“তুমি জীবিত” বৃদ্ধ বললেন ।“তুমি হাঁটতে পারো, নাচতে পারো, নিশ্বাস নিতে পারো”।
ভদ্রমহিলা জিজ্ঞেস করলেন,” আচ্ছা! যখন আমরা মাটির টুকরো ছিলাম, তখনও কি বেঁচে ছিলাম”।
“না” বৃদ্ধের জবাব।
“আমরা বেঁচে ছিলাম না! তাইলে কোথায় ছিলাম, কিই'বা ছিলাম”!“যখন আমরা বেঁচে থাকবো না, তখন আমাদের কি বলা হবে”?
“মৃত।যখন তুমি জীবিত নও, তখন তুমি মৃত”
“আমরা কি অনন্তজীবি হবো? আমরা কি যুগযুগ ধরে বেঁচে থাকবো নাকি আবার মরে যাবো?
বৃদ্ধ ভদ্রমহিলার দিকে ফিরে বললেন আমি কখনো এই বিষয়টা নিয়ে ভাবি নাই। তারপর বললেন কিন্তু আমরা এই মুহুর্তেই এইটার ফয়সালা করতে পারি।এই গোবরের টুকরোটি নদীতে ছুঁড়ে ফেলো।যদি এটা ভেসে থাকে, তাইলে মানুষ মারা যাবার চারদিন পর আবার জীবিত হয়ে ফিরবে।
“গোবরখন্ডটি যদি পানিতে মিশে যায়, তখন কি হবে! দেখুন ,এই যে একটা পাথর খন্ড।যদি এইটা ডুবে যায়, তাহলে মানুষ মরণশীল হবে আর আর যদি এটা ভেসে থাকে, তাইলে তাঁরা অনন্তজীবি হবে”
এবং এটুকু বলেই ভদ্রমহিলা পাথর খন্ডটি পানিতে ছুঁড়ে দিলেন।
পাথরটি ডুবে গেলো।
( যাহোক, এরপরেও মহিলা কিছুক্ষন বেঁচে ছিলেন।তখনও তাঁর কিছু শেখার বাঁকি ছিলো)
“উত্তরটা পাওয়া গেলো” বৃদ্ধের স্বগতোক্তি।
“যা ঘটেছে তা আর ফিরিয়ে আনা যাবেনা।মানুষকে মরতেই হবে”।
....................................................................................................।
মুলগল্পটি পাবেন এইখানে।