
Wake UP with PAMELA নামের নতুন একটা এপ পেয়েছি রাতে। এলার্মের সময় ভিডিওতে অল্প জামাকাপড় পরা পামেলা এসে ধরা গলায় “ওয়েইক আপ বেবি”, “লেটস শাওয়ার টুগেদার/সেইভ দ্যা ওয়াটার” বলে ডাকাডাকি করে। ভাল জিনিস। নেটে ঘুরতে ঘুরতে ২টার দিকে হঠাৎ একটা ওয়েবপেইজের বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে চোখে পড়লো। ভাবলাম একবার ট্রাই করা যেতে পারে। কারণ আগামীকালকে অনেক সকালে উঠতে হবে। সাড়ে ৫ টায় উঠিয়ে দেয়ার কথাটা পামেলা এন্ডারসনকে জানিয়ে শুয়ে পড়লাম।
কালকে অনেক সকালে উঠতে হবে। কলেজে যেতে হবে একটা কাজে। এরপর ইউনিভার্সিটি। আজকে একটা ব্যাপক দিন হবার কথা। অফিশিয়ালি ব্যাপক দিন। ইউনিভার্সিটি জীবন শেষ হতে আর ১৫ দিন বাকি। কয়েকদিন আগে এক বন্ধু খবর দিলো যে,সে সহ আমরা ৪ জন একটা চমৎকার জব অপারচুনিটি পেতে যাচ্ছি। ওর এক প্রতিবেশী চাচা নেক্সিনে বিশাল এক পোস্ট নিয়ে আছেন। উনি বলেছেন, “তোমার ৩-৪টা বন্ধু যাকে ইচ্ছা এনো। সমস্যা নেই, আমি দেখবো।” আজকে ইউনিভার্সিটিতে বন্ধুরা একসাথে হয়ে, উনার অফিস থেকে ঘুরে আসবো। দিনটা অফিশিয়ালি ব্যাপক।
পামেলার ডাকে ঠিক না, দিনটার তাৎপর্যের বিশেষ উত্তেজনাতেই সঠিক সময়ে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। একটু ভোর ভোর থাকতেই বের হয়ে গেলাম। যেমনটা প্ল্যান ছিলো। আম্মা গজ গজ করতেছে, এত আগে বের হলাম বলে। বাসা থেকে কিছুদূর যেতে না যেতেই পুরো আকাশ কালো হয়ে গেলো।এই দিনের বৃষ্টি, শুধু পানির ফোঁটা না ঝড়ো বাতাসও। বাতাস ভর্তি ধূলায় চিন্তায় পরে গেলাম। এত বড় কোম্পানীতে যাবো আজকে, ওখানে আমাকে দেখে উটকো কিছু না লাগলেই হয়। পুরো আকাশ একদম কালো। সূর্যের আলো নিচে আসছেনা বললেই চলে। সব অন্ধকার। হঠাৎ কুয়াশায় বাতাস আরও ভারী হয়ে উঠেছে। বাসের ড্রাইভার কিছুই দেখছেনা সামনে। একটু পর পর গামছা দিয়ে ডলে ডলে পানির ভাপ সরাচ্ছে উইন্ডশিল্ড থেকে। বৃষ্টি বাড়ে-কমে, সাথে বাতাসও। অন্যরকম একটা পরিবেশ। বাতাসটা না থাকলে হয়ত রোমান্টিক মনে হত, কিন্তু ঝড়ের জন্য এখন ভয়ই লাগছে। আর ধূলার জন্য টেনশান হচ্ছে। আজকে এত বিশেষ দিন শুরুটা এমন ক্যানো !
চার বছর পরে কলেজে যাচ্ছি। জীবনের সেরা কিছু সময় কলেজে কেটেছে আমার। মানুষের সাধারণত স্কুল খুব প্রিয় হয়, আমার প্রিয় হলো কলেজ। পরিবেশটা এত চমৎকার, আর বন্ধুগুলাও ছিলো দারুণ। সেসময় যদিও মানতে চাইনি, কিন্তু সাধারণ বাস্তবতাই হয়েছে পরিণতি। কলেজের বন্ধুরা আজ সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে হারিয়ে গেছে। কিন্তু ওই দিন গুলো ছিলো অন্যরকম। সিনেমার মত। কলেজে আসার আগে কাছাকাছি বাসার কয়েকটাকে কল দিয়েছিলাম।
“দোস্ত, কলেজ যাচ্ছি। চলে আয়।”
“না রে। আমি ব্যস্ত আজ।”
আরেকজনকেও দিলাম। “ওই কলেজ যাচ্ছি। আয় না !”
“নাহ বস, ক্লাস আছে সকালে।”
এরপর আর কথা চলে না। একার প্ল্যানটাই করতে হলো। ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ার ভিতরে কী ঝকঝকে সুন্দর। আস্তে আস্তে ঝড় বৃষ্টিও গায়েব। কিন্তু ঠান্ডা বাতাসটা রয়ে গেছে। কলেজ যেতে যেতে সময়টা আর সকালটা উপভোগ করছি খুব। কলেজ ইউনিফর্মে সেই ব্যস্ত পোলাপানের মধ্যে যেন নিজেকে দেখলাম। কলেজের বন্ধুত্বের পরিণতির মত ইউনিভার্সিটিরটা হবে না। আফটার একসাথে ত জবও করতে যাচ্ছি। নিজেকে মনে হচ্ছে উপন্যাসের নায়ক। আবার সিনেমার মত একটা ক্যামেরাও যেন আমার চারপাশে ঘুরছে। আসলে আজকের দিনে আমার খুশি আর আটকাতে পারছিনা। এটা ঠিক আনন্দের মত না, বরং একটা আত্মবিশ্বাসের মত। নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার, নামের পর নেক্সিন। কী সাঙ্ঘাতিক !
এতদিন পরে কলেজে যেতে কেমন যেন আনইজি লাগতেছে। কিন্তু কাজটা শেষ করা দরকার। হাঁটতে হাঁটতে কলেজ এসে গেছি। কিন্তু সামনের গার্ডরা ঢুকতে দিলো না। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা চলছে, ঢোকা নিষেধ। ওহ, ছোট কেউ নেই বাসায়। তাই এসব মনেও থাকে না। আর পরীক্ষার সময় যে এডমিনিস্ট্রেশনেও ঢোকা যায় না, এটা জানতাম না। এতদূর এসে এটা কী হল। ভাবলাম, কলেজের স্যারকে একটা ফোন দেই। মোবাইল ঘেটে বহু পুরানো একটা নাম্বার বের হলো। কলেজের ক্লাস টিচারের। আমার বাঁদরামির জন্য বাসায় ফোন দিয়েছিলেন ! সেই থেকে নাম্বারটা সেইভ করা সিমে।
বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরে, “হ্যালো, স্যার। আসসালামুয়ালাইকুম। স্যার আমি আপনার একজন প্রাক্তন স্টুডেন্ট।“ “পরীক্ষার হলে”, স্যার ফোন ধরে এত ফিসফিস করে উত্তর দিলেন যে মনে হল স্যারই পরীক্ষা দিচ্ছে নাকি। আর কিছু বলা যায় না। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা বলে কথা। দাঁড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। নাহ, আর থেকে লাভ নেই। আসল কাজে যাই। ৯ টার মধ্যে সমার ইউনিভার্সিটি থাকার কথা। এখনই ৯টা বেজে গেছে। যেতে আরও ৩০ মিনিট ত লাগবেই।
“দোস্ত, খেপিস না। আমি কিন্তু আসছি একটু কিছুক্ষণের মধ্যেই।”
“এয়া? কে?”
“কে মানে? এই শ্লা, ঘুমের থেকে উঠ। আমাকে ৯টায় আসতে বলে হারামি তুমি ৯টা বাজের ঘুমের থেকে উঠো। পিটামু।পোলাপান নিয়ে তাড়াতাড়ি আয়।“
“আসতাছি। ধূর।”
মেজাজটা ক্যামন লাগে। কারও কোন খবর নাই। সাড়ে নয়টা বাজে আর পোলাপান এখনও “আসতাছি। আর একটু রে”। অবশেষে এরা আসলো ১০টায়। যাক, সবাই একত্রে হলাম। এবার রওনা দেয়ার পালা। নেক্সিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। গাজীপুরের সেই শেষ মাথায়। কিন্তু না, তারা এখন আচমকা ভাল ছাত্র হয়ে গেছে। ১০ টা যেহেতু বেজেই গেছে, ক্লাসটা তারা করেই যাবে। ত গেলো ক্লাস করতে, আমার ছিলো না। আমি বসে রইলাম বাইরে। একে ওকে কল দিলাম, শ্লা দুনিয়ার সবাই আজকে ক্লাসে ! যাক, ১১টায় আবার সবাইকে পেলাম। টিকিট কাটতে যেয়ে দেখি ঐ জায়গায় কোন বাস নেই। ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হবে। টাঙ্গাইলের বাসে যাওয়া যায়, কিন্তু বৃহস্পতিবার বলে শ্লারা নিবে না। এমন সময় আবার ফোন। আমার না, এক ফ্রেন্ডের। স্যার ডাকছে। ঐ তিনটাকে এখনই দেখা করতে হবে। প্রজেক্ট সংক্রান্ত ব্যাপার স্যাপার। ত আবার ফেরত যেতে হল ক্লাসে। আধাঘণ্টা পরে সাড়ে ১১টায় আবার সবাই একসাথে হলাম।
এত বিরক্ত লাগতেছে। ধূর ! আর কোন একটা বাসও নিচ্ছে না। হুশ হাশ করে চলে যায়। সকালের সুন্দর সময়টা প্যাচপ্যাচে বৃষ্টিতে নষ্ট, আর দুপুরের কড়া রোদে শ্লা মেঘের কোন দেখাই নেই। অনেক অনেক ঝামেলার পরে অবশেষে একটা বাসে বাদুড় ঝোলা হয়ে রওনা দিলাম। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অবস্থা খারাপ। তাও যে সবার জায়গা হল, এই ত বেশি।
যেতে যেতে এরপর এক জায়গায় থামলাম। এরপর আবার বাস। এরপর আবারও। ওহ, বিরক্তিকর এই জার্নি শেষে অবশেষে পৌঁছালাম। বেলা সাড়ে তিনটার মত বাজে। কোম্পানীতে যাবার রাস্তাটাও নাকি কোম্পানীরই বানানো। যদিও ভাঙ্গাচোরা। এখানে যদি কাজ করতে হয়, প্রথম কয়েকদিন বন্ধুদের সাথে মিলে থাকার ইচ্ছা। সবাই একসাথে একটা ফ্লাট নিয়ে মেস বানানোর প্ল্যান। কিন্তু বড় কোন বাড়ি টারি নাই। আমরা রাস্তা ধরে যাচ্ছি আর প্ল্যান করছি। অবশেষে একটা দোতলা বাসা চোখে পড়লো। অতক্ষণ সব টিনের ছিলো। ত এই বাসার নাম “সোলায়মান ভিলা”। দেখতে ভালই। ভাড়া আদৌ হবে কীনা, সেটা ব্যাপার না। কিন্তু ওটার উপরেই থাকবো বলে একটা প্ল্যান তৈরি হয়ে গেলো। দরকার হলে সোলায়মানের মেয়ের সাথে এক বন্ধুর বিয়েও দিয়ে দিলাম। ইঞ্জিনিয়ার পোলা, সোলায়মান একেবারে ফেলে দিতে গেলেও একবার ভেবে নিবে। গেটে পৌছে বন্ধু আংকেলের সেলফোনে কল দিলো। উনি আমাদের ভেতরে ডাকলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং এসপেক্টে খুব সুন্দর জায়গা। আমরা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। পোলাপান আগে আসছিলো এখানে, আমার এইবার প্রথম। ওরা আমাকে এটা সেটা দেখাচ্ছে। এখানে ডাইং, এখানে গার্মেন্টস, এখানে হাসপাতাল টুকটাক। সারাদিনে এত ব্যস্ততা, সবকিছু মিলিয়ে কেমন কেমন যেন লাগছে।
অবশেষে, উপন্যাসের নায়ক একটা পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ভার্সিটি জীবনের শেষে এখানে ওখানে দৌড়াদৌড়ি না করে সেটল হবার একটা সুযোগ। কেউ একজন অপেক্ষা করছে, তার অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছি শীঘ্রই।
বন্ধুর চাচা বেশ বয়স্ক। গ্রামের প্রতিবেশী সূত্রে জ্যাঠা। আমাদের সাথে অল্প কিছু কথা টথা হলো। খুব ব্যস্ত উনি। শুক্র ত এমনিই বন্ধ। আর শনিবার পহেলা বৈশাখ। পর পর দুই দিন মিল অফ থাকবে, তাই আজ বৃহস্পতিবার বলে বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে। উনি বসছেন আবার একটু পরেই উঠছেন বার বার কল আসছে সেলফোনে আর ল্যান্ডফোনেও। চারপাশে লেবারদের ব্যস্ততা। অশিক্ষিত কৃষক, লেবার আর মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীদের উপরেই টিকে আছে দেশ। আমি আবারও টের পেলাম এদের পরিশ্রমটা। ডাইং পেস্টের গন্ধ, তিক্ত গরম, প্রচণ্ড হিউমিডিটি সব সহ্য করে কী ব্যস্ততায় কাজ করে যাচ্ছে, বিদেশ থেকে টাকা আসছে। আর শাহরুখ কনসার্ট করে, নেতারা বিদেশে শপিং করে, ব্রান্ড নিউ গাড়ি কিনে এই টাকা আবার বাইরে বিলিয়ে আসেন। এত মানুষের মাঝে সবাই সিরিয়াস। আমি যেন একটা ঘোরে চলে যাচ্ছিলাম যে আমিও এই ম্যাসিভ ওয়ার্কফোর্সের একটা অংশ হতে যাচ্ছি। এদের অবদানের মধ্যে একটা ছোট্ট অংশ আমার হতে যাচ্ছে।
অতক্ষণে অনেক সময় কেটে গেছে। তখন সন্ধ্যা ৬টার মত বাজে। চাচা একটু পর বাইরে থেকে এসে তার ভাতিজাকে ডেকে নিলেন। উনি কিছুক্ষণ কথা বলার পর বন্ধু ফেরত আসল। মুখ গোমড়া। চাচা আমাদের সাথে আরও টুকটাক কথা বললেন। এরপর আবার বাইরে গেলেন কাজে। বন্ধুর থেকে শুনলাম, “এভাবে সবাইকে উনি হেল্প করতে পারবেন না। ১ জনকে পারবেন শুধু। এভাবে কোম্পানির আরও সিনিয়ার পর্যায়ের লিংক নিয়ে আরও ৭০ জনের উপরে আসছে। ”
কিছু ত আর বলার নেই। যেই বন্ধুর চাচা, ও আমার খুব ক্লোজ। বুঝতে পারছিলাম যে ওর খুবই আনইজি লাগছে। ওর ইচ্ছা আমাদের সাথেই থাকবে ও, যেখানে যাবো ও যাবে। কিন্তু আমরা ওকে বুঝালাম, ফ্রেন্ডশিপ ভালো। কিন্তু কিছুরই এক্সেস ভালো না। নিজে খুব ভালো সুযোগ পেয়ে, বন্ধু সুযোগ পেলো না তার জন্য দুঃখ করতে শুধু খুব ভাল বন্ধু হলেই হয় না, খুব ভালো মানুষও হতে হয়। ও সেটাই। আমরা জানি ও কতটা আন্তরিক। ও খুব আফসোস করেছে আমাদের এতদূর এনে কিছু করতে পারলো না বলে। আমরা হাসাহাসি করলাম। আরও আড্ডা মারলাম। বাস স্ট্যান্ডে আসার সময় আবার চোখে পড়লো “সোলায়মান ভিলা”। কিন্তু এখন আর এখানে থাকার কোন ইচ্ছা নেই। সোলায়মান সাহেবের কোন কল্পিত মেয়ের প্রতিও আর আগ্রহ নেই। আবারও বাস খোঁজার পালা। কিন্তু এবার যার যার গন্তব্যে। একা। বাসা বহুদূর। জ্যাম পেরিয়ে বহু বহুদূর।
ভাবতে অবাক লাগে, সকালে সবাই একসাথে শুরু করলাম। আর রাতে যার যার মত ফিরছি, নিয়তির প্রতি আলাদা দৃষ্টি নিয়ে। বাংলা তারিখ হয় সূর্যোদয়ের হিসাবে। সেই হিসেব করলে কাল সকাল বছরের শেষ দিন। শেষ দিনে আমার করার কিছু নেই। ছাত্রজীবনের শেষ বছরটা এভাবেই শেষ হয়ে যাবে। যে বাসে আসলাম, পুরাটা প্রায় খালি। বাসা থেকে কল আসলো। অপেক্ষায় থাকা আরও একজন কল দিলো, “কিছু হলো?”
সকালের মত আবারও আকাশ ঢেকে বৃষ্টি নামছে। বাসের ড্রাইভার আবার উইন্ডশিল্ড থেকে কুয়াসার মতন পানির ভাপ মুছে নিচ্ছে একটু পর পর। বাসায় ফিরতে ভালো একটা ঝামেলা হবে। এভাবেই গড়িয়ে আসছে একটা নতুন বছর। কলেজে থাকতে কখনও বিশ্বাস করিনি যে, সবাই একদিন আলাদা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে। এরপরও সময়ে তাই হয়েছে। এবারও হয়ত তাই হবে। অথবা ঠিকই টিকে থাকবে সব ভালো মতন। নতুন শুরু হোক। শুধু বছরের শেষে যেন এভাবে শেষ না হয়ে যায়। ভেবেছিলাম কত সহজেই না কত কিছু হয়ে যাচ্ছে। সিনেমা নাটক ত ফেইল। এখন আস্তে আস্তে টের পাচ্ছি সামনে কী আছে ! এক মনীষীর থেকে শুনেছিলাম, “লাইফটা একটা কুত্তার বাচ্চা।“ সেই মনীষীর নাম আর পরিণতি জিজ্ঞাসা না করাই ভালো।

----------------
Wake up with PAMELA সেলফোন থেকে জানান দিলো, “সুইট ড্রিমস।” কিন্তু আমার এখনও ঘুমের সময় আসেনি।