপ্রবৃত্তির তাড়নায় ধর্ষন করেও ফেলে ইসলামের জুডিশিয়ারী সিস্টেম মৃত্যুদন্ড নামক কঠিন শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে। অপরদিকে নাস্তিকপালরা একনিষ্ঠভাবেই ধর্ষনকে জায়েজ ও প্রাকৃতিকভাবে হচ্ছে বলতে শুরু করেছে। তাহলে তাদের পরিচালিত ব্যবস্থায় ধর্ষিতার আইনের বিচার পাওয়া যে আকাশ-কুসুম চিন্তা ছাড়া কিছুই নয় তা সহজেই অনুমেয়।
একবিংশ শতাব্দী আজ এমন একটা মতবাদ চায় যার আদর্শের বহ্নি সকলরকম অনাচার, অবিচার আর অমানবিকতাকে পুড়ে ছাই করে দিয়ে মানবতার উজ্জ্বল আলোয় পৃ্থিবীকে আলোকিত করবে। ইসলামই একমাত্র সেই বহুপ্রতীক্ষিত মতবাদ যার জন্য এশতাব্দী অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান এবং মুসলিমরাই একমাত্র জাতি যা মানবতার পতাকা নিজ হাতে তুলে নিয়ে ওড়ানোর জন্য প্রস্তুত। সেজন্যই তো আল্লাহ তা আলা কুরআনে মুসলিমদের সৃষ্টি মানবতার জন্যই বলে উল্লেখ করেছেন।
“তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে”সুরা আলে ইমরান-১১০
Allah Knows da Best------------
**ধর্ষনের সমাধান কি তা জানার জন্য আমার আগের দুইটা নোট পড়তে পারেন
**অনুগ্রহপুর্বক কমেন্টে কেঊ slang laguage use করবেন না।যৌক্তিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় আসুন।
Footnotes
1.Darwin, The Descent of Man and Selection in Relation to Sex, New York: D. Appleton and Company, 1871 (1896 ed.), p. 326
2 Carl Vogt, Lectures on Man: His Place in Creation, and the History of Earth, edited by James Hunt, London: Paternoster Row, Longman, Green, Longman, and Roberts, 1864, xv, p. 192
3. Ibid., pp. 104-105
4. Wired Magazine online: Gary Wolf, The Church of the Non-Believers
5. ABC Radio National,