বৃষ্টি শেষে হিম বাতাসে শিহরিত তোমার শরীর
আনমনা ভেজা চুলের চুঁইয়ে পড়া পানি
কষ্ট প্রহরে চোখের কাজল ধোয়া কান্নার জল
কিংবা তোমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখা চিকন সুতোর শাড়ি
কোমল হাতে রঙ্গিন কাঁচের চুড়ির মৃদু শব্দ আর
কানের বালী অথবা নাকফুলের গভীরে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘামের দানা
তোমার দেহের ভাঁজে ভাঁজে মিশে থাকা চেনা সুবাসে
আমার ধমনীতে যেন বেঁচে থাকা তোমার স্পন্দন।
তোমার চোখের কৃষ্ণকলিতে আমার দৃষ্টির উর্ণোজাল
তোমার প্রজাপতি ভাবনায় আমার ঘাসফড়িংয়ের জীবন,
মৃত্তিকার মমতা ভেদ করে উঠে আসা ছোট্ট ভ্রুনের মত করে
তোমার আমার আমাদের প্রাণে শ্বেতজবার পাপড়ির মত ভীষণ রকম কোমল
যেন ভালোবাসার পূঞ্জীভুত রেনুকামালা
তোমার না বলা কথার অন্তরালে আমার শব্দের আবর্তন আর
তোমার দীর্ঘশ্বাসে মিশে যাওয়া আমার অবরুদ্ধ হুঙ্কার।
তোমার হাসিতে আমার সুখ হয়ে ফেরা নদীর মত
তোমার চুমুতে আমার বৃষ্টি ধোয়া চন্দ্রিমার অনুভূতি,
পাশাপাশি খুব গহীনে জীবনের চুলচেরা হিসেব
যেন আজ প্রেমের নগরীতে তোমার আমার বেঁচে থাকা
একটি শরীর হয়ে।
উৎসর্গঃ তোমাকে ।