না।কিছুতেই না।নিয়তিবাদীরা ভাবতে পারে কিন্তু আমি কিছুতেই এটাকে নিছক দুর্ঘটনা বলবো না।এটা হত্যাকান্ড,স্রেফ হত্যাকান্ড; আমাদের শিশুপুত্র,শিশুকন্যা, মাতাপিতা, ভাইবোনদেরকে নির্মমভাবে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।
সাভারের স্পেকট্রাম গার্মেন্টস, তেজগাঁওয়ের ফিনিক্স ভবন, বেগুনবাড়ীর উপড়ে পড়া ৫তলা ভবনের পর কায়েততুলির আগুনে মানবসন্তানদেরকে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়াকে শুধু নিয়তির হাতে ছেড়ে দিয়ে বাঁচতে চান তাদের জন্য আমার করুণাটুকুও নেই, আছে একদলা ঘৃণা।
এইসব হত্যাযজ্ঞের মুল ঘাতক রাজউক।তবে সবচেয়েও বড় পাষন্ড দূর্বিনত রাজউকের বাপ; ঐ গদীতে পালাক্রমে আসা সরকার মহাশয় এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের মেকানিকরা।
শু__র বাচ্চা সরকার বিনাবিচারে মানুষমারার রোবট র্যাবের জন্য হেলিকপ্টার কিনতে পারে কিন্তু আগুনে লেলিহান শিখায় ঝলসে যাওয়া মানুষকে বাঁচাতে ফায়ার সার্ভিসকে চলতে হয় কোন এয়ার-সাপোর্ট ছাড়াই।
অথচ এরাই নাকি শোকদিবস পালন করবে!
এরপরের সপ্তাহেই হয়তোবা কোন ভবন উপড়ে না গিয়ে তলিয়ে যাবে, মাটির নীচে জ্যান্ত চাপা পড়বে শ'খানেক, শ'দুয়েক ,শ'পাচেক মানুষ, তখনও কি হবে আরেকটা শোক দিবস।
প্রতি সপ্তাহে, প্রতি মাসে আসবে এমন কোন দূর্যোগ, তখন সপ্তাহে, মাসে কতগুলো করে শোকদিবস পালন করবেন মহামান্য সরকার মহাশয়!