
প্রচন্ড উত্তেজনায় আছি যদিও আপাতভাবে যা ঘটে গেছে তার সাথে আমার হয়তোবা প্রত্যক্ষ কোন সম্পর্ক নেই। তবে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেলাম এটা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি।মিশরের স্বৈরশাসক হোসনি মুবারককে অবশেষে গদি ছাড়তে হয়েছে, বরং বাধ্য হয়েছে বলাটাই যুক্তিযুক্ত।ক্যাডেট কলেজে ভর্তিচ্ছুদের "সাধারণ জ্ঞান"এর সাগরে হাবুডুবু দিতে হয় বৈতরণী পাড়ি দেয়ার জন্য।সেই সাধারন জ্ঞানের অংশহিসেবে প্রায়ই পৃথিবী'র নানান দেশের প্রেসিডেন্টের নাম এবং রাজধানী'র নাম মুখস্থ করতে হয়।
তখন শিখেছিলাম মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুরাবক।
সেইটা সেই ৯২'সালের কথা।
বর্তমান সময় রাত ২৩:৩৮, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১।মাত্র ২৪ ঘন্টা আগেও কেউ একইভাবে আমার সাধারণ জ্ঞান'এর পরীক্ষা নিতে জিজ্ঞেস করলেই একি উত্তরদিতে হতো।এখন দিতে হবে না।
অবশেষে পৃথিবীর সবচে দীর্ঘ স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। আধুনিক বিশ্বে স্বৈরশাসনের প্রতীক অপসারিত হয়েছে। মিশরের সংগ্রামী জনতাকে অভিনন্দন।
মুসলিম বিশ্বের অংশীদার একজন হিসেবে নয়, বরং একজন বিশ্বনাগরিক হিসেবে
মিশরের জনগণের এই মুক্তিতেই আমি গর্বিত।
স্বাধীনতা বিশ্বজনীন।স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেশে দেশে যুগে যুগে বেঁচে থাকুক।মানুষের মুক্তি আসুক।বিপ্লব দীর্ঘজীবি হউক।