এই শহরের সুতীব্র দূষণ আমার ফুসফুসীয় কর্তব্যে পীড়া দ্যায় মর্মান্তিক, প্রতি লহমায় আমাকে নির্জীব-নিরর্থক করে তো'লে; আর এই বিষাক্ত পবনের নীলে আমি ক্লান্ত হ'য়ে পরি একটুতেই! তাই আজকাল এই ইট-কনক্রিটের ক্ষমাহীন প্রান্তরে বেঁচে থাকা বড়বন্ধুর!
এখানে সুতপা ছেয়ে থাকে থকথকে নোংরা ধূপে, এখানে মিথেন, কার্বন আর যত ওজোন গ্যাসেরা দুর্দান্ত প্রতাপে উড়ে চলে; ন্যায়সঙ্গত অজুহাতে নিরন্তর অন্যায় ঘটানো এখানে কালচারের পর্যায়ে প'রে! জবরদখল ভূমিতে, অবৈধ দখল মনেতে, মন্দির-মসজিদের নামে বাণিজ্য এখানে অনুমোদিত! এ এমনি শহর যে শুধু মানতে ব'লে, জানতে ব'লে, শুনতে ব'লে, থামতেও ব'লে কিন্তু নিজে মানে না, জানে না, শোনে না, থামেও না; এমনকি বুঝতে পারে না, বুঝতেও চায় না!
আর তাই আমি এই শহর ছেড়ে চ'লে যাব যেথায় সত্যিকারের মানুষেরা এখনো স্বপন বোনে পরম মমতায়, যেখানে এখনো ভোরের ঘাসে আলোর ঝিলিক খেলা ক'রে, সেথায় আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা!
সেথা একদিন চুপিচুপি গিয়ে মিশে যা'ব মামাটির কোলে!
হেমেন্দ্র দাস রোড, পুরোন ঢাকা
১৪ মে '১৮। ২৩:২৩ ঘন্টা
#কবিতা #রুহুলআমিন
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৪৪