শিশিরের মতো মোহনীয় চেয়ে থাকা চোখে
নরম ঘাসের মত লকলকে পাপড়ি
বাসি ফুলের মত পলক যেন সেথায়
আকাশ সমেত গহীন আর দিঘীর জলের সরলতা,
তার চোখ আমি নদীর মতো ভালবাসি।
ঘুঘুর বুকের মতো রাঙা ঠোট তার
ঠোটের কোণে নিলচে নিটল রেখা
শিশুর হাসির মতো শুদ্ধ হাসি
ঝর্না যেমন ঝাপটে পরে পাথরের দেহে,
কমলালেবুর মতো হলুদ রোদ খেলে তাতে
ঠোটের থরথরানিতে আমায় উম্মাদ করে দেয়
ধরণীর সব গোলাপ মূল্যহীন সেথায়,
তার ঠোট আমি বৃষ্টির মতো ভালবাসি।
কাঁঠাল চাঁপার সুবাস সারা দেহে
শঙ্খচিলের মতো অস্ফুট বাহু
নীল সাগরের মতো ঢেউ লাগা বাঁক,
মায়ের আচলে লুকিয়ে রাখা চকলেটের মতো
শরীর তার, শাড়ির ভাজে ভাজে নতুন ধানের গন্ধ
দাদীর নিকানো উঠুনের মতো পরিপাটি
যেন রাঙা বসন্তের ক্লান্তিহীন রূপ,
তার দেহ আমি কবিতার মতো ভালবাসি।
হেমন্তের ধু ধু মাঠ যেন হার মানে
তার দীঘল চুলের কাছে ,
মাধবী লতার মতো আলতো উপড়ে তোলা
মেঘের মতো নিকষ অন্ধকার সেথায়
অনন্ত আধারে হারিয়েছি মন ,
তার চুল আমি রাতের মতো ভালবাসি।
কাঁচা হলুদের মতো রঙ তার
যেন দুপুরের সোনা রঙা রোদ
খেলা করে কৃষ্ণচূড়ার টকটকে লাল পাপড়িতে ,
প্রভাতের হরিত যেমন দিশেহারা সেথায়
কস্তূরী মৃগের মতো দুর্লভ,
তার রঙ আমি পাহাড়ের মতো ভালবাসি।
ফুলেরা সব রঙ খুজে তার মাঝে,
পূর্ণিমার আলোকের চেয়ে গাড়ো
তার রূপের ঈর্ষায় জ্বলে উঠে চাঁদ,
তার মাঝে স্নান করার বাসনা জাগে মনে
হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে চিরতরে
পরী নাকি উর্বশী কি উপমা মানায় তাকে?
তারে আমি নিজের মতো ভালবাসি।
_____________________ নিউ মেঘনা ভিলেজ ,১৪ই জুন২০০২
উৎসর্গঃ আমিনুর ভাই। আমার নিজের লিখা সবচে প্রিয় কবিতা আপনাকে উৎসর্গ করলাম( খুব অন্যরকম একটা সময় এই কবিতা লিখা )।আপনাকে অনেক পছন্দ করি । আপনি নিজেও যানেন্না হয়তো আপনি কি পরিমাণ ভাল মানুষ।